বাত ব্যথা এ সমস্যাটি প্রায় মানুষের হয়ে থাকে। বাত ব্যথা শীতকালে মানুষের সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। বাত ব্যথা খুব বেশি খারাপ না তবে যাদের এই ব্যথা খুব বেশি হয় তারা ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেনা। কাজ করতে পারেনা তবে বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যে নিয়ম কানুন গুলো মেনে চললে এই বাতব্যাতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
শীতের দিনে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম থাকে তাই এ বাতের ব্যাথা সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন যারা এই রোগে ভুগছেন। আমাদের পরিবারের অনেকজন আছে যাদের শীতের দিনে শরীরের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায় এই বাত ব্যথার কারণে।
এই ব্যথা যার হয় তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করার মানসিক শক্তি, শারীরিক শক্তি দুইটাই কমে যায়। আগের দিনে দেখা যেত এই সমস্যাটি যাদের বয়স বেশি তাদের হচ্ছে। ইদানিং এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মানুষ। তাই এই ঠান্ডার দিন গুলোতে আমাদের বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। আমরা যদি এই নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলি তাহলে আমরা এই ব্যাথা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবো। তবে নিয়ম গুলো আমাদের ঠিকমতো পালন করতে হবে মাঝেমধ্যে করলে কিন্তু হবে না।
- বাতের ব্যথা বাড়ে সেই খাবারগুলো তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো:
- ডিমের কুসুম পুষ্টি হিসেবে থাকে কিন্তু এই ডিমের কুসুম খেলে দাঁতের ব্যথা বাড়তে পারে।
- দুধ জাতীয় খাবার অনেকেই খেয়ে থাকেন কিন্তু এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাওয়া যাবেনা।
- ভোটার তেলে ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় তাই ভুট্টা তেল খাওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেলে বাতের ব্যথা বেড়ে যাবে।
বাত ব্যথা দূর করতে আপনি ঘরোয়া উপায়ে যে কাজগুলো করবেন তা নিচে ধরা হলো:
১) হাইড্রেশনঃ আমাদের দেশের সব রকম আবহাওয়ার জন্য হাইড্রেশন ঠিক রাখা খুবই জরুরী। শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের পরিমানে পানি পান করতে হবে। আপনি যদি ভালোমতো পানি খেতে পারেন তাহলে বাত ব্যথা কম হবে। যারা বেশি পানি খেতে পারে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে থাকে। এছাড়াও বাড়িতে বানিয়ে সুখ বিভিন্ন ফলের জুস তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
২) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া : আমাদের চেষ্টা করতে হবে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাবার।এ খাবার গুলো খেলে জয়েন্টের ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। আপনারা খাবার তালিকায় রাখতে পারেন সালমন,সয়াবিন, আখরোট ইত্যাদি এই খাবারগুলো ।
৩) বাড়িতে ব্যায়াম করা: যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তারা অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন। ঠান্ডার দিনে ব্যায়াম করতে আমাদের সমস্যা হয়ে থাকে। কারন আমরা ঠান্ডার দিনে বাইরে বের হতে পারি না। তাই আপনাকে ঘরের ভিতরেই ব্যায়াম করতে হবে। যে ব্যায়ামগুলো করলে শরীরে নড়াচাড়া করবে। জয়েন্ট গুলো ভালোভাবে কাজ করবে সে ব্যায়ামগুলো আপনাদের করার চেষ্টা করতে হবে।
৪) ভিটামিন ডি গ্রহণ: বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাবে বাত ব্যথা বেশি হয়ে থাকে।তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ডিম,মাশরুম, দুধ জাতীয় খাবারগুলোতে ভিটামিন ডি থাকে।তাই অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে এ জাতীয় খাবারগুলো খাওয়ার।
৫) ভারী পোশাক পরা: শীতের দিনে তাপমাত্রা অনেক কম বেশি হয়!তাই যাদের বাত ব্যথার সমস্যা আছে তারা সব সময় চেষ্টা করবেন শিতে ভারী পোশাক পড়ে থাকা। কারণ এই শীতে যদি আপনার ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে আপনার দাঁত ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
৬) বাতের ব্যথায় চা পান: যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তারা আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও যাদের টক্সিন এর সমস্যা রয়েছে তাদের টক্সিন এর সমস্যা দূর করে থাকে আদা। আদা যেকোনো ধরনের ব্যাথা কমিয়ে থাকে। আজাতে বেশ উপকারী কিছু গুনাগুন রয়েছে।
আপনি যদি শীতকালে এই নিয়ম গুলো মেনে চলেন। তাহলে আপনার বাত ব্যথা অনেক কমে যাবে। তাই চেষ্টা করবেন এই শীতে নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলার। বাত ব্যথা যদি খুব বেশি বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।