ভিটামিন এ আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ভিটামিন এ এর সঠিক ব্যবহার আমরা কতটা সহজে করতে পারি সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। আজকে যে বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবে সেটা হচ্ছে একজন মানুষের শরীরে যদি ভিটামিন এ এর ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে সেটা কতটা খারাপ পরিণতি ডেকে আনতে পারে সেটা আমরা জানব। সাধারণত স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা সবসময় চেষ্টা করে পরিমাণে পুষ্টিগুণ নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের শরীরে যেন ঠিক থাকে সেই দিকটা নজর রাখতে। আর আমাদের কাজ হচ্ছে সে সকল স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের পাশে থাকা এবং তাদের নতুন নতুন তথ্য দিয়ে তাদের আগ্রহকে বৃদ্ধি করা।
শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং সেই সমস্যার লক্ষণগুলো নিয়ে আপনি যখন একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যাচ্ছেন তখন চিকিৎসক আপনাকে খুব হতাশা জনক একটি কথা বলল। তিনি বলল যে আপনার শরীলে যে সমস্যাটা হয়েছে সেটা শুধুমাত্র ভিটামিন এ এর অভাবে হয়েছে। সাধারণত তখন অনেকেই এটাকে এক ধরনের হতাশা জনক কথা বলে ভেবে থাকেন তার কারণ হচ্ছে ভিটামিন এ কোনদিন অভাব পড়বে এটা তিনি ভাবতেই পারেননি। মূলত যখন বয়স বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং সে সময় আমরা যখন নিজের সংসার এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রচুর ব্যস্ত থাকি তখন নিজের শরীরের উপর খুব একটা খেয়াল রাখতে পারি না। আর ঠিক তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয় শুধুমাত্র একই ধরনের খাবার খেয়ে আমাদের দিন বাড়তি করতে হয় যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন মিনারেলস এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকে না।
বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভধারণের সমস্যা
ত্বকের শুষ্কতা
ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা
গলা এবং বুকের সংক্রমণ
শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাওয়া বা দেরি হওয়া
রাতকানা রোগ
আজকে আমরা আপনাদের কয়েকটি পয়েন্ট দেখাবো যেখানে উল্লেখ করা থাকবে ভিটামিন এ এর অভাবে কোন কোন রোগ হয়। উপরে উল্লেখ করা প্রত্যেকটি রোগ ভিটামিন এ এর অভাবে হয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রায় প্রত্যেকটি রোগ অনেক গুরুতর রোগ তাই আমাদের ভিটামিন এ এর অভাব পূরণে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এবং কোন কোন খাবারে ভিটামিন এ আছে সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা নিচে কিছু তথ্য আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ প্রতিকার
এই ভিটামিনের প্রতিকার গড়ে তুলতে হলে সেটা আপনাকে ছোটবেলা থেকে শুরু করতে হবে এবং এই সময় সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে সন্তানের অভিভাবক। প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর জাতীয়ভাবে যে ক্যাম্পেন অনুষ্ঠিত হয় ভিটামিন এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর সেই প্রত্যেকটি ক্যাম্পেয়ানে বাচ্চাদের অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে এবং যত বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবার প্রয়োজন তত বছর পর্যন্তই খাওয়াতে হবে।
এর পাশাপাশি সে প্রতিদিনের খাবার থেকে ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ হচ্ছে যখন ক্ষুদা লাগে তখন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমরা ক্ষুধা নিবারণ করি কিন্তু সেই খাবারই আমাদের শরীরকে চালানোর সবথেকে বড় জ্বালানি সেটা হয়তো অনেকেই বুঝিনা। পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের সঠিক পথ যত পরিমাণে ভিটামিন এ পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে পরিবারের কর্তাকে তাই যে সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে সেগুলো খাওয়াতে হবে।
ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন এ এর অভাবে সাধারণত যে রোগগুলো হয়ে থাকে সেগুলো আমরা উপরে খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের বলে দিয়েছি এবং এই রোগের জন্য সাধারণত রয়েছে আলাদা আলাদা লক্ষণ।চোখে কম দেখা থেকে শুরু করে শারীরিক দুর্বলতা এবং বাচ্চাদের সঠিক সময়ে সঠিক বৃদ্ধি না পাওয়াটা ভিটামিন এ এর অভাবে হতে পারে আর এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই দেরি না করে একজন রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।