মেয়ে শিশুর প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি

শিশুদের ক্ষেত্রে রোগের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে শিশুরা কোথায় কি হচ্ছে সেটা বলতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে সবথেকে বড় দায়িত্ব পালন করতে হয় বাবা-মাকে অর্থাৎ বাবা এবং মাকে বিশেষ করে মাকে যিনি সবসময় তার সন্তানের সঙ্গে থাকেন তাকে খেয়াল করতে হবে সন্তানের কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সন্তানের অভ্যাসগুলো অবশ্যই বাবা-মাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে একই কাজের রোজ ঠিক একইভাবে করা উচিত কিন্তু সেখানে যদি কোন ব্যতিক্রম দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে তার শরীরে কোন সমস্যা হচ্ছে যার কারণে তার সন্তান এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।

শিশু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের বিভিন্ন ইনফেকশনের কারণে প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি হতে পারে। মেয়ে বাবুদের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা যখন প্রস্রাব করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোশাক পরা অবস্থাতে বা প্যাম্পাস করা অবস্থাতে প্রস্রাব করে এতে করে প্রস্রাব তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে লেগে যায়। বারবার সব সময় এই ঘটনাটি ঘটার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রস্রাবের মধ্যে থাকা জীবাণুগুলো চামড়ার সঙ্গে লেগে থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে আরও অন্য কারণে হয়ে থাকে যেমন মনে করেন অতিরিক্ত পেমপাস ব্যবহার করার কারণে বা অতিরিক্ত ডায়াপার ব্যবহার করার কারণে। বাচ্চাদের অতিরিক্ত ডাইপার পরিয়ে রাখার কারণে সেখানে আলো বাতাস যেতে পারে না এবং সেখানকার স্ক্রিনে প্রস্রাব এর জীবাণুগুলো লেগে থাকে এইভাবে আস্তে আস্তে সেখানে ইনফেকশন হতে পারে অথবা সেখানে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে যা এলার্জি বা রেশ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি বা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে কোম্পানি পান করা। বাচ্চারা খাবার খেতে চায় না পানি কম খেতে চায় এই অবস্থাতে তারা অতিরিক্ত দৌড়াদৌড়ি করে যাতে তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় এ বিষয়টি বাবা-মাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানের বয়স অনুযায়ী পানি কতটুকু খেতে হবে সে বিষয়টি প্রত্যেকটা বাবা মাকে জানা উচিত এবং চেষ্টা করা উচিত প্রতিদিন সেই পরিমাণ পানি যেন সে সন্তান খায় এটা নিশ্চিত করা। এছাড়াও প্রস্রাব ঘন ঘন ধরে রাখার প্রবণতার কারণে বাচ্চাদের প্রস্রাবের জায়গাতে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে।

যোনিতে ইনফেকশন হলে কি করে বুঝবো

মেয়েদের সাধারণত এখানে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি তার কারণ হচ্ছে তাদের শারীরিক গঠনের কারণে এখানে ইনফেকশন হতে পারে। এখানে ইনফেকশনের সহজ যে উপায় গুলো আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন ইনফেকশন হয়েছে সে উপায়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। মেয়েদের ক্ষেত্রে হাইজেনিক বিষয়টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ যে যত বেশি হাইজেনিক মেনটেন করে চলতে পারবে তার ইনফেকশন হওয়া সম্ভাবনা তত কম কিন্তু আপনি যতই হাইজেনিক মেইনটেইন করেন না কেন এক পারসেন্ট সম্ভাবনা থেকেই যাই ইনফেকশন হওয়ার। তার মূল কারণ হচ্ছে শারীরিক গঠন অর্থাৎ মেয়েদের শারীরিক গঠন এমনভাবে তৈরি হয়েছে যেখানে ইনফেকশন হওয়া সম্ভাবনা ১% থেকে যায়।

এখানে যদি ইনফেকশন হয় তাহলে প্রথমে বোঝা যায় প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের দুর্গন্ধ এর মাধ্যমে। এছাড়াও জমির আশেপাশের চুলকানি বা লাল লাল দাগ হয়ে যাওয়া এছাড়াও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ার মতন প্রবণতা দেখা দিতে পারে এ সমস্যার কারণে। এছাড়াও মাসিকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে ইনফেকশন হলে।

যোনিতে ইনফেকশনের কারণে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সে সমস্যাগুলো পরিষ্কারভাবে আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। তবে একটা রোগের কারণে বিভিন্ন শরীরে বিভিন্নভাবে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তাই আপনার সেখানে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বাড়িতে বসে না থেকে।

 

 

Leave a Comment