গলার শ্লেষ্মা দূর করার ঔষধ

গলায় যাদের শ্লেষ্মা হয়েছে তাদেরকে তা দূর করার জন্য অবশ্যই ঔষধ সেবন করতে হবে। কারণ ঠিকঠাক মতো যদি আপনারা এই সমস্যার সমাধান না করেন তাহলে আস্তে আস্তে গলার অবস্থা খারাপ হতে থাকবে এবং আপনাকে সর্দি কাশি খুব দ্রুত আক্রমণ করতে পারবে। আবহাওয়ার কারণে হোক অথবা অন্যান্য কোন কারণে হোক যখন গড়ায় এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তখন আমরা ছুটে যায় ডাক্তারের কাছে। কয়েকবার ওষুধ খাওয়ার পর যখন কোনোভাবেই তা কমে না তখন আমাদের প্রয়োজন হয় এন্টিবায়োটিকের।

কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত অথবা সমস্যার বিবরণ না জেনে ডাক্তার কখনোই আপনাকে এন্টিবায়োটিক প্রদান করবেন না। তবে গলার কাছে সব সময় আপনার যদি কফ বেঁধে থাকে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে কফ ফুটে থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার বুকে যত ধরনের কফ রয়েছে তা উঠে যাচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। এক দিক থেকে এটা আপনার জন্য অত্যন্ত ভালো এবং যদি কফ না ওঠে তাহলে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।

তাই এখনকার সময় যদি আপনি এ ধরনের সমস্যা পুষে রাখেন তাহলে সেটা আপনার জন্যই ক্ষতি এবং এই গলার ভেতরের এই সমস্যাগুলো এক সময় মাথাতে গিয়ে পরিণত হলে মাথার মধ্যে ঝনঝন করবে। তাই বুকের কপ মাথাতে জমতে দেওয়ার কোন কারণ নেই এবং এই ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে যে সেবা প্রদান করবে বা যে ঔষধ সাজেস্ট করবে সেগুলো অবশ্যই টাইমলি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ ঠিকঠাক মত যদি ঔষধ সেবন না করেন অথবা এন্টিবায়োটিক ঔষধ যদি বাদ দেন তাহলে সেটা পরিপূর্ণ কোর্স সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ফলাফল পাবেন না।

কিছু মানুষ রয়েছে যারা অল্প একটু সুস্থ হয়ে গেলে সকল ওষুধ বাদ দেয়। কিন্তু এভাবে যদি আপনারা ওষুধ বাদ দেন তাহলে খুব একটা উপকার পাবেন না বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই সকল ক্ষেত্রে আমাদেরকে সঠিক নিয়ম মানতে হবে এবং ডাক্তার আমাদের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে যে ওষুধগুলো প্রদান করছে সেগুলো যদি সেবন করার বিষয়ে আমাদের অপারগতা থাকে তাহলে সমস্যা হবে। তবে আপনারা যারা এখান থেকে ওষুধের নাম জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে এসব ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে শুধু ওষুধের নাম জেনে নিয়ে ব্যবহার না করে ডাক্তারকে সমস্যা খুলে বলে সেই অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।

গলার শ্লেষ্মা দূর করার উপায়

যদি আপনারা গলার শ্লেষ্মা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে ঘরোয়া পরিবেশে এগুলো থেকে বাঁচার জন্য সর্বপ্রথমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি এর বিকল্প নেই এবং আমরা যত পরিমাণ ভিটামিন সি খেতে পারব ততটাই এরকম ধরনের সর্দি কাশি অথবা সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাব। তাই আপনারা যখন এই সমস্যায় পড়বেন তখন ঠান্ডা জাতীয় জিনিস অথবা ফ্রিজের কোন হিমায়িত খাদ্য কোনোভাবে গ্রহণ করবেন না।

শ্লেষ্মা দূর করার সিরাপ

শ্লেষ্মা দূর করার সিরাপের নাম জানতে চাইলে বলবো যে বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটা ওষুধ কোম্পানি বেশ কয়েকটি ভেরিয়েন্টে কয়েকটি ধরনের ঔষধ বের করছেন। কাশির ধারণা অনুযায়ী অথবা গলার সমস্যা অনুযায়ী আপনাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সাজেস্ট করা হয়। তবে এই ক্ষেত্রে আপনারা কফ সংক্রান্ত যে সকল সিরাপ রয়েছে সেগুলো খেতে পারলে আশা করি আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে এবং এগুলোর ফলে যদি না কমে তাহলে এন্টিবায়োটিক এর সাহায্য নিতে হবে।

শ্লেষ্মা কেন হয়

সাধারণত ঠান্ডা জনিত আবহাওয়ার কারণে অথবা হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হয় সেটা যদি আপনার শরীরের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারে তাহলে এই সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া যাদের ফ্রিজের জিনিস খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে এবং উঠতে বসতে যারা কোলড্রিংস ব্যতীত খেতে পারেন না তাদের এ ধরনের সমস্যা এখন না হলেও ভবিষ্যতে হবে। তাই সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমানকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আমাদেরকে ভবিষ্যতের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে করে আমরা সুন্দর জীবন যাপন করতে পারি।

Leave a Comment