বিভিন্নভাবে মোবাইল হ্যাক হয়ে যেতে পারে। মোবাইল হ্যাক হয়ে গেলে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে বা বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ মোবাইল হ্যাক হয়ে গেলে হ্যাকার সেই মোবাইলের বিভিন্ন তথ্যগুলা ব্যবহার করে মোবাইলের মালিকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাছাড়া তাদের পার্সোনাল বিভিন্ন বিষয় মোবাইলে থাকতে পারে, সেই বিষয়গুলো তারা ব্যবহার করে মোবাইলের মালিককে বিভিন্নভাবে থ্রেট করতে পারে বা বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচতে হলে নানা ধরনের উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। সে উপায় গুলো যদি আপনি অবলম্বন করেন, তাহলে মোবাইল হ্যাক থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন বা আপনার মোবাইলটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
আপনি কি মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার সুন্দর সুন্দর উপায় জানতে চাচ্ছেন? কিভাবে আপনি আপনার মোবাইলকে হ্যাকিং থেকে রক্ষা করবেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এ আর্টিকেলটি থেকে আপনি উপকৃত হবেন এবং মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার সুন্দর সুন্দর উপায় গুলো জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
১. সঠিকভাবে পাসওয়ার্ড এর ব্যবহার করা: পাসওয়ার্ড ঠিকঠাক ব্যবহার না করলে মোবাইল হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সঠিক ভাবে পাসওয়ার্ড এর ব্যবহার জানতে হবে। এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন পাসওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন অক্ষর, সিম্বল ইত্যাদি সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড দিলে পাসওয়ার্ডটি কঠিন হয় এবং সেই পাসওয়ার্ডটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার নিজের ফোনের পাসওয়ার্ড অন্যদেরকে না জানানো ভালো, তাহলে মোবাইল হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
২. অপরিচিত কোন লিংকে ক্লিক না করা: বিভিন্ন সময় আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের লিংক চলে আসে। সেই লিংকগুলোতে ক্লিক করা হতে পারে আমাদের ফোন হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই অপরিচিত কোন লিংক দেখলে সেই লিংকগুলোতে ক্লিক না করে এড়িয়ে চললে ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
৩. ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে: ফোন হ্যাকার অন্যতম কারণ হতে পারে ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করা। তাই আপনি যদি ক্র্যাক সফটওয়্যার এর ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখেন, তাহলে আপনার ফোন হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচতে পারবে।
৪. বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটে অনলাইন শপিং: অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে প্রতারক বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে থাকতে পারে বা বিভিন্নভাবে প্রতারণা করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই আপনি তখন শপিং করবেন তখন সেই ওয়েবসাইটটি বিশ্বস্ত কি না সে বিষয়ে জেনে তারপরে সেখান থেকে শপিং করা উচিত।
৫. পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকা: আপনার ফোন হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচাতে বা হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা করতে হলে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার না করাই উত্তম। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করলে ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই আপনি যদি পাবলিক ওয়াইফাই এর ব্যবহার এড়িয়ে চলেন, তাহলে আপনার ফোন হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
৬. এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইউজ করা: আপনি যদি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইউজ করেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইলে ভাইরাস আক্রমণ করার সম্ভবনা তারা কমে যায় এবং আপনার ফোন হ্যাকিং এর সম্ভাবনাও কমে যায়। তাই আপনি ফোন হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচানোর একটি উপায় হিসেবে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন।
প্রত্যেকটি ব্যক্তি চায় তার মোবাইলের নিরাপত্তা। তাই মোবাইল বা ফোন নিরাপদ রাখার জন্য বা হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচাতে উপরের উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করা যেতে পারে। আশা করি এই উপায়গুলো অবলম্বন করলে আপনার ফোন অনেকটা নিরাপদ থাকবে এবং হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। আপনি যদি আপনার ফোনের নিরাপত্তা আরও কঠোর করতে চান বা মজবুত করতে চান, তাহলে উপরের উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন।