2023 সালে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা যদি উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে এই উপবৃত্তি কবে দিবে তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন। উপবৃত্তির টাকা পেতে যাতে ঝামেলা না হয় তার জন্য প্রত্যেকটি কাজ সুনিপুণভাবে করা হয়েছে। আপনি যদি উপবৃত্তি টাকার পাওয়ার জন্য যোগ্য হয়ে থাকেন এবং মনোনীত হয়ে থাকেন তাহলে এই টাকা কবে পেতে পারেন তার একটি ধারণা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
উপবৃত্তির টাকা পেলে অনেক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ঠিকঠাক মত করা সম্ভব হয় বলে এটি পাওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করে থাকেন। ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী থেকে কম বেশি সরাসরি চিনে থাকেন বলে কার আর্থিক অবস্থা কেমন সে বিষয়ে জেনে থাকেন। তাই একজন শিক্ষক যদি চান তাহলে একজন শিক্ষার্থীকে এই উপবৃত্তি পাওয়ার সুবিধা করে দিলে তার লেখাপড়া খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
2022 সালের শুরুতেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে এমআইএস সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আবেদন করার জন্য জানিয়ে দেয়। তাই একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদেরকে বিগত বছরের যে সকল ভুল ভ্রান্তি হয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে ঠিকভাবে আবেদন করার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য প্রদান করার কারণে অনেকের টাকা আসেনি অথবা অনেকের টাকা আসলেও সেটা ফেরত চলে গিয়েছে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। তাই উপবৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট নাম্বার প্রদান করার বিষয়ে একজন শিক্ষার্থীকে যেমন সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে তেমনি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলী ও প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত পর্যায়ে বসবাস করেন বলে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ বহন করতে কষ্টকর হয়ে যায়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে বই বিতরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসছে। শিক্ষার্থীদের এত সুযোগ সুবিধা প্রদান করার কারণে বর্তমানে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নিরক্ষরতার হার পুরোপুরিভাবে কেটে গিয়েছে।
তাই আপনি এই শিক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে যদি শিক্ষিত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করার পাশাপাশি যারা গ্রাজুয়েশন বা ডিগ্রী পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন তাদের কেউ এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
বিগত বছরের পর্যালোচনায় আমরা এটা জানতে পেরেছি যে শিক্ষার্থীরা তাদের তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে যে সকল ভুল ভ্রান্তি করেছে সেগুলোর কারণে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়নি। আবার বৃত্তি পাওয়ার জন্য মনোনীত হলেও তাদের একাউন্টে টাকা আসেনি এবং এই টাকা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। তাই 2023 সালে যাতে বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কারো কোনো ঝামেলা না হয় সেই দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদেরকে এই ফরম পূরণ করার বিষয়ে এমআইএস সফটওয়্যার ব্যবহার করার কথা বলেছেন। যদি একজন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়ে থাকে তাহলে তার সকল তথ্য পূরণ করার পর সেই তথ্য যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইজন শিক্ষক মনিটরিং করেন এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের যে তথ্য প্রদান করা হলো সেটা প্রিন্ট করে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কে দেখাতে হবে এবং এর মাধ্যমে যাচাই করতে হবে প্রত্যেকটি তথ্য সঠিক আছে কিনা। শিক্ষার্থীরা এই তথ্য প্রদান করেছে এবং এগুলো সঠিক তথ্য বলে তাদের নিকট থেকে প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা এই মর্মে প্রত্যয়ন করবে যে তাদের সকল তথ্য সঠিক এবং এই তথ্য ভুলভ্রান্তি হলে তাদের দায়-দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী বৃত্তির তথ্য পূরণ করার পরেও বৃত্তি পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়নি অথবা বৃত্তির টাকা আসেনি তাদের তথ্য পুনরায় যাচাই করতে হবে এবং যাচাই করে তার সংশোধনের ব্যবস্থা করলে এ ধরনের সমস্যা থেকে লাঘব পাওয়া যাবে।
তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রদান করার ব্যাপারে প্রত্যেকটি তথ্য যেন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে মিল থেকে ইনপুট করা হয় সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী যেন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে তথ্য পুরন করে সে বিষয়ে দেখতে হবে। যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভুল হিসাব নাম্বার প্রদান করা হয় এবং তা যদি অন্য কোন একাউন্টে চলে যাই অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কেউ যদি অন্য একাউন্টে টাকা নিয়ে নেয় তাহলে এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ দায়ী থাকবেন। তাই বৃত্তি প্রদান করার ব্যাপারে মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ স্যার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেগুলো খুবই ভালো পদক্ষেপ এবং এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ঝামেলায় পড়বে না।
বিশেষ করে তথ্য প্রদান করার বিষয়ে যে ধরনের ভুলগুলো হয়ে থাকে সেই ভুলগুলো যাতে না হয় তার জন্য শিক্ষার্থীদের কে যে সকল তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে সেগুলো এখানে আমরা জানিয়ে দেবো। শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে এবং সেই জন্ম নিবন্ধন যেন ১৭ ডিজিটের হয়ে থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড যদি স্মার্ট কার্ড হয়ে থাকে তাহলে দশ ডিজিদের এবং যদি আগেকার স্মার্ট কার্ড না হয়ে থাকে তাহলে ১৭ ডিজিটের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার লাগবে। পিতা মাতার অনুপস্থিতদের যদি অন্য কোন অভিভাবক থেকে থাকে তাহলে তার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করতে হবে।
একজন শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী বছরে যে পরীক্ষাগুলো অংশগ্রহণ করেছে সেগুলোর ফলাফল এবং পরীক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য সেখানে দিয়ে দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে বলা হবে সেই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে হবে এবং একাউন্টের পিন নম্বর অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এ সকল বিষয় নিশ্চিত করে এমআইএস সফটওয়্যারে একাউন্ট খুলতে হবে এবং আপনারা যারা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন তা অনেকেই জানতে চান একাউন্টে বৃত্তি টাকা কবে এসে ঢুকবে। যেহেতু যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে সেহেতু আপনারা আর চিন্তা না করে আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আমরা জানতে পেরেছি অল্প কিছুদিনের ভেতরেই আপনাদের একাউন্টে 2023 সালের বৃত্তির টাকা চলে আসবে।
সরকারি উপবৃত্তি প্রদানের তারিখ 2023
সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অগ্রগতি বৃদ্ধি করার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা লাঘবের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করে থাকে। তবে ২০২৩ সালে কোন মাসে এই উপবৃত্তি প্রদান করা হবে তা যদি আপনারা জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট ভিজিট করে থাকেন তাহলে আমরা আপনাদেরকে সে সম্পর্কে আনুমানিক ধারণা প্রদান করতে পারি। কারণ উপবৃত্তির টাকার উপরে নির্ভর করে নতুন বছরে অনেক শিক্ষক তাদের সহায়ক বই এবং পড়ালেখার আনুষঙ্গিক বিষয় খরচ করতে চাই বলে এই টাকাটা তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী একটা বিষয়। তাই সরকারি উপবৃত্তি কবে প্রদান করা হবে এ প্রসঙ্গে যারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে জানতে এসেছেন তাদেরকে সঠিক তথ্য প্রদান করা হলো।
বর্তমানে নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাতে করে দেশের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা কে দক্ষতার সাথে প্রত্যেকটি বিষয়ে ট্রেনিং প্রদান করার পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন তাদের অগ্রণী ভূমিকা থাকে তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।তাছাড়া মাঝপথে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যেন থমকে না দাঁড়ায় তার জন্য প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বই বিতরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। তাই পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর আবেদন করে থাকেন তাহলে তারা অবশ্যই আপনাদের এই বৃদ্ধি পাওয়ার প্রসঙ্গে সাহায্য করতে পারে।
সরকারিভাবে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে এই আবেদন সম্পন্ন করার পর খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছে বলে আমরা জানি। অর্থাৎ শতকরা ৯৮ ভাগ থেকে ৯৯ ভাগ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির আওতাভুক্ত হচ্ছে বলে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জীবনে উপবৃত্তির টাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি সরকারি উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়ে থাকেন এবং আপনার আবেদন যদি গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সব সময় ঘুরপাক খাবে এবং সেটা হল কখন আপনাদের এই উপবৃত্তির টাকা ২০২৩ সালে প্রদান করা হবে।
তাই আপনাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে এবং দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন তথ্য আপনারা জানতে চান বলে আমাদের ওয়েবসাইটে এ সকল বিষয়গুলো অফিশিয়াল ভাবে যিনি আপনাদেরকে জানানো হয়ে থাকে।তাই আপনি প্রাথমিক অথবা মাধ্যমিক পর্যায়ের যে ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী হয়ে থাকুন না কেন আপনাদের এই উপবৃত্তির টাকা প্রদান করার ক্ষেত্রে আমরা সঠিকভাবে তথ্যপ্রধান না করলেও বলতে পারি যে জুন মাস অথবা জুলাই মাসে এই উপবৃত্তির টাকা প্রদান করার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি রয়েছে। তাই উপবৃত্তির টাকা সারা দেশের সকল শিক্ষার্থীকে বর্তমানের নিয়ম অনুসরণ করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঠানো হবে বলে অবশ্যই যে মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছেন সেটা সচ্ছল রাখবেন এবং মাঝেমধ্যে অ্যাকাউন্ট চেক করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন এখানে টাকা এসেছে কিনা। সকলকে ধন্যবাদ।