কোরআন তেলাওয়াত এর ফজিলত

কোরআন মাজীদ মহান আল্লাহ পাকের বাণী। মুসলিম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিভিন্ন ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে এই কোরআন মাজীদ নাযিল করা হয়েছে। মুসলিম ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা এই কোরআন মাজিদে উল্লেখ করা আছে। তাই আমরা যারা মুসলমান ধর্মের অনুসারী আছি তারা অবশ্যই কুরআন মাজীদ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করার চেষ্টা করব। কারণ কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটা ইবাদত। কোরআন মাঝে তেলাওয়াত করলে দুনিয়াবী প্রশান্তি লাভ করার পাশাপাশি অনেক দিক থেকে ফজিলত পাওয়া যায়।

মহান আল্লাহপাক আমাদের হেদায়েতের জন্য এবং সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য কোরআন মাজীদ নাযিল করেছেন। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যখন নবী ও রাসূলগণ আশা হারিয়ে ফেলেছেন অথবা কোন সমস্যায় পড়েছেন তখন সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে এই কোরআন মাজিদের আয়াত নাজিল হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যদি কোরআন মাজীদের মধ্য দিয়ে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া না যায় তারপরও আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন আমরা সে বিষয়ে হাদিস থেকে জানার চেষ্টা করি।

তাই কুরআন মাজিদের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে হাদিস। পবিত্র কুরআন মাজীদ আমরা অবশ্যই তেলাওয়াত করা শিখব এবং অনেকেই অনেক বড় হয়ে গিয়ে অনেক অনেক বই পড়ে থাকলেও কোরআন মাজীদ পড়ার প্রতি কোনো আগ্রহ প্রকাশ করি না। তাই আমাদের সব সময় কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করার মানসিকতা রাখতে হবে এবং এটা তেলাওয়াত করার জন্য ফজরের নামাজ শেষ করে তেলাওয়াত করাটা সবচাইতে উত্তম হবে। আবার দিনের অন্যান্য অবসর সময় গুলোতে অহেতুক কোন কাজ না করে আমরা যদি কোরআন মাজীদে তেলাওয়াত করতে পারি তাহলে দেখব জীবনের প্রকৃত প্রশান্তি এখানে লুকিয়ে আছে।

যারা কোরআন শরীফ পড়া জানেন না তারাও যদি কঠিন এবং খারাপ মুহূর্ত পার করতে থাকেন তাহলে কোরআন মাজিদের সূরা আর রহমান অথবা সূরা সাকিন তেলাওয়াত শুনতে থাকুন। আর এই ক্ষেত্রে আপনারা তা ইউটিউবের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন এবং সেখান থেকে এই তিলাওয়াত শোনার মধ্য দিয়েও আপনি সওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন। কোরআন মাজীদ এমন একটা গ্রন্থ যেখানে আমরা তেলাওয়াত করলে যেমন সোয়াপ পাব তেমনি ভাবে শোনার মাধ্যমেও স‌ওয়াব অর্জন করতে পারব।

কোরআন তেলাওয়াত ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

কোরআন তেলাওয়াত ফজিলত সম্পর্কে আপনারা যদি কোন হাদিস জানতে চান তাহলে এখানে এই বিষয়ে আমরা হাদিস জানিয়ে দিচ্ছি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন যে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সব চাইতে উত্তম যে নিজে কুরআন শিক্ষা এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। তাই কোরআন মাজীদ আমাদেরকে তিলাওয়াত করা শিখতে হবে এবং সেটা নিয়মিত তেলাওয়াত করতে হবে। অনেকে দেখা যায় কোরআন মাজীদ শেখার পর শুধু রমজান মাস ব্যাতীত অন্যান্য সময় তা তেলাওয়াত করেন না। আমাদের এরকমটা কখনোই করা উচিত নয় এবং প্রতিটা সময় অবসর সময় অনুযায়ী কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা উচিত।

কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফজিলত

কোরআন মাজিদে এমন একটা গ্রন্থ যেখানে আমাদের পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং কোরআন মাজীদ তেলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম এবং এখান থেকে অনেক ফজিলত পাওয়া যায়। যখন কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করবেন তখন অবশ্যই বাংলা অর্থসহকারে তেলাওয়াত করতে পারলে প্রত্যেকটি আয়াতের মাধ্যমে আসলে কি বোঝাতে চেয়েছে তা আমরা বুঝতে পারি। তাই মহান আল্লাহ পাকের এই বাণী আমরা যেমন নিজেরা পড়বো তেমনি ভাবে অন্য কেউ পড়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করব।

আমরা যখন কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করি তখন আমাদের মনের ভেতরে যত ধরনেরই দুশ্চিন্তা থাকুক না কেন মন পরিষ্কার হয়ে যায় এবং মনের ভেতরে প্রশান্তি অনুভব করতে পারি। তাছাড়া বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও কোরআন মাঝে তেলাওয়াত করার অশেষ ভালো দিক রয়েছে। মুসলিম হিসেবে অন্যান্য বই পড়তে শেখার পাশাপাশি এবং পড়ার পাশাপাশি আমাদের জ্ঞান অর্জন করার জন্য এবং সকল দিক থেকে ফজিলত পাওয়ার জন্য কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করাটা জরুরী।

Leave a Comment