প্রত্যেকে ঔষধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিন্তু সেই ঔষধ যদি আমরা সঠিক নিয়মে না খেতে পারি তাহলে সেই ওষুধের সঠিক উপকার আমরা পাবো না। সবসময় আমাদের একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটি ওষুধের খাওয়ার যে নিয়ম আছে সেই নিয়মটা যেন আমরা সঠিকভাবে মেনে চলি এতে করে ওষুধের সঠিক উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের ভালো একটি ধারণা হবে এবং আমরা সেই ওষুধগুলো খেয়ে সঠিক উপকারও পাব। ভিটামিন বি ১২ আছে এমন বহু ওষুধের নাম ইতিপূর্বে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে এখন আপনার চিকিৎসক আপনাকে কোন ওষুধটি খেতে বলছে সেটা বিষয়ে আমরা আপনাদের আগে থেকে কিছু জানাতে পারছি না।
তবে আজকের প্রতিবেদন থেকে আমরা আপনাদের এতটুকু জানাতে পারবো যে সাধারণত ওই ভিটামিন যুক্ত ট্যাবলেট গুলো আপনারা কি পরিমানে খাবেন বা কতটুকু খাবেন তার মাত্রা কি ইত্যাদি সম্পর্কে। প্রত্যেকটি ওষুধে অবশ্যই কিছু নিয়ম আছে যে নিয়ম গুলো মেনে চললে সে ওষুধ খাওয়ার উপকারিতা ভালোভাবে পাওয়া যায়। সাধারণত বাংলাদেশের
প্রেক্ষাপটে যে জিনিসটা বেশি হয় সেটা হচ্ছে আমরা একজন রেজিস্টারপ্রাপ্ত চিকিৎসকের কাছে কম যায় এছাড়াও নিজে থেকেই অনেক ঔষধ খেয়ে থাকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।আমাদের এটা বুঝতে হবে যে প্রত্যেকটি ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তাই আমরা যদি নিজে থেকেই এই ধরনের কাজগুলো করে থাকে তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক খারাপ দিক হতে পারে তাই অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।
ভিটামিন বি ১২ ট্যাবলেট খাওয়ার মাত্রা
সাধারণত ভিটামিন বি ১২ যে ট্যাবলেট রয়েছে সেই ট্যাবলেটে আরো দুইটি ভিটামিন আছে যেমন ভিটামিন বি ১ এবং ভিটামিন বি ৬। এই তিনটা ভিটামিনের সমন্বয়ে একটি ট্যাবলেট তৈরি করা হয় এবং এই ট্যাবলেট চিকিৎসক রোগীদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নির্দেশ করে থাকেন । আপনারা হয়তো আগে অবগত হয়েছেন একটি ঔষধ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয় এবং এই ভিটামিনযুক্ত ট্যাবলেটটি রোগীর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা চিহ্নিত করার পরে রোগীকে নির্দেশিত করা হয়।
সাধারণত দিনে ১ থেকে তিনটি ট্যাবলেট অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধ খাওয়ার নির্দেশনা আছে তবে এখানে শিশুদের ক্ষেত্রেও ব্যবহারের কিছু নির্দেশনা আছে। সাধারণত খাওয়ার পরে এই ওষুধটা খাওয়ার সব থেকে ভালো হবে এবং আপনি যদি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ওষুধ খান সেটা সবথেকে ভালো দিক বলে আমি মনে করি। বিভিন্ন ধরনের রোগে যেমন মনে করুন শারীরিক দুর্বলতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নিউরোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে শুরু করে কাঁদো হাতের দীর্ঘমেয়াদি নিরপ্যাথি চিকিৎসা এবং মুখের পেশির অবসতা এই ধরনের সমস্যা নির্মূল করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন একটি অথবা প্রতিদিন তিনটি ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে হবে। তবে ইনজেকশনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখান থেকে বলা ঠিক হবে না তার কারণ হচ্ছে ইনজেকশন গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সাধারণত এই ইনজেকশন দিতে হয় তাই আপনি হাসপাতালে ভর্তি হলেই চিকিৎসা আপনাকে নির্দেশনা দেবে কি পরিমাণ ইঞ্জেকশন আপনার প্রয়োজন হবে।
যারা শিশু আছে অর্থাৎ যাদের বয়স একেবারেই কম তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহারের কোন নির্দেশনা আমরা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। অবশ্যই শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় । যার মধ্যে এলার্জিক রিএকশন সবথেকে বেশি। ওষুধের প্রতি সচেতনতা আমাদের খুব কম আছে যা আস্তে আস্তে আমাদের শরীরকে দুর্বল করে তুলছে তাই ওষুধের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য সব মহল থেকে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।