ছোটবেলায় আমরা যখন ট্রেনের কবিতা পড়তাম তখন ট্রেন দেখার প্রতি আমাদের এক অন্য ধরনের আগ্রহ কাজ করতো। প্রকৃতপক্ষে রাস্তাঘাটে বের হলেই বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ঘোড়া দেখতে পেলেও অথবা মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ উড়ে চলে যেতে দেখলেও ট্রেন কিন্তু সচরাচর সব জায়গায় দেখা যায় না। কারণ এটা একটা নির্দিষ্ট লাইনের উপরে চলাফেরা করে এবং আমরা যদি সেখানে যাই অথবা কাছাকাছি অবস্থান করে তাহলে সেই লাইন দিয়ে যখন ট্রেন চলে তখন আমাদের সামনে তা পড়ে।
আর আপনারা যদি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিভিন্ন ট্রেনের ছবি সংগ্রহ করতে এখানে ভিজিট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সুন্দর সুন্দর ট্রেনের ছবি প্রদান করব। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেসকল আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে এবং লোকাল ট্রেন রয়েছে অথবা কম্পিউটার ট্রেন রয়েছে সবগুলোই আপনারা এখান থেকে দেখতে পাবেন। সুন্দর সুন্দর এ সকল ট্রেনের ছবি দেখলেই মনে হবে ইস কোথাও যদি ট্রেনে করে ভ্রমণ করতে যেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। প্রকৃতপক্ষে ট্রেনের ভ্রমণ কিন্তু আসলেই মজাদার হয়ে থাকে।
আপনি অন্য কোন ট্রান্সপোর্টে করে যদি কোথাও বেড়াতে যান তাহলে সেটার মজা এক রকমের হয়ে থাকলেও ট্রেনে করে ভ্রমণ করার মজা সবসময় আলাদা হয়। তাছাড়া যাদের শারীরিক সমস্যার কারণে অন্যান্য ট্রান্সপোর্টে যাওয়া আসা করতে পারেন না তাদের জন্য ট্রেন কিন্তু অত্যন্ত উপযোগী একটা ব্যবস্থা হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে চাইবেন তখন অবশ্যই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য আপনাকে ট্রেনের টিকিট অগ্রিম কাটতে হবে।
ট্রেনের ছবি আঁকা
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের যদি ট্রেনের ছবি আঁকতে বলা হয় তাহলে কিভাবে আসবেন তা আমাদের ওয়েবসাইটের এই ছবিগুলোর মাধ্যমে ধারণা অর্জন করতে পারেন। আর যদি আপনারা ট্রেনের ছবি আঁকা এখান থেকে দেখতে চান তাহলে সেটাও দেখতে পারছেন। ট্রেনের ছবি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আঁকানো যায় এবং এটার মাধ্যমে একজন মানুষের কিন্তু দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ে গ্রুপ নামে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক গ্রুপ রয়েছে যারা নিজেদের ভালোবাসা ট্রেনের প্রতি প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক সময় ছবি এঁকে সেগুলো আপলোড করে থাকেন।
ট্রেনের সিটের ছবি
ট্রেন একটি হয়ে থাকলেও এর ভেতরের ছবিগুলো অথবা সিটের অবস্থানগুলো কিন্তু বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আপনি যদি শোভন চেয়ারে ভ্রমণ করেন তাহলে সেটা এক রকমের হয়ে থাকবে অথবা এসি বার্থে ভ্রমণ করে থাকলে সেটার আসন ব্যবস্থা অন্যরকম হয়ে থাকবে। অর্থাৎ বিভিন্ন রোগী অনুযায়ী এবং সিটের প্যাটার্ন আলাদা হয়ে থাকে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা ট্রেনের সিটের ছবিগুলো প্রদান করছি এবং কোন কোচের নাম কি অথবা কোন আসনের নাম কি সেটা কিন্তু এখান থেকে আপনারা ধারণা অর্জন করে নিতে পারেন।
আন্তঃনগর ট্রেনের ছবি
এক জেলা শহর থেকে আরেক জেলা শহরে ছুটে যাওয়ার ট্রেনের নামই হলো আন্তঃনগর ট্রেন। বাংলাদেশের ভেতরে প্রত্যেকটি বড় বড় স্টেশন থেকে মোটামুটি ভাবে তিন থেকে পাঁচ টি ট্রেন ছেড়ে চলে যায়। যেহেতু সকল ক্ষেত্রে ট্রেনের গন্তব্যস্থল হয়ে থাকে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সেহেতু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ সকল ট্রেন ছেড়ে যায় আবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তা বেরিয়ে আসে। তবে আন্তঃনগর ট্রেনের আকৃতি অথবা আন্তঃনগর ট্রেনের রং একই রকমের হয়ে থাকার কারণে আপনারা এগুলোর নাম দেখে চিনতে পারবেন।
লোকাল ট্রেনের ছবি
সাধারণত লোকাল ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি থেকে শুরু করে এবং অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে অনেক পার্থক্য হয়। তারপরও আপনাদের উদ্দেশ্যে লোকাল ট্রেনের ছবি প্রদান করলাম যাতে করে বুঝতে পারেন লোকাল ট্রেন কেমন হয়ে থাকে। লোকাল ট্রেনে করে আপনি যদি ভ্রমণ করেন তাহলে সেখানে যাত্রীসমাগম অনেক বেশি হবে এবং ভাড়া তুলনামূলক আন্তঃনগর ট্রেনের চাইতে অনেক কম হবে। তাছাড়া লোকাল ট্রেন প্রত্যেকটা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে বলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে আপনার যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিতে হবে। ধন্যবাদ।