কারো যদি জিব্বার ভেতরে ঘা হয়ে থাকে তাহলে সেটা কেমন হয়ে থাকে তা আমরা ছবির মাধ্যমে প্রদান করছি বলে ছবির সঙ্গে আপনার জিব্বার ভেতরে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা তা মিলিয়ে দেখতে পারেন। সাধারণত জিহবার ভেতরে ঘা হয়ে থাকলে আমাদের মুখ প্রচন্ড পরিমাণে জ্বলতে থাকে এবং যে কোন খাবারে আমরা অনেক বেশি ঝাল অনুভব করি। তাই তরকারিতে ঝাল ব্যবহার করা হয়নি অথবা যে কোন খাবার আমাদের জিহ্বাতে অনেক বেশি প্রদাহ সৃষ্টি করছে এমন ক্ষেত্রে আমরা খুব দ্রুত ছবির সাথে মিলিয়ে দেখতে পারি।
এটা যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে এবং জিহবা তে ঘা হওয়ার পাশাপাশি মুখের চারিদিকে ছিলে যেতে পারে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে ছবি প্রদান করার মাধ্যমে প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে অবগত করছি যাতে করে সেটা দেখে নিয়ে আপনারা নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারেন। এখানকার এই ছবিগুলো মিলিয়ে দেখার মাধ্যমে আপনারা অনেকটাই উপকার পাবেন এবং সেই সাথে যদি মনে করেন আপনার সমস্যাটি আসলেই হয়েছে তাহলে নিচের দিকে প্রদান করা করণীয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারলে সুস্থতা অবলম্বন করতে পারবেন।
জিহ্বায় ঘা এর পিকচার
আপনি কি জিব্বায় ঘা এর পিকচার পেতে এখানে ভিজিট করেছেন? তাহলে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এই পিকচার প্রদান করছি বলে সেই পিকচার দেখে নিবেন এবং পিকচার দেখে নেওয়ার মধ্য দিয়েই কিন্তু এ বিষয়ে প্রতিকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন। সাধারণত ভিটামিন সি এর অভাবে এগুলো হয়ে থাকে এবং অনেক সময় মুখের ভেতরে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার কারণে আমরা এসকল রোগে আক্রান্ত হই। আবার অনেক সময় গরম বস্তু খেয়ে নেওয়ার কারণে মুখ পড়ে যায় এবং সেই ক্ষেত্রেই সমস্যাতে আমরা পড়ি।
জিহবায় ঘা হলে করণীয়
তাই আপনাদের জিহ্বায় যদি খাওয়া হয়ে থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে কি করণীয় হবে তা জেনে নিন। সাধারণত এই রোগটা হয়ে থাকে ভিটামিন সি এর অভাবে এবং আপনি যদি ভিটামিন সি এর অভাবে এই রোগে পতিত হয়ে থাকেন তাহলে দৈনন্দিন জীবনে সকল ধরনের উপকারিতা পাওয়ার জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। সেই জন্য আপনারা যদি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ গ্লাস কমলা লেবুর রস পান করতে পারেন অথবা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে পারেন তাহলে সুবিধা পাবেন।
এরকম পরিস্থিতিতে মুখের ভেতরে অনেক প্রদাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে বলে আপনারা সকল ধরনের মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন এবং মসলা খেলেও সেটা খুবই কম পরিমাণে তরকারিতে ব্যবহার করতে বলবেন। যেহেতু ভাজাপোড়া খাবারগুলোতে অধিক পরিমাণে মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেহেতু এই খাবারগুলো আপনাদেরকে সেই পরিস্থিতিতে এড়িয়ে চলতে হবে। তাই আপনারা এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে এগুলো জানতে পারলেন বলে আমরা আরও একটা বিষয় বলবো যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এমনিতেই বিভিন্ন রোগ এসে আক্রান্ত করতে পারে।
তাই আপনার শরীরের যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের জন্য সবচাইতে কার্যকারী উপায় হলো প্রতিদিন লেবু পানি খেতে পারেন। এটা শুধু যে আপনার জিহবার ঘা ভালো করবে তা নয় বরং অন্যান্য অনেক রোগ থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে। দৈনন্দিন জীবনে অসুস্থকর খাবার না খেয়ে আমরা যদি প্রচুর পরিমাণে ফল বা পানি খেতে পারি তাহলে সেটা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে। খাওয়ার সময় যদি কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে কিন্তু খুব একটা ভালো উপকার পাওয়া যায়।
এরকম পরিস্থিতিতে আপনারা যদি দুগ্ধ জাত খাবার খেতে পারেন তাহলেও কিন্তু উপকার পাওয়া যায়। যে সকল খাবারে অম্লীয় ভাব বেশি রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে কিছুটা চলতে হবে। তাছাড়া সারাদিনের ভেতরে আপনারা বেশ কয়েকবার জিহ্বা পরিষ্কার করবেন যাতে করে ব্যাকটেরিয়াগুলো ধুয়ে চলে যায়। দাঁতের জন্য সংবেদনশীল সৃষ্টি করে এমন খাবার বাদ দিয়ে চলতে হবে এবং এগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন বারো ওষুধ খেতে হবে।