গর্ভবতী মায়ের ভিটামিন ঔষধ

গর্ভাবস্থায় যদি কোন মা ভিটামিন ওষুধ সেবন করতে চাই তাহলে তাকে আগে থেকেই এই ভিটামিন ওষুধ সেবন করতে হবে। অন্ততপক্ষে গর্ভধারণ করার এক মাস আগে থেকে এবং গর্ভধারণ করার পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত এটা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে সব ভিটামিন একজন গর্ভধারিনী মায়ের জন্য উপকারী ভূমিকা রাখে না। তবে আপনি যেহেতু গর্ভবতী মায়ের ভিটামিন ঔষধ সম্পর্কে জানতে এসেছেন সেহেতু এখানে আমরা জানিয়ে দেবো কোন ভিটামিন একজন গর্ভধারিণী মায়ের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে এবং কোন ভিটামিন একজন গর্ভধারিনী মাকে এড়িয়ে চলতে হবে।

কিছু কিছু ভিটামিন আছে যেটা সেই মায়ের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তেমনি ভাবে গর্বের সন্তানের বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই এখানকার আলোচনার বিষয়বস্তু অনুযায়ী আপনারা এগুলো বুঝে নিতে পারলে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ঔষধ বা ভিটামিন আছে এমন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে পারেন। যেহেতু স্বাভাবিক কাল এবং গর্ভকাল একজন মানুষের জীবনে এক অবস্থান হয় সেহেতু প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে যদি আমরা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি তাহলে অবশ্যই তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী অনুসরণ করব।

তাই গর্ভধারণ করা অবস্থায় আপনারা যদি একজন নারীকে ভিটামিনের ঔষধ খাওয়াতে চান তাহলে ফলিক এসিড রয়েছে এমন সমৃদ্ধ ভিটামিন খাওয়াতে হবে। কারণ ফলিক এসিডের মাধ্যমে একজন বাচ্চার ডিএনএ উৎপাদন যেমন হবে তেমনি ভাবে রক্ত তৈরি করতে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আবার বোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে এবং ভ্রূণের যদি স্নায়ুত ত্রুটি থেকে থাকে অথবা যদি জন্ম ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সেটা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে ফলিক এসিডের ভূমিকা অপরিসীম। তাই ফলিক এসিড যদি আপনারা গর্ভাবস্থার একমাস আগে থেকে খাওয়াতে পারেন এবং এটা যদি গর্ভধারণ করে পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত খাওয়াতে পারেন তাহলে একজন নারীর শরীরে তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এছাড়াও একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন তখন তার শরীরের জন্য আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্রয়োজন হয়। তাই একজন নারী হিসেবে আপনারা যখন এ সকল বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করতে চাইবেন তখন আমাদের ওয়েবসাইটে প্রদান করার তথ্যের উপর এ বিষয়গুলো অবশ্যই অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন। তাহলে দৈনন্দিন জীবনে আপনারা সকল দিক থেকে উপকার লাভ করতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট

গর্ভাবস্থায় যদি কেউ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট খেতে চাই তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। কারণ একজন নারীর বয়স ওজন অন্যান্য শারীরিক কন্ডিশন এর ওপরে নির্ভর করে এ ধরনের ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে আমরা শুধু বাজার থেকে সেগুলো কিনে নিয়ে খাওয়ালেই হবে না। বরং সেই ওষুধ কোন নারীর শরীরে কোন ধরনের ভূমিকা রাখছে কিনা অথবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে কিনা এ বিষয়গুলো কিন্তু মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নাম

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর পেটে যে সন্তান থাকে সেই সন্তানের হাড়ের এবং দাঁতের গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবে একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন তখন তার শরীর থেকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমতে থাকে। ফলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা তৈরি হয় এবং এই চাহিদার জায়গা থেকে প্রতিদিন যদি ২০০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সেবন করানো যায় তাহলে খুবই ভালো হয়। যেহেতু গর্ভধারণের বারো সপ্তাহ পর থেকে একজন শিশুর হাড়ের গঠন পেতে শুরু করে সেহেতু তিন মাস পর এই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করানোর জন্য ট্যাবলেট অথবা অন্যান্য খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।

গর্ভবতী মায়ের আয়রন ট্যাবলেট এর নাম

একটু শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য আয়রনের প্রয়োজন অনেক বেশি। যেহেতু রক্তকণিকার মাধ্যমে এই একজন শিশুর শরীরে অক্সিজেন পৌঁছায় সেহেতু এই ক্ষেত্রে আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেই হিসেবে একজন নারীর প্রতিদিন 17 মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাছাড়া আয়রনের কারণে অনেক সময় রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে এবং এ থেকে অবসন্নতা এবং অন্যান্য আরো শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তবে উপরের উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা যে সকল ঔষধ সেবন করতে চাচ্ছেন তা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারলে ভালো হবে।

Leave a Comment