কোলেস্টেরল শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে থাকলেও রক্তে যদি এটার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে আস্তে আস্তে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই ডাক্তার থেকে আপনাদের যখন জানানো হয়েছে কোলেস্টেরল অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে তখন অবশ্যই এটা থেকে মুক্তির উপায় বের করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। কারণ এই কোলেস্টেরল শরীরে অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা আপনার জন্য ক্ষতি করে এবং ভবিষ্যতে আপনি বিভিন্ন অসুখের মধ্যে পতিত হবেন। তাই বর্তমান সময়ে আমরা যদি সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারি তাহলে এই সকল কোলেস্টেরল থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারব।
কিন্তু আমাদের জীবনের সবচাইতে বড় সমস্যা হলো আমরা সঠিকভাবে খাদ্য ব্যবস্থা অনুসরণ করতে চাই না। যেখানে আমাদের জীবনে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আমিষ ঠিকঠাক মত খেতে বলা হয়েছে সেখানে আমরা শর্করা বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করে থাকি। আপনি যদি আটা চিনি দিয়ে তৈরি খাবারের কথা চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন যে বাইরের প্রত্যেকটা খাবারের মধ্যে আটা এবং চিনি রয়েছে। তাই সকল শর্করা আমরা চাইলেও এরা তা পারি না এবং অনেক সময় আমাদের শরীরের রক্তে ধীরে ধীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
তাই স্বাভাবিকভাবে আপনার শরীরে যদি কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে আমাদেরকে এগুলো কমানোর জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অথবা সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করলে আশা করি উপকার পাব। সেই সাথে রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যাওয়ার পর আপনারা যদি আবার আয় কার জীবন অনুসরণ করেন তাহলে কোন লাভ হবে না। তাই বর্তমান সময়ে আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে এবং যে ধরনের খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে আমাদের জীবন অত্যন্ত সুন্দর হবে সেগুলো অবশ্যই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করব।
কোলেস্টরেল আমাদের শরীরে হরমোন অথবা চর্বি উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আমরা দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য গ্রহণের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দিয়েছি অথবা ব্যায়ামের পরিমাণ এতটাই কমিয়ে দিয়েছে যে খুব সহজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রক্তের ঘনত্ব যদি কোলেস্টেরলের কারণে বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে দেখা যাবে যে সেটা ঠিকঠাক মতো প্রত্যেকটি জায়গায় পৌঁছাতে পারবেনা এবং আস্তে আস্তে সেটা শরীরের ভেতরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করবে।
কোলেস্টেরল থেকে বাঁচার উপায়
তাই কোলেস্টেরল থেকে বাঁচার প্রথম উপায় হল সঠিকভাবে আমাদের খাদ্য নির্বাচন করা। যদিও আমাদের ভেতরে ভুল ধারণা রয়েছে যে ডিম খেলে অথবা মাছ মাংস খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় তারপরও বলবো যে আপনি যদি ডক্টর জাহাঙ্গীর কবিরের ভিডিও দেখেন তাহলে সেখান থেকেই কোলেস্টেরল সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী দেশের অনেক মানুষ এই নিয়ম অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস সুগার অথবা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন।
কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়
অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও সবসময় ঔষধ খাওয়াটা ঠিক নয় এবং এটার একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই আমরা যদি সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে চাই তাহলে আমাদেরকে খাদ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। ভাত রুটি খাওয়ার পরিবর্তে আমরা যদি সেটা সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খায় এবং আমাদের যেভাবে জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করলে আমিষের ঘাটতি গুলো পূরণ হবে সেগুলো অনুসরণ করব। কোলেস্টেরল কমানোর জন্য সঠিক খাদ্য গ্রহণ করে আমাদেরকে অবশ্যই পরিণত ব্যায়ামের মধ্যে থাকতে হবে এবং প্রতিনিয়ত এই ব্যায়াম করতে হবে।
কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম
কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলব যে এটা আপনার শরীরের রক্তের চর্বির পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই হাঁটাহাঁটি করাটা জরুরী। আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে সুস্থ মানুষ হয়ে থাকেন তারপরও দৈনিক যদি ৪৫ মিনিট একটানা হাঁটতে পারেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কিন্তু মানুষজন এখন অলস হয়ে গিয়েছে এবং কোথাও থেকে কোথাও যেতে হলেই গাড়ি ভাড়া করে থাকে। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে একটু যে ব্যায়াম করবে সেটা না করে সরাসরি বিছানায় চলে যাই অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেট করার কারণে মর্নিং ওয়াকে বের হতে পারে না। তাই আমরা যদি সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ না করি অথবা সঠিক নিয়ম না মানি তাহলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।