ছোট বাচ্চাদের দাঁত পোকায় খেয়ে ফেলে। এটা আমরা আনুমানিক ধারণা বসত বলে থাকি। কিন্তু দাঁতের পোকা বলতে কিছুই হয় না। দাঁতের অ্যানিম্যাল অর্থাৎ দাঁতের ওপরের অংশ ক্ষয় হয়ে যায় এবং দাঁত দেখতে ভাঙ্গড় এবং ক্ষয়প্রাপ্ত দেখায়। পুষ্টির অভাবে এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে বাচ্চাদের দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়। তবে বাচ্চাদের দাঁত ক্ষয় হয়ে গেলে ভয়ের কোন কারণ নেই কারণ নির্দিষ্ট একটি বয়সের পর দুধের দাঁত পড়ে পরবর্তীতে আবার দাঁত উঠে যায়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স মানুষের যদি দাঁত ক্ষয় হয়ে যায় তাহলে তখন আর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দাঁত ক্ষয় রোধ করতে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে ঔষধ সেবন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
আপনার কি দাঁত ক্ষয় হয়ে গেছে?দাঁত ক্ষয় রোধ করতে আপনি কি করণীয় সেটা কি জানতে চান?
এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
দাঁত ক্ষয় রোধের জন্য অবশ্যই আপনাকে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। মিষ্টি জাতীয় চকলেট খাবার বেশি খেলে দাঁতের এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বাচ্চাদের। অনেক সময় পুষ্টির অভাবেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনেকের ক্ষেত্রে দাঁতের শীর্ষি রানী থেকে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়। দাঁত হল শরীরের এমন একটি অংশ যার নিয়মিত চিকিৎসা এবং নিয়মিত যত্ন নিতে হবে।খাদ্য তালিকায় রাখুন ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার। এসব খাবারে থাকা ফ্যাট সলিউবল প্রকৃতি দাঁতের ক্ষয় রোধে কাজ করে। শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি নারকেল তেল, অ্যাভোকেডো, বাদাম ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর চর্বি খাদ্য তালিকায় রাখুন। টুথপেস্ট হোক ভেষজ: রাসায়নিক উপাদান কম থাকে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
দাঁতের ক্ষয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্লোরাইড – এটি দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ এবং সীমাবদ্ধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে একটি। ফ্লোরাইড প্রাকৃতিকভাবে চা, নির্দিষ্ট মাছ এবং কিছু খাবারে পাওয়া যায় এবং প্রায়শই টুথপেস্টে পরিপূরক হয়।দাঁতের সমস্যায় কম বেশি সবাই ভোগেন। একটু অসতর্ক হলেই দাঁতে না ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে ডেন্টাল ক্যারিজ বা ক্ষয় জটিল সমস্যা। গ্রাম বাংলায় যাকে দাঁতে পোকা বলে অভিহিত করা হয়। প্রকৃতপক্ষে দাঁতে পোকা বলে কিছুই নেই। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁতের ক্ষয় রোগের জন্য দায়ী।
সাধারণত যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, চকলেট, চুইংগাম, ক্যান্ডি ইত্যাদি খাওয়ার পর মুখে এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ ‘এনামেল’ ক্ষয় করে থাকে।যারা এসব খাবার বেশি খায় তাদের ক্ষেত্রে এনামেল ক্ষয় হয়ে দাঁতে ছিদ্র বা গর্ত তৈরি হয়।
দাঁতের মধ্যে গর্ত বা ক্যাভিটি হলে তাতে ময়লা ও খাদ্য কণা জমে, ফলে সংক্রমণ হয়। শিশুদের এ গর্ত বা ক্যাভিটি হলে তারা ব্যথায় কষ্ট পায় ও কিছু খেতে গেলেই দাঁত শিরশির করে ওঠে। প্রাথমিক অবস্থায় খুবই ছোট কালো গর্তের মতো দেখায়। এ অবস্থায় কোনো ব্যথা বা অসুবিধা না থাকায় রোগীরা, বিশেষ করে শিশুরা বুঝে উঠতে পারে না যে গর্ত তৈরি হচ্ছে। জটিলতা হওয়ার পরই কেবল ধরা পড়ে।দাঁতে গর্ত দেখা দেওয়া মাত্র দেরি না করে শূন্য জায়গাটা ভর্তি বা ফিলিং করে নেওয়া উচিত। ডেন্টাল ক্যারিজ যদি ধীরে ধীরে ডেন্টিন থেকে আরও গভীরে অর্থাৎ পাল্প চেম্বার পর্যন্ত চলে যায়, তবে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়। চিকিৎসা ব্যবস্থাও জটিল হয়ে পড়ে।
ভাঙা দাঁতকে আজকাল ফিলিং দিয়ে সুন্দরভাবে পূরণ করা যায়, যা দেখতে অবিকল স্বাভাবিক রঙের হয়। রুট ক্যানেল চিকিৎসা করা দাঁতে ক্রাউন বা মুকুট বসাতে দেরি করা উচিত নয়। যাকে আমরা দাঁতের ক্যাপ বলে থাকি। দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বছরে অন্তত দুইবার নিয়ম করে ডেন্টিস্ট এর কাছে ভিজিট করুন। দাঁত পরীক্ষা করান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন। দাঁত ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবারের সাথে সাথে নিয়মিত নিয়ম করে দুইবার ব্রাশ করুন। তাহলে দেখবেন দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন।