আপনারা যারা ট্রাই গ্লিসারাইডের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরকে অবশ্যই সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে এই রোগ সম্পর্কে জানেন না জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে বেসিক ধারণা প্রদান করছি। অর্থাৎ এটা এমন এক ধরনের সমস্যা যেটার মাধ্যমে আপনার শরীরের ভেতরে ফ্যাট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ এই সমস্যাগুলো বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এবং রক্তের ভিতর যখন এই ফ্যাট বৃদ্ধি পেয়ে যাবে তখন গুড কোলেস্টেরল কিন্তু কমে যাবে। সুতরাং সুস্থ জীবন যাপন অনুসরণ করতে হলে রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
যারা ওজনে অনেক বেশি অথবা যাদের শরীরে ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের এই সংক্রান্ত সমস্যা গুলো খুব দ্রুত হয়ে থাকে। আবার বাস্তবিক জীবনে আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ না করে বেশি বেশি শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করা অথবা শারীরিক পরিশ্রমের দিক থেকে যারা অলস ও গাইড পরিশ্রম কম করে থাকেন তাদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনারা যদি ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমাতে চান এবং গুড কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিম্নত্ব কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
আর আপনারা যারা এই পোষ্টের মাধ্যমে ঔষধ সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদের বলব যে ঔষধ ডাক্তার ব্যতীত কখনোই গ্রহণ করা উচিত নয়। অর্থাৎ আপনার শরীরের কি অবস্থা অথবা কোন পর্যায়ে এটা রয়েছে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার যখন আপনাকে সাজেশন প্রদান করবে তখন সেই ওষুধ এবং জীবন ব্যবস্থা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি একটা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।
তাই যারা এই সমস্যা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে চান অথবা ভবিষ্যতে ফ্যাটি লিভার থেকে নিজেকে বাঁচাতে চান তাদের উদ্দেশে বেশ কিছু নিয়ম আমরা নিচের দিকে তুলে ধরলাম।আর যারা ওষুধের নাম জানতে এসেছিলেন তাদেরকে বলব যে ওষুধের নাম ডাক্তারের থেকে জেনে নিতে হবে এবং আপনাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করাটা জরুরী। আর এক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করতে পারলে আশা করি সেটা আপনাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সুস্থ জীবন যাপন করতে সাহায্য করবে।
ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি হলে করণীয়
আপনার যদি ট্রাই গ্লিসারাইড বেশি হয়ে থাকে তাহলে প্রথমত আপনাদেরকে এটা কমাতে যেটা করতে হবে সেটা হলো সকল ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার ও মাংস বাদ দিতে হবে। যেটা খাবেন সেটা পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে এবং রেড মিট বাদ দিয়ে আপনাদের দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাদের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং রিফাইন্ড কার্ভস খাওয়া থেকে পরিপূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে। সেই সাথে যারা অ্যালকোহলে আসক্ত অথবা এ ধরনের বাজে অভ্যাস রয়েছে তারা এগুলো বাদ দেবেন যাতে করে নিজেদের স্বাস্থ্য নিজেরাই সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারেন।
ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর ঘরোয়া উপায়
বর্তমান সময়ে আপনারা এই ট্রাই গ্লিসারাইড কমাতে বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব ভিডিও বা ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্য কাজে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনের খাবারের তালিকায় শাকসবজি বেশি পরিমাণে রাখবেন এবং বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। সবুজ শাকসবজি এবং রঙিন ফলমূল যদি খাবারের অভ্যাস করতে পারেন তাহলে সেটা কিন্তু আপনাকে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি দিবে এবং রক্তে এই চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দিবে।
ট্রাই গ্লিসারাইড কম করার জন্য সাত দিনের খাদ্য
রক্তের পক্ষে ট্রাই গ্লিসারাইড কমানোর জন্য সাত দিনের কোন ডায়েট প্ল্যান নেই। এটা আপনার শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে একটা পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করার মতো করে মেনে নিতে হবে এবং তেমনভাবে খাবার গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি খাবার গ্রহণ করার পর ট্রাইগ্লিসারাইড কমে গেল এবং পরবর্তীতে আবার বাজে খাবারের অভ্যাস গড়ে তুললেন তাহলে কখনো এটা থেকে চিরস্থায়ী সমাধান পাবেন না। তাই কার্বোহাইড্রেট খাবারের ভেতরে বেশ কিছু খাবারের যেমন নিয়ম মেনে চলতে হবে তেমনিভাবে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে গুড ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে হবে। এছাড়াও আরো অনেক খাদ্য রয়েছে যেগুলো একজন ট্রাইগ্লিসারাইড রোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।