ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে একটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখা। ভালো কাজের মধ্যে যদি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন তাহলে মন যেমন পরিষ্কার হবে তেমনি ভাবে সেই মনের ভিতর ভালো কিছুর চর্চা হবে। তাই যারা প্রচন্ড ডিপ্রেশনে আছেন এবং ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উপায় সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদেরকে আমরা এই পোস্টের প্রত্যেকটি তথ্য মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আহ্বান করছি। যদি আপনারা নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারেন অথবা বাস্তবিক জীবনে ডিপ্রেশন কাটানোর আসলেই আপনি চেষ্টা করতে চান তাহলে এই তথ্যগুলো আপনাদের জীবনে খুবই কাজে আসবে।
বাস্তবিক জীবনে আমরা যে পেশাতেই জড়িত থাকি না কেন , কোন না কোন কারণে আমাদের ভেতরে যদি হতাশা চলে আসে তাহলে সেই হতাশা কাটিয়ে উঠতে হবে। কারণ হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তি কখনোই ভালোভাবে কোন কিছু চিন্তা করতে পারে না অথবা তার ভেতরের সৃজনশীলতা এবং অন্যান্য ভালো গুণ নষ্ট করে দেয়। এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন দায়-দায়িত্বের মধ্য দিয়ে আপনার জীবনের উত্থান পতন ঘটবে এটা স্বাভাবিক। তবে আপনার মনে হতে পারে যে আপনার জীবনের সাথে কেন এরকম ধরনের ঘটলো।
এ ধরনের প্রশ্ন করা অথবা এই ধরনের ভাবনাচিন্তা এক ধরনের বোকামি বলা চলে। বর্তমান সময় আপনার খারাপ যাচ্ছে বলে যে ভবিষ্যতেও আপনার সময় গুলো খারাপ যাবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই। তাই আপনার ভেতরে যদি ক্যারিয়ার নিয়ে কোন হতাশা থাকে অথবা অন্য কোন বিষয়ে আপনি ডিপ্রেশনে ভুবেন তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জনের জন্য ডিপ্রেশন মুক্তি পাওয়ার অন্যান্য বই পড়তে পারেন।
আপনি যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে ব্যবসায়ী কিভাবে আরো প্রসার করা যায় সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করুন এবং মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার পাশাপাশি কাস্টমারদের আকর্ষণ করার জন্য ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা করুন। আপনি যদি চাকরি করে থাকেন তাহলে চাকরিতে পদ নিতে পাওয়ার ক্ষেত্রে কিভাবে কাজ করলে ভালো হয় অথবা চেষ্টা করার পরেও যদি ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে মেনে নিতে হবে যে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে হয়তো সেই পজিশনে নিয়ে যেতে চান না। তাই ডিপ্রেশনের কারণে জীবনকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে গিয়েছে বলে ভাববেন না।
ডিপ্রেশন থেকে বাচার উপায়
ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার সবচাইতে ভালো উপায় হলো নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। বর্তমান সময় মানুষের ভেতরে ধর্মীয় ব্যাপার স্যাপার গুলো উঠে গিয়েছে এবং মানুষজন যে যান্ত্রিকতার যুগে প্রবেশ করেছে তাতে করে তাদের সময় অহেতুক নষ্ট হয়ে থাকলেও ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না। তাই আপনি যদি একটা ইনকামের সোর্স তৈরি করতে পারেন এবং সেই ইনকামের সোর্স এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে সেটা করবেন এবং যখন আপনার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত তখন সেই কাজ করবেন।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ঔষধ
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বাজারে আপনারা হোমিওপ্যাথিক আকারে অথবা এলোপ্যাথিক আকারে কিনতে পারলেও সেই সমস্যা আপনার চিরস্থায়ী দূর হবে না। তাই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ঔষধ না খুঁজে মুক্তির উপায় খুঁজুন যে পথে আপনি শান্তি খুঁজে পাবেন। তবে যারা নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে তারা নিঃসন্দেহে ডিপ্রেশন নামক বিষয়ের ভেতরে পতিত হন না। কারণ তাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা রয়েছে এবং সকল কিছুর ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা সঠিকভাবে আমাদের জীবনে ফয়সালা প্রদান করেন বলে তারা তা ধৈর্য সহকারে মেনে নেন।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির আমল
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির আমল সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে মুসলিম ধর্মের অনুসারী হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। আপনি যখন সিজদা দিবেন তখন তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বলার পরিবর্তে সেটা বলার পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেন। অর্থসহকারে নামাজের দোয়ার বিষয়গুলো বুঝতে পারলে অথবা কোরআন শরীফ যদি আপনার অর্থ সহকারে তিলাওয়াত করতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনাদের জীবনের ডিপ্রেশন চলে যাবে। তাই ডিপ্রেশনে বেশি সময় ধরে না ভেবে অথবা ডিপ্রেশনকে বেশি প্রাধান্য না দিয়ে দৈনন্দিন জীবনে আপনি যে কাজ করছেন সেই কাজটি ভালোমতো করার চেষ্টা করুন। হালাল হারামের পার্থক্য বুঝে হালাল পথে নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে পারলে আশা করি আপনাদের জীবনে ডিপ্রেশন আসবে না।