ভিটামিন ডি ৩ ঔষধের নাম

সাধারণত যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন আমাদের শরীরে থাকে না তখন চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ঔষধ সেবনের মাধ্যমে সেই ভিটামিন আমাদের শরীরে যেন মজুদ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওষুধ নিয়ে জ্ঞান মানুষের খুব কম আছে যার কারণে সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে যাচ্ছে। এত বড় বড় জাতীয় টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে বড় বড় পত্রপত্রিকায় কিছুদিন আগে একটি প্রতিবেদন দেখলাম যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের খারাপ ব্যবহার নিয়ে খুব সুন্দরভাবে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশে এখন এতটাই খারাপ ভাবে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করা হচ্ছে যে ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের শরীরে প্রায় সকল ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাবে। যাতে করে তখন সামান্য সর্দি কাশি জ্বরে অনেক মানুষ ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে। এটা হচ্ছে কেবলমাত্র কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং কিছু অসাধু চিকিৎসকের কারণে। আর এর পেছনে সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে আমরা নিজেরাই অর্থাৎ আমরা নিজেরাই অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার সম্পর্কে জানি না যখন একটু অসুস্থ হয় তখনই এন্টিবায়োটিক নিয়ে এসে খায় যার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়।তাই বাঙালি জাতিকে যদি সুস্থ রাখার কথা কেউ পরিকল্পনা করে তাহলে যেমন ভালো ভেজালভুক্ত পণ্য বাজারজাতকরণ করতে হবে এর পাশাপাশি ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান তৈরি করতে হবে প্রত্যেকের মাঝে।

১০টি ভিটামিন ডি ট্যাবলেট এর নাম

ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত আছি কিন্তু একটা বিষয় আমাদের অনেকেরই জানা নেই সেটা হচ্ছে ভিটামিন ডি ঔষধের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তার মধ্যে আজকে একটা তথ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করব সেটা হচ্ছে বাজারে বর্তমানে কোন কোন কোম্পানির ভিটামিন ডি থ্রি পাওয়া যায় এগুলোর নাম কি ইত্যাদি। চলো জানার চেষ্টা করি কোন কোন কোম্পানির ভিটামিন ডি থ্রি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

Aristo D3
Cholevit
D-20000
D-Balance
D-Best
D-Cup

উপরে উল্লেখ করা প্রত্যেকটি ঔষধ হচ্ছে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ঔষধ তবে বিভিন্ন ওষুধের বিভিন্ন পরিমাপ রয়েছে। কোন কোন একটি ক্যাপসুলে আপনি ২০ হাজার আয়ু ভিটামিন ডি পাবেন আবার কোন কোন একটি ক্যাপসুলে আপনি ২ লক্ষ আয়ু ভিটামিন ডি পাবেন। অনেক সময় এই জিনিসটা দেখতে অনেকেই ভুল করেন যার কারণে অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি খাওয়ার কারণে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যান তাই অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে সবসময় এবং একজন রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল গুলো খেতে হবে। আশা করছি ভিটামিন ডি সম্পর্কে আপনাদের ভালো একটি ধারণা হয়েছে।

ভিটামিন ডি খাওয়ার সঠিক মাত্রা

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি থ্রি এর ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি সপ্তাহে 40000 আয়ু সাত সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। তবে বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিভিন্নভাবে এই ওষুধের ব্যবহার করা হয় যেমন মেইনটেনেন্স থেরাপির মাত্রা দৈনিক ১৪০০ আইয়ু থেকে ২০০০ আইয়ু পর্যন্ত হতে পারে।

যাদের সাধারণত ভিটামিন ডি ৩ ঘাটতি প্রতিরোধের ব্যবহার করা হয় তাহলে তাদের ক্ষেত্রে প্রতি চার সপ্তাহে ২০ হাজার আয়ু করে সেবন করার পরামর্শ দিতে পারেন একজন রেজিস্টার চিকিৎসক। তবে যেই রোগীদের অস্ট্রিয় প্রেরোসিস রোগের চিকিৎসার সাহায্য করার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেই ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ২০ হাজার আয়ু ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ 12 বছর থেকে ১৮ বছরের মধ্যে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং শিশুর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ঔষধের ডোজ নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিক মাত্রা এবং সঠিক পরিমাণ নির্দিষ্ট করাটা অত্যন্ত জরুরী কারণ শিশুদের যেকোনো সময় এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় শরীর আরো বেশি অসুস্থ হতে পারে।

 

 

 

 

Leave a Comment