একজন পুরুষ হিসেবে আপনারা যদি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে এই ক্ষেত্রে অনেক ফজিলত রয়েছে। কেউ যদি কোন একটা কাজের জন্য আপনাকে বাড়িতে বসে করার জন্য এক টাকা প্রদান করতে চাই এবং নির্দিষ্ট একটা স্থানে গিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য অনেক বেশি গুণ টাকা প্রদান করতে চান তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই সেই বাইরে গিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রেই নিজেদের মতামত প্রদান করবেন। ঠিক একই ভাবে জামাতের যদি নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার সোওয়াবের খাতা যেমন অনেক বৃদ্ধি করতে পারবে তেমনিভাবে সামাজিক দিক থেকেও এটা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং যেখানেই থাকি না কেন আজানের সাথে সাথে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন জায়গাতে থাকার কারণে অথবা বিভিন্ন অজুহাত দেখে আমরা যদি নামাজ এড়িয়ে যাই তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটা দিক। নামাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মিক উন্নতি করার পাশাপাশি বিভিন্ন দিক থেকে প্রশান্তি অনুভব করতে পারি এবং নামাজ আমাদের জীবনে ফরজ করা হয়েছে বলে এটা মহান রবের হুকুম মেনে চলার ক্ষেত্রে আমরা ঠিকঠাক মত করতে পারি।
তাই একজন মুসলমান হিসেবে আপনার বুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে নামাজ ধরতে হবে এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই প্রতি ওয়াক্ত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। যখন মসজিদে গিয়ে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন তখন আপনার সেই সওয়াব অনেক গুণে বেড়ে যাবে। তাই বাড়িতে বসে নামাজ পড়ার চাইতে আপনারা যদি মসজিদে একটু কষ্ট করে যেতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সেখান থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রশান্তি অনুভব করতে পারছেন এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আপনারা মতবিনিময় করতে পারছেন।
সারাদিনের কাজের ব্যস্ততায় যে সকল মুসলমান ভাইদের সঙ্গে আপনার দেখা হচ্ছে না তাদের সঙ্গেও কিন্তু আপনার দেখা হওয়ার একটা সুযোগ হয়ে যাচ্ছে। ফলে একে অন্যের সঙ্গে দেখা হওয়ার কারণে আমরা নিজেদের ভেতরে এক ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি এবং একজনের প্রতি আরেকজনের মহব্বত সৃষ্টি হয়। সেই সাথে আপনারা যদি মসজিদে নামাজ পড়তে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে বাড়িতে পড়লে যে সওয়াব পাবেন সেই সওয়াব ২৫ গুণাব বৃদ্ধি পেয়ে যাবে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করার সাথে সাথে।
জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত হাদিস
তাই বাড়িতে নামাজ পড়ার চাইতে জামাতে গিয়ে নামাজ পড়তে পারলে আপনারা অবশ্যই 27 গুণ সওয়াব বেশি পাবেন এবং এটা বুখারী ও মুসলিম হাদিস শরীফে উল্লেখ করা রয়েছে। এভাবে মসজিদে আল আকশায় নামাজ আদায় করলে যেমন অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে তেমনিভাবে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করলে আরো বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই জামাতে নামাজ পড়ার এই ধরনের সুযোগ আপনারা কখনোই মিস করবেন না এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়িতে যদি নামাজ পড়েন তাহলে সেটা আপনার জন্য ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করবেন।
৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত
এ প্রসঙ্গে বলেছেন কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়িতে নামাজ আদায় করেন এবং জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা এড়িয়ে চলেন তাহলে মনে হয় যেন সেই বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক আমাদের অনেক ভালোবাসেন এবং সেই জন্য আমাদের সকল বিষয়গুলো বিবেচনা সঙ্গে দেখেন। তাই কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমাদেরও অবশ্যই আল্লাহ পাকের বিধি নিষেধ অথবা দেখানো নির্দেশনার পথ মেনে চলা উচিত। আর যারা ৪০ দিন মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার কথা ভাবছেন সেদিক থেকে আপনি যেমন নিজেকে ভালো রাখতে পারবেন তেমনি ভাবে আপনার মনের ভেতরে যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট অথবা অশান্তি ও পেরেশানি দূর হয়ে যাবে।
জামাতে নামাজ পড়া কি ফরজ
জামাতে নামাজ পড়া ফরজ নয় তবে এটা অবশ্যই জোর দিয়ে আল্লাহপাক জানিয়ে দিয়েছেন যে অবশ্যই জামাতে নামাজ পড়ার চেষ্টা করতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অলসতার কারণে বাড়িতে নামাজ আদায় করবে এমনটা ভাবা যাবে না। তাই একজন মুসলমান পুরুষ মানুষ হিসেবে অবশ্যই জামাতে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন এবং মহান আল্লাহ পাক আমাদের যে সকল নিয়ামতের মধ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাতে করে কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে এইটুকু করতে পারলে আল্লাহ পাক অনেক বেশি খুশি হবেন।