পানি হল একটি যৌগিক পদার্থ তবে পানি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি যৌগিক পদার্থ। আমাদের শরীরের শতকরা ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ পানি দ্বারা গঠিত। আর এই কারণে কিছুক্ষণ পরপর অর্থাৎ সারা দিনে আমাদের একজন সুস্থ মানুষের কমপক্ষে আড়াই লিটার থেকে ৩ লিটার পানি পান করার প্রয়োজন হয়। পৃথিবীর প্রত্যেকটি প্রাণী পানির উপর নির্ভরশীল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। শুধু প্রাণের কথা বললে ভুল হবে এই পৃথিবীতে যত জীবজগৎ রয়েছে অর্থাৎ উদ্ভিদ প্রাণী সকলেই পানি এবং বাতাসের উপর পুরোপুরি ভাবে নির্ভরশীল। পানি এবং বাতাস ছাড়া কেউ জীবন যাপন করতে পারে না বা বেঁচে থাকতে পারে না।
তাই পানি এবং বাতাস উদ্ভিদ প্রাণী অর্থাৎ জীবজন্তুর জন্য বেঁচে থাকার অবলম্বন বলে মনে করা হয়। “নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন” এজন্যই আখ্যায়িত করা হয়েছে। নিরাপদ পানি পান করুন সুস্থ থাকুন। কারণ পানিবাহিত রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের অবশ্যই নিরাপদ পানি পান করতে হবে। আমাদের সারা দিনে অনেকবার পানি পান করতে হয় এবং পানি পান করার সময় আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত যে যেন আমরা নিরাপদ পানি পান করতে পারি সব সময়। সঠিক পরিমাণে সঠিক নিয়মে পানি পান করতে হবে এবং সুস্থ থাকতে হবে।
পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট
পানি ছাড়া যেহেতু মানুষ বাঁচতে পারে না সেজন্য মানুষের প্রয়োজন সব সময় বিশুদ্ধ পানি পাওয়া বা বিশুদ্ধ পানির উৎস থেকে পানি নিয়ে আসা। বিভিন্ন সময় দেখি বিশেষ করে শহরে এবং গ্রামে বন্যার সময় খাবার পানির বা পানীয় জলের প্রচুর অভাব। মানুষ তো আর পশু পাখির মত নয় যেন যেখানে সেখানকার পানি পান করতে পারবে। তাই মানুষদের পানি পান করতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে পানি নিরাপদ কিনা সে বিষয়টি। নিরাপদ পানি পান না করলে যেকোনো সময় যেকোনো রোগে পড়তে পারেন। কারণ আপনারা জানেন যে পানিবাহিত অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো মরণব্যাধি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
তাই যখনই আমরা যেখান থেকেই পানি পান করি না কেন অবশ্যই সতর্কতার সহিত এবং দেখে নিতে হবে বা নিশ্চিত হতে হবে পানি বিশুদ্ধ কিনা। বন্যার সময় আমাদের খাবার পানির অভাব হয় আর সে সময় যে কোন পানি পান করার পূর্বে আমরা ফুটিয়ে পান করতে পারি না। পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে হলে কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। তার একটি পদ্ধতি হলো পানিকে সাধারণত 30 মিনিট যাবত গরম করলেন অর্থাৎ ফোটালে পানি বিশুদ্ধ হয় অর্থাৎ ওর মধ্যে যত জীবন রয়েছে সেগুলো মরে যায় এবং সেই পানি ঠান্ডা করে আমরা পান করতে পারি। কিন্তু বন্যার সময় আমরা সেই ৩০ মিনিট যাবত ফোটানোর পরিস্থিতি আমাদের থাকে না।
তাই বিকল্প হিসেবে আমাদেরকে পানি ট্যাবলেট অর্থাৎ ফিটকারি অথবা হ্যালোজেন ট্যাবলেট দিয়ে বিশুদ্ধ করে নিতে হয়। পানির বিকল্প কিছু নেই এ কারণে আমাদেরকে অবশ্যই পানি পান করতে হবে কথা ঠিক কিন্তু পানি পান করার পূর্বে আমাদেরকে দেখে নিতে হবে পানি নিরাপদ কিনা সে বিষয়টি। যদি নিরাপদ না হয় তাহলে অবশ্যই পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করে নিতে হবে। তাই আমরা এখন দেখব যে পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেটের নাম কি এবং এই ট্যাবলেট দ্বারা কিভাবে আমরা পানি বিশুদ্ধকরণ করতে পারি।
তাহলে চলুন আমরা সেই বিষয়টি আগে জেনে নেই আমাদের এখান থেকে। যে যে উপায়ে আমরা যেকোনো পানি বিশুদ্ধ করতে পারি তা এখন আপনাদেরকে আমাদের এখান থেকে দেখানো হচ্ছে বা বলে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা অবশ্যই এভাবে পানি বিশুদ্ধকরন করে নিতে পারেন। ক্লোরিন ট্যাবলেট বা ব্লিচিং: পানির জীবাণু ধ্বংস করতে ক্লোরিন বহুল ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক। যদি পানি ফোটানো বা ফিল্টার করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে পানি বিশুদ্ধিকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি পরিশোধন করা যেতে পারে। এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।