থুজা হলো একটি জীবনদায়ী উদ্ভিদ। অর্থাৎ এই উদ্ভি দ থেকে জাল দিয়ে তৈরি করা এক ধরনের রস থেকে তৈরি হয় স্কার্ভি রোগের ঔষধ। আর এই জন্যই এই স্কার্ভি রোগের ঔষধ তৈরি করার জন্যই থুজা উদ্ভিদকে সাধারণত জীবন দায়ী উদ্ভিদ বলা হচ্ছে। কারণ আপনারা জানেন যে একটা সময় ছিল যখন সমুদ্রযাত্রায় নাবিক এবং সমুদ্রে যারা দীর্ঘদিন বসবাস করত তারা একটি রোগে প্রায়ই মারা যেত। কারণ আপনারা জানেন যে মানুষ এর মধ্যে আবিষ্কারের নেশা রয়েছে। আবিষ্কার করার জন্য মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেরিয়েছে।
আর সেই কারণেই সমুদ্রের এপার থেকে ওপার দীর্ঘদিন বা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে তারা। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার সময় তারা বিশেষ করে শুকনো খাবার নিয়ে যেত। কিন্তু সেই খাবারের মধ্যে কোন ভিটামিন সি থাকত না আর এই কারণে বর্তমানের স্কার্ভি রোগে তারা মারা যেত। কিন্তু তারা সেই মারা যাওয়াকে হয়তো মনে করত সমুদ্রের অভিশাপ যা নাবিকদের আবিষ্কারকদের উপর দিয়ে যেত। তাই এই রোগ থেকেই একটা সময় বাঁচিয়ে তোলে মানুষদেরকে আর এই কারণেই থুজা উদ্ভিদকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখানো হয়েছে।
থুজা উদ্ভিদ আবিষ্কার
মানুষ যখন সমুদ্র যাত্রা করতো তখন দিনের পর দিন তাদের সমুদ্রে থাকতে হতো। কিন্তু সেই সমুদ্র যাত্রার মধ্যে অনেক মানুষ মারা যেত। বিশেষ করে তাদের একটি রোগেই বেশি মানুষ মারা যেতে বলে জানা যায়। আর তা হল মাড়ি থেকে রক্ত ঝরে এবং একসময় সেই মারি পচে খুলে পড়ে এবং মৃত্যু ছাড়া কোন পথ ছিল না। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকে মানুষ কোন কূলকিনারা খুঁজে পায় না। পরবর্তীতে অর্থাৎ ১৫৩৬ খ্রিস্টাব্দে যখন ফরাসি বিজ্ঞানী বা ফরাসি আবিষ্কারক কার টিয়ারের জাহাজ চলছিল সেন্ট লরেন্স নদীর উপর দিয়ে তখন তিনি একটি জিনিস লক্ষ্য করেছিলেন।
কাটার লক্ষ্য করেছিলেন যে নদীর ধারে আদিবাসীরা একপ্রকার গাছের পাতা জাল দিয়ে চা তৈরি করে খেতে দিচ্ছে রোগীদের। আর সেই চা খেয়ে রোগীরা খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করছে। তখন সেই বিষয়টি লক্ষ্য করার পর আবিষ্কারক দেখলেন কোন গাছের পাতা তারা জাল দিয়ে রোগীদের খাওয়াচ্ছেন। সেই গাছটি ছিল থুজা গাছ বা থুজা উদ্ভিদ। এভাবেই স্কার্ভি রোগের বিষয়টি আবিষ্কার হয়। অর্থাৎ এই গাছটির নাম তখন ছিল বা এই জীবন দেয়নি গাছটির নাম হল আরবর ভাইটি। এই আরবর ভাইটির বৈজ্ঞানিক নাম থুজা অক্সিডেন্টালিস্ট। এই গাছটির জীবিত কয়েকটি গাছ এখনো ৮০০ বছরের বেশি পুরনো রয়েছে।
থুজা হোমিও ঔষধ
হোমিওপ্যাথি ঔষধে বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয় এই থুজা হোমিওপ্যাথি ২০০ ঔষধ। থুজা হ্যানিম্যানের আবিষ্কারের সর্বশ্রেষ্ঠতম ঔষধ হিসেবে দেখা হয়। এই ঔষধটি প্রকৃতই রোগাত্য মানুষের নিকট সঞ্জীবনী উদ্ভিদ হিসেবেই পরিচিত। রোজা সম্পূর্ণরূপে হ্যানিম্যানের আবিষ্কার এই আবিষ্কারের পেছনে একটি চমকপ্রদক প্রেক্ষাপটে রয়েছে। হ্যানিম্যান রোজার ৬৩৪ টি লক্ষণ বর্ণনা করেছেন পরবর্তীকালে এটি আরও পরীক্ষা হয় এবং ৩৩২০ টি লক্ষণের উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এই থুজা ওষুধ দিয়ে আসলে অনেকগুলো রোগের মহৌষধ হিসেবে হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই আপনারা আজকে আমাদের এখান থেকে রোজা হোমিও ঔষধটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারলেন।
আর এই ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকবেন তাহলে দেখবেন আপনার দৈনন্দিন জীবনে যত ধরনের তথ্য প্রয়োজন হয় সব ধরনের তথ্যই আমাদের এখান থেকে পাবেন। আবার কোন তথ্য যদি আপনাদের ডাউনলোড করে নিতে হয় সে বিষয়টিও আমাদের এখান থেকে নিতে পারবেন। তাই বলা যায় যে যে কোন তথ্য জানার জন্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে খোঁজ করবেন সেই বিষয়গুলো পাবেন বলেই আশা করি। আর এ ধরনের তথ্য যদি বারবার খোঁজে বের করার চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটেই আসবেন।