এখনকার মানুষের কম বেশি সবাই নানা ধরনের দাঁতের সমস্যায় ভোগেন। মূলত কম বেশি বাড়তে ব্যথা আমরা সবাই অনুভব করে থাকি। আপনার খাদ্য তালিকা পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে এটা হতে পারে। ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁতের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে এবং তীব্র ব্যথা অনুভব হতে পারে। দাঁতের ব্যথা যাদের হয় তারাই বোঝে এর যন্ত্রণা। দাঁতের যন্ত্রণা এতটাই গুরুতর হয় যে এর ফলে শরীরের জ্বর পর্যন্ত চলে আসে। দাঁতের তীব্র ব্যথা হলে সারা শরীর ব্যথা অনুভব হয় এবং অনেকের ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো যে বাংলাদেশে দাঁতের চিকিৎসায় অর্থাৎ দাঁতের ব্যথার জন্য কোন কোন ব্যথার ঔষধ প্রচলিত রয়েছে।
এর ফলে আমরা যদি দাঁতে ব্যথা অনুভব করি এবং আমাদের নিকটবর্তী কেউ যদি এরকম সমস্যায় ভোগে তাহলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য যেন আমাদের থাকে। আমাদের যদি জানা থাকে যে কিভাবে দাঁতের ব্যথা কমানো সম্ভব এবং দাঁতের ব্যথার জন্য বাংলাদেশের কোন কোন ব্যথার ঔষধ অ্যাভেলেবল রয়েছে। তাহলে আমরা যে কোন ঔষধের দোকান থেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা কিন্তু দিতে পারি।দাঁতের ব্যথা দূর করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে রাখা ভালো। কারণ গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা যোগাযোগের সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে কিন্তু অনেক সময় ঔষধ কেনার সময় পায়না। তাই ঘরোয়া ভাবে ব্যথা উপশম করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন।
লবঙ্গ ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। দাঁতে যদি ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে দুটি লবঙ্গ পিষে নিন। তাতে দুই ফোটা অলিভ অয়েল তেল নিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করুন। দ্রবণটি ব্যথাযুক্তির স্থানে লাগান এবং জিভ দিয়ে চেপে ধরে থাকুন। দেখবেন কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা কমে যাবে।
লবণ গোলমরিচের গুঁড়া পানি মিক্সড করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। লব নকল মরিচের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী ও অ্যানালজরসসিক উপাদান। এখন পেস্ট ব্যথা যুক্ত স্থানে লাগান। এতে ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।লবন পানি মারি ফোলা, দাঁতে ব্যথা, গলা ব্যথা ইত্যাদির জন্য খুবই উপকারী আমরা সবাই জানি। কুসুম গরম পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চার বার কল করছি ও গড়গড়া করলে দাঁতে ব্যথা ও গলা ব্যথা দূর হয়।আমরা জানি রসুন এন্টিবায়োটি হিসেবে কাজ করে। যেকোনো ব্যথা কমানোর জন্য রসুন খুবই উপকারী। দাঁতে ব্যথা দূর করার জন্য একুয়ার ফোন চিবিয়ে খান এদের দ্রুত ফলাফল পাবেন।
আপনি খেয়াল করলে দেখবেন গ্রামের বাড়িতে কারোর দাঁত ব্যথা হলে মুরুব্বিয়ানরা বলে পেয়ারা পাতা চিবুতে।পেয়ারা পাতার রস দাঁত ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। পেয়ারা পানিতে সিদ্ধ করে উক্ত পানি মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিম পাতা ব্যাকটেরিয়া দূর করার একটি ওষুধ বলা চলে। নিম পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন।উক্ত পানি ছেঁকে নিয়ে দাঁতে এক চামচ লবণ মিক্স করুন। তারপর ওই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন ও মুখ দিয়ে ফেলুন।এতে অনেক আরাম মিলবে।
কর্পূরের মধ্যে তিলের তেল মিশিয়ে একটি পেস্ট করুন এবং মাড়িতে পেস্ট ম্যাসেজ করুন। এটা করলে আপনার স্বল্পমেয়াদী দাঁতের ব্যাথার উপশম হবে। পেঁয়াজ- দাঁত বা মাড়িতে ব্যথা হলে পেঁয়াজ টুকরা টুকরো করে চেপে রাখুনএবং এটি করলে দাঁতের ব্যাথা থেকে মুক্তি দেয়।এবার বাংলাদেশের সবচেয়ে কার্যকারী দাঁতের ব্যথার ওষুধ টির নাম জেনে নেব। এই ওষুধটি আমরা খুবই সহজে যে কোন কেমিস্ট্রির দোকানে পেয়ে যাব।
ফ্লুব্লাস্ট ট্যাবলেট (Flublast Tablet), হালকা অ্যালেনেজিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ, জ্বরের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্যথা রিলিভারে দ্বারা হয়ে থাকে । এটি ব্যাথা, মাথাব্যাথা, আর্থথ্রিটিস এবং একটি দাঁত ব্যাথা করার ক্ষেত্রে ব্যথা উপশম করতে ব্যবহৃত হয় ।
নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সাথে সাথে রাতের যত্ন নিতে ভুলবেন না। কারণ যারা দাঁতের সমস্যায় ভোগেন তারাই জানে এর যন্ত্রণা কত খানি। দাঁতে যদি ব্যথা হয় তাহলে পছন্দের মুখরোচক খাবারগুলো খেতে পারবেন না। ঠিকমতো খাবার চিবতে না পারলে শরীরের ক্ষতি হয়। তাই অবশ্যই নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে।