দিনের পর দিন না খেয়ে থাকার কারণে অথবা অস্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার কারণে অনেকেরই আলসার রোগ হতে দেখা যায়। তবে আলসার রোগ হলে সেখান থেকে ক্যান্সার হয় কিনা সে প্রসঙ্গে যারা জানতে এসেছেন তাদের জন্যই আমরা বিস্তারিত তথ্য রেফারেন্স সহকারে প্রদান করার চেষ্টা করব। কারণ মনগড়া তথ্যের চাইতে রেফারেন্স দিয়ে বোঝাতে পারলে সেটা সবচাইতে ভালো হয় এবং আপনারাও সেটা বিশ্বাস করে সেই অনুযায়ী চলতে পারেন। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আলসার থেকে কি ক্যান্সার হয় সে প্রশ্নটি আপনারা জেনে নিতে পারলে আশা করি দৈনন্দিন জীবনে সঠিক জীবন ব্যবস্থা মেনে চলতে পারবেন।
আলসার এমন এক ধরনের রোগ যেটা অস্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার কারণে অথবা ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়ে অনেকে না খেয়ে থাকার কারণে পেটের যে দেয়াল রয়েছে সেখানে প্রদাহের সৃষ্টি করে। যখন সেখানে এসিড উৎপন্ন বেশি পরিমাণে হবে তখন সেটা থেকে বেশি বেশি পরিমাণে ক্ষতের সৃষ্টি হবে এবং সেই ক্ষত থেকে প্রচুর পরিমাণে ব্যথার সৃষ্টি হবে। তবে কোনো কারণে যদি আলসার আপনারা আগে থেকে বুঝতে পারেন এবং এটার জন্য যদি সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আশা করি যে খুব দ্রুত আপনারা আনসার থেকে মুক্তি পাবেন।
কিন্তু অনেক সময় এটাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার ফলে আলসার রোগটি অনেক বড় আকার ধারণ করে এবং এটা থেকে যদি ক্যান্সারের মতো রোগ হয়ে যায় তাহলে আপনাদের জীবন ব্যবস্থা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে যাবে। তাই দৈনন্দিন জীবনে আপনাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত আমরা আপনাদেরকে তথ্য জানিয়ে দিচ্ছি বলে সেগুলো অনুযায়ী আপনারা অনেক কিছুই জানতে পারছেন এবং অনেক কিছুই করতে পারছেন। আলসার রোগটি কখনোই পুষে রাখার মত রোগ নয় এবং যেকোনো ধরনের রোগ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনারা সুস্থতা অবলম্বন করতে পারেন।
যদি আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মোঃ জায়েদ হোসেন স্যার এর বক্তব্য শুনতে চাই তাহলে বলব যে তিনি এটাকে বলেছেন এক ধরনের পেপটিক আলসার যা শরীরের ভেতরে গ্যাসের মত করে জমা হয়ে থাকে। আর যদি কোন ব্যক্তির পেপটিক আলসার হয়ে থাকে তাহলে এটা এখনো ক্ষত পর্যায়ে যায়নি বলে স্বাভাবিকভাবে এটা থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
তাই পেপটিক আলসার থাকা অবস্থায় আপনারা যদি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করতে পারেন অথবা যে সকল খাবার গ্রহণ করার ফলে গ্যাস্ট্রিক হচ্ছে সেগুলো বিরত থাকতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো হবে। তবে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ যদি সেবন করার প্রয়োজন হয় তাহলে সেগুলো সেবন করে দ্রুত সুস্থতা অবলম্বন করার পাশাপাশি সকল ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে আপনাদেরকে দূরে থাকতে হবে। যারা একটানা কোন ধরনের কাজ করে থাকেন সে ধরনের কাজ না করে ধাপে ধাপে কাজগুলো করার চেষ্টা করুন এবং দৈনন্দিন জীবনে মানসিক প্রশান্তির চর্চা করুন।
কারণ মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন অথবা চাপের মধ্যে থাকেন এমন ব্যক্তিরা খুব দ্রুত আলসারে আক্রান্ত হতে পারেন। তাছাড়া খাবারে অনিয়ম থেকে শুরু করে যারা তেলেভাজা জিনিস অতিরিক্ত পছন্দ করেন তাদের জন্য এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি রয়েছে। আর এই প্রসঙ্গে এটা আলোচনা করা হলো যে আপনি যদি এর বড় রকম জীবন ব্যবস্থা মেনে চলেন তাহলে খুব দ্রুত আনসার আক্রান্ত হবেন এবং এই আনসার থেকে পরবর্তীতে আপনাদের ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অর্থাৎ আপনি যদি সঠিক জীবন ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে গ্যাস্ট্রিক কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং সকল ধরনের খাদ্য ব্যবস্থাকে সঠিক একটা নিয়মের মধ্যে আনতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার পাকস্থলীতে কোন ধরনের ছিদ্র হচ্ছে না।আর যদি সেখান থেকে বেশি পরিমাণে অ্যাসিড নির্গত হয় তাহলে পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে যাবে এবং সেটা পরবর্তীতে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে।