সাইপ্রাস থেকে অন্য দেশে যাওয়া

আপনি যদি তুর্কি বা চারপাশ থেকে অন্য দেশে যেতে চান তাহলে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে আজ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমাদের পুরো আর্টিকেল কি মজক সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন তুর্কি থেকে আপনি কিভাবে অন্য দেশে যেতে পারেন খুব সহজে।চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।

সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে

তুর্কিতে যেতে কত টাকা খরচ হয়, সে বিষয়ে আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি, আপনি কোন ভিসা তে তুর্কিতে যাবেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার টাকার পরিমাণ কম বেশি হবে। আপনি যদি পড়াশোনা জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় তুর্কিতে যেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সর্বমোট চার থেকে ছয় লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় তুর্কিটে যেতে চান তাহলে আপনাকে আগেই কলেজে 4000 ইউরো কলেজে জমা দিতে হবে। বাকিটা যাতাওয়াত খরচ হিসাবে আপনার খরচ হবে।

আপনি যদি তুর্কিতে কাজের ভিসায় যেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পাশ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এই খরচ আপনার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে কারণ ডলারের দাম কম বেশি হলে তুর্কিটে যাবার খরচ ও আপনার বেশি লাগবে। তবে আপনি যদি কোন দালালের খপ্পরে পড়েন তাহলে আপনার ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে তাই, সাবধানে থাকবেন যেকোনো সময় আপনার অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে দালালের পাল্টে পড়ে।

সাইপ্রাস ভিসার ক্যাটাগরী

আপনি যদি তুর্কি বা সাইপ্রাস যেতে চান তাহলে আপনি দুইটা ভিষার মাধ্যমে যেতে পারবেন। একটি হলো সিজনাল ভিসা, আরেকটি হলো নল সিগনাল ভিসা।

সিজনাল ভিসা: আপনি যদি এই ভিসার মাধ্যমে তুর্কিটে যেয়ে থাকেন তাহলে আপনি অল্প সময়ের জন্য সে দেশে থাকতে পারবেন। এই ভিসায় গেলে আপনি এক বছর থাকতে পারবেন, কারণ এই ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর করে দেওয়া হয়।

নন সিজনাল ভিসা: নন সিজনাল ভিসার মেয়াদ থাকে, দুই থেকে চার বছর। এই ভিসা মেয়াদ শেষ হলে আবার রিনিউ করে নেয়া যায় তাই এই ভিসা তেমনটা ঝামেলা নেই।

সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

সাইপ্রাস দেশে যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যায়, জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সকল ভাই ও বোনেরা তুর্কিতে যেয়ে থাকে তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যে থাকে। কারণ এই ভিসায় আপনি যদি সে দেশে যান তাহলে আপনাকে আগে বেশ কিছু তথ্য ও পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয় কারণ আপনি যে কাজে যাবেন সেই কাজ আপনি পারেন কিনা সেটার উপর নির্ভর করে আপনাকে সে দেশের ভিসা প্রদান করা হয়। তবে বেশিরভাগ বাংলাদেশি মানুষ তুর্কিটে গিয়ে হোটেল রেস্টুরেন্ট বা কৃষি কাজ করে থাকে এর কারণে তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে তুর্কিতে যেতে পারেন। আপনি যদি তুর্কিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।

সাইপ্রাস ভিসা চেক করার নিয়ম

https://www.moi.gov.cy/moi/moi.nsf/index_gr/index_gr?OpenDocument
এই লিংকে ক্লিক িক করে আপনারা আপনার পাসপোর্ট ভিসা নাম্বার দিয়ে খুব সহজেই ছাইপাক ভিসা দেখে নিতে পারবেন।

সাইপ্রাস সর্বনিম্ন বেতন কত

তুর্কিটে যদি আপনি জীবিকা নির্বাহের জন্য যান তাহলে আমি সর্বনিম্ন বেতন ৮০০ থেকে ১০০০ ইউরো পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। যা বাংলাদেশী টাকায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কিসের গাছ বা রেস্টুরেন্টে কাজ করো একজন বাংলাদেশী এভারেজে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউরো পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।

আপনার কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো তুর্কি সরকার বেতন নির্ধারণ করে থাকে। তাই যে কোন দেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে কাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

প্রতিদিন টাকার মান কমবেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অনেকে আছে যারা। তাই যাবার আগে টাকার মান কত রয়েছে সেটার উপর নির্ভর করে আপনার টাকা খরচ হবে।

সাইপ্রাস থেকে ইতালির দুরত্ব কত এবং যেতে কত সময় লাগে

সাইপ্রাস থেকে ইটালির দুরত্ব ১,৯৫৭ কিলো মিটার। সাইপ্রাস থেকে বিমানে করে ইটালি যেতে ১৩ ঘন্টার মত সময় লাগে।

Leave a Comment