বিশ্ববিদ্যালয় অনুচ্ছেদ

বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নির্মিত অংশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে বা টপিক হচ্ছে অনুচ্ছেদ লিখন। এই অনুচ্ছেদ লিখন সম্পর্কে অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমাণে ধারণা নেই বা কিভাবে অনুচ্ছেদ লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এই বিষয়ে অনেকে জানে না। এজন্য দেখা যায় যে অনেকেই অনলাইনে অনুচ্ছেদ লিখন সম্পর্কে জানতে চায় বা বিভিন্ন টপিকের উপর অনুচ্ছেদ লিখা সার্চ করে সেই অনুচ্ছেদ গুলো সংগ্রহ করতে চায়। মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তারা যেন খুব সহজেই এই বিষয়গুলো জেনে নিতে পারে এজন্য এই অনুচ্ছেদ বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

সেই সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনিও কি বিশ্ববিদ্যালয় অনুচ্ছেদটি খোঁজ করছেন? বা কিভাবে এই টপিকের উপর অনুচ্ছেদ লিখা যায় তা জানতে চাচ্ছেন? এই বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? কিভাবে অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর পাওয়া যায় তা জানতে চাচ্ছেন? আপনি কি অনুচ্ছেদ লিখতে খুব বেশি পারদর্শী নয়? এজন্য অনুচ্ছেদ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এবং এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্য লেখা হয়েছে। কেননা এই আর্টিকেলতে বিস্তারিতভাবে খুবই সহজ ভাষায় এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

যেকোনো বিষয়ে অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর পেতে হলে অবশ্যই সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে যদি অনুচ্ছেদ লিখতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো হয়তো তুলে ধরা সম্ভব হবে না। কিন্তু যেই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলো এই অনুচ্ছেদে তুলে ধরতে হবে। তাছাড়া যে কোন অনুচ্ছেদ একটি স্ট্যান্ডার্ড মানে লেখা উচিত। যেমন যদি অনেক বড় লেখা হয় তাহলে তা মানানসই হবে না। আবার অনেক ছোট লিখলেও তা মানানসই হবে না।

তাই একটা স্ট্যান্ডার্ড মাত্রা বজায় রেখে সঠিক ভাবে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে। অর্থাৎ খুব বড় লেখাও যেমন ঠিক না, তেমনি ভাবে খুব ছোট লেখাও ঠিক নয়। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু লিখতে হবে। সঠিক তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে হবে বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে হবে। আর যে কোন বিষয়ে লিখে পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য হাতের লেখা স্পষ্ট হওয়া জরুরি। অনেকেই দেখা যায় যে ভালো পড়াশোনা করে বা কোন বিষয় ভালো বোঝে, কিন্তু ঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করতে পারেন না। আবার হাতের লেখা ভালো না হওয়ার কারণেও ভালো নম্বর পায় না। এজন্য হাতের লিখার দিকে মনোযোগী হতে হবে।

অনেকেই বলে যে হাতের লেখা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। কিন্তু আসলে এই কথাটি ভুল। একটি মানুষের হাতের লেখা যদি খুব সুন্দর হয় এবং চমৎকারভাবে যেকোনো বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে সে অবশ্যই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। আর যদি কোন ব্যক্তির হাতে লেখা খারাপ হয়ে থাকে বা হাতের লেখা ভালোভাবে বুঝা না যাই, কোন বিষয় উপস্থাপন করছে তা যদি ধরতে না পারে, তাহলে সে কখনো ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে না। তাই হাতের লেখার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।

যদি কোন কারনে হাতের লেখা খারাপ হয়, তাহলে সময় নিয়ে অনুশীলন করতে হবে। বারবার অনুশীলন করলে অবশ্যই হাতের লেখা সুন্দর হবে এবং সেই লেখায় ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। আর যে কোন টপিকে যখন লিখা হবে, তখন সে টপিক কে গুরুত্ব দিতে হবে। আর সেই টপিকের কথা মাথায় রেখে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে। অনেকে দেখা যায় যে যে বিষয়ে লিখতে বলা হয় সেই বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন না করে অন্য বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করে বা আবোল তাবোল লিখে। তবে একটা কথা মাথায় রাখা জরুরীতে যে কোন পরীক্ষায় আবোলতাবোল লিখে ভালো নম্বর অর্জন করা কখনোই সম্ভব নয়।

Leave a Comment