প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে সেরা এই বিষয়টি আমরা যদি মেনে চলতে পারি তাহলে আশা করি দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারব। যেহেতু ক্যান্সার একটি মরণ ব্যাধি রোগ সেহেতু এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে একজন মানুষের আয়ু দিনে দিনে কমছে থাকে। তবে যাদের টাকা পয়সা আছে তারা বিভিন্ন ধরনের থেরাপি ব্যবস্থা গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে সেই ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে থাকেন। তবে ক্যান্সার থেকে যদি আমরা মুক্তির উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করি অথবা ক্যান্সারের ঔষধ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য লেখা হয়েছে।
ক্যান্সার হল শরীরের কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত এক ধরনের অসুখ জেলের মাধ্যমে শরীরের কোষ বিনষ্ট হয়ে আমাদেরকে আক্রান্ত করে ফেলে। তাই কারো যদি ক্যান্সার হয় তাহলে অবশ্যই প্রাথমিক অবস্থা থেকে চিকিৎসা শুরু করলে আশা করি সেগুলো খুব ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু বুঝতে না বুঝতেই যদি সেই ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে অথবা সেটার আকার মারাত্মক ধারণ করে তাহলে আর অপশন থাকে না। তাই ক্যান্সার সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদেরকে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
তাই ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় অথবা ঔষধ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে ক্যান্সারের কোন ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে লক্ষণ অনুযায়ী কিছু কিছু ট্রিটমেন্ট প্রদান করার মাধ্যমে সামান্য সুস্থতা অনুভব করলেও সেটা আগের মত অবস্থাতেই ফিরে যায়। আর যদি বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলব যে আগে থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য যে সকল খাবার খেলে এই সমস্যায় মানুষ আক্রান্ত হয় সে সকল খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
তাই ক্যান্সার থেকে বাঁচতে আমরা দৈনন্দিন জীবনে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে রাখবো যাতে করে এই অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে রক্তের ভেতরে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি না পাই। তাছাড়া সকল ধরনের ফাস্টফুড অথবা মাংস জাতীয় খাবার আমাদেরকে পরিমিত খাওয়ার পাশাপাশি কিছু কিছু খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। মূল কথা হলো আমরা যদি প্রসেসিং ফুড বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি তাহলে সেটা আমাদেরকে খুবই ভালো আউটপুট প্রদান করে। তাই নিয়মিতভাবে শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি আমরা যদি ব্যায়াম করতে পারি অথবা ক্যান্সারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে আশা করি অনেকেই এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ফুসফুস ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
ফুসফুস ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ফুসফুসের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যেসকল খাবার খেলে বুক চেপে ধরে অথবা যে সকল খাবারের কারণে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় সেগুলো বাদ দিয়ে তার পরিপূরক হিসেবে অন্য কোন খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি আমরা যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে তাহলে ফুসফুসে আসা করে কোন ধরনের সমস্যা হবে না এবং আপনি এখান থেকে আস্তে আস্তে রিকভার করতে পারবেন।
কোলন ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়
প্রথমে এখানে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে যে আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে সেটার ক্ষেত্রে আপনি ক্যান্সারের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রাখেন। শরীরের ওজন কমাতে হবে এবং কার্যকরী উপায়ে যদি আপনারা ওজন কমাতে চান তাহলে বর্তমান সময়ে ডক্টর জাহাঙ্গীর কবিরের জেকে লাইফস্টাইল অনুসরণ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ডায়েট ব্যবস্থা দিয়ে আপনি যদি অসুস্থ না হন তার জন্য এই লাইফ স্টাইল আপনাকে ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরে এত পরিমান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে যা আপনি সুস্থতা অনুভব করতে পারবেন।
কি খেলে ক্যান্সার ভালো হয়
ক্যান্সার যদি হয়ে যায় এবং সেটার মাধ্যমে যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে কোন খাবারই হয়তো সেই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে না। তবে সুস্থ-সবল মানুষ হিসেবে এবং আপনার ভেতরে সমস্যা গুলো থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এমন সকল খাবার খেতে হবে। শাকসবজি খাবার ক্ষেত্রে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে যেটার মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকটি কাজ সুষ্ঠুভাবে শারীরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারি।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার
ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য আমাদেরকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার শাকসবজি জাতীয় খাবার অথবা প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। যে সকল খাবার প্রসেসিং অথবা যে সকল খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ তেল ও চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গুড ফ্যাট বেছে নিয়ে খেতে হবে। শরীর এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে চাইলে আপনারা জেকে লাইফস্টাইল এর ভিডিও গুলো দেখতে পারেন।