ছোট অথবা বড় অনেকের কিন্তু টনসিলের সমস্যা দেখা যায়। মুখ গহবর এর ভেতরে নির্দিষ্ট একটা গ্রন্থে যখন ফুলে যায় তখন আমরা বলি যে টনসিলের সমস্যা বেড়েছে অথবা টনসিল ফুলে গিয়েছে। আর এই টনসিলের সমস্যা হলে গলায় ঢোক গিলতে গেলে যেমন ব্যথা অনুভূত হয় তেমনি ভাবে খাবার গ্রহণ করার সময়ও আমরা অনেক অসুবিধা বোধ করি। তাই আপনারা যদি টনসিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে এই প্রসঙ্গে এটার কি ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে তা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
সাধারণত ঠান্ডা লাগা থেকে টনসিলের সমস্যাগুলো খুব বেশি দ্রুত হয়ে থাকে। যারা রেফ্রিজারেটরের খাবার বেশি খেয়ে থাকেন অথবা ঠান্ডা বাতাস গলায় লাগিয়ে থাকে অথবা প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে যারা সচেতন ভূমিকা পালন না করেন তাদের এই ধরনের সমস্যা গুলো সবচেয়ে বেশি হয়। তাই টনসিলের সমস্যার ক্ষেত্রে ঔষধ খাওয়া বিষয়ে সর্বপ্রথমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে গলাতে কোনভাবেই ঠান্ডা না লাগে। শীতের দিনগুলোতে অবশ্যই গলায় গরম কাপড় জড়িয়ে রাখতে হবে এবং ফ্রিজের বেশি বেশি খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
আর আপনি যদি এ বিষয়গুলো মেনে চলতে না পারেন তাহলে সেটা খুবই সমস্যার বিষয় হবে এবং কোন ওষুধ খেয়েও আপনি টনসিলের সমস্যাগুলো দূর করতে পারবেন না। বর্তমান সময়ে আমরা কোন অসুখ হলেই সরাসরি ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই কিন্তু সেটার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই না। আর যখন আপনাদের ঔষধ খেতে খেতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ওষুধের সাইড ইফেক্ট যখন আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে তখন কোন ওষুধে কাজ হতে চাই না অথবা আপনারা সকল দিক থেকে অসুবিধাই পড়ে যান।
তাই খেতে ভালো লাগলেও অথবা খুব মজাদার খাবার হলেও ফ্রিজের খাবার না খেয়ে কিছুটা রুম টেম্পারেচার করে নিতে হবে। বিশেষ করে যারা কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন না এবং সব সময় ফ্রিজ থেকে বের করেই সাথে সাথে ঢক ঢক করে কোলড্রিংস খেয়ে থাকেন তাদেরকে বলবো যে টনসিলের সমস্যায় যদি পড়েন তাহলে পুরোপুরি ভাবে এটা বাদ দিতে হবে। কারণ এ ধরনের ঠান্ডা আপনার গলায় গেলেই সেটা খুব দ্রুত কাজ করবে এবং আস্তে আস্তে শিরশিরে ভাব থেকে সেটা ব্যথাতে পরিণত করবে।
টনসিল হলে করণীয় কি
টনসিল হলে প্রথমত আপনাদেরকে আমরা গরম পানি খাওয়ার পাশাপাশি লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করার জন্য বলবো। সারাদিনের পাঁচ থেকে ছয় বার আপনারা যদি লবণ এবং কুসুম গরম পানি মিক্সড করে গড়গড়া করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার টনসিলের জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা রাখবে। তুলসিরি পাতার সঙ্গে আপনারা যদি মধু অথবা লবনের রস করে খেতে পারেন তাহলে সেটাও কিন্তু গলার পক্ষে খুবই উপকারী ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া টনসিল হওয়া অবস্থায় কোনোভাবেই ফ্রিজের খাবার খাওয়া উচিত নয় এবং ঠান্ডা থেকে দূরে থাকা উচিত।
টনসিল এর ঔষধ হোমিওপ্যাথি
হোমিওপ্যাথি ডাক্তারেরা কখনোই ওষুধের নাম প্রকাশ করে না বলে সেটা আপনারা বুঝতে পারেন না। কাউন্সিলের ঔষধের ক্ষেত্রে আপনারা যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে শুধু ওষুধের নাম জেনে নিতে চান তাহলে এটা কখনোই জানানো যাবে না অথবা আমরা নিজেরাও জানতে পারিনি। তাই টনসিলের হোমিওপ্যাথি ঔষধের নাম জেনে নেওয়ার পরিবর্তে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তারা আপনাদেরকে সঠিক ঔষধ দিয়ে আপনার এই সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
বাচ্চাদের টনসিলের ঔষধ
বাচ্চাদের এবং বড়দের ক্ষেত্রে প্রায় একই রকমের টনসিলের ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা বিভিন্ন টনসিলের ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা যেন না লাগে সে বিষয়ে সচেতন ভূমিকা রাখবেন এবং ফ্রিজের সকল ধরনের খাবার সেই মুহূর্ত থেকে বাদ দিতে হবে। গলা অথবা বুকে যেন ঠান্ডা না লাগে অথবা পানি জমে সেটা যেন ঠান্ডার সৃষ্টি না করে সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করতে হবে। আর যদি কোন ভাবেই টনসিলের ব্যথা না কমে তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারা আপনাদেরকে যে ধরনের ওষুধ প্রদান করবেন সেগুলো নিয়ম মেনে খেতে হবে।