অনেকের ডায়রিয়া হলে কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অনেক সময় শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। তাছাড়া ডায়রিয়া হলে প্রাথমিক অবস্থায় আপনারা কি করবেন সে প্রসঙ্গে এখান থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। যেহেতু ডায়রিয়া হওয়ার মধ্য দিয়ে একজন রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ পানি বের হয়ে যায় এবং বারবার পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে তার শরীরের অবস্থা নাযিল হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে লবণ পানি এবং স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
ডায়রিয়া রোগীদের শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে এবং পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাছাড়া এই সময়কালে একজন মানুষের মুখে রুচি থাকে না বলে তাকে তরল খাবার বারবার খাওয়ানো হয় যাতে করে লবণ পানির চাহিদা টুকুন পূরণ হয় এবং শরীরে আস্তে আস্তে শক্তি ফিরে আসে। ডায়রিয়া হলে রোগীর জন্য স্যালাইন খাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাছাড়া স্যালাইন বানানোর নিয়ম আমরা মোটামুটি ভাবে সবাই জানে এবং এই প্রসঙ্গে যদি আপনারা কেউ না জানেন তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানলে অবশ্যই আমরা স্যালাইন বানানোর উপকরণ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে পারবো।
আপনাদের যদি কখনো ডায়রিয়া হয়ে থাকে তাহলে বাসা বাড়িতেই স্যালাইন বানিয়ে খেতে পারবেন অথবা দোকান থেকে ওর স্যালাইন কিনে খাবেন। বিভিন্ন ধরনের টেস্টি স্যালাইন রয়েছে অথবা বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক স্যালাইন রয়েছে যেগুলো আপনারা বাদ দিয়ে চলবেন। তাই এ সকল স্যালাইন কিনে বাসায় রাখলে অনেক সময় আমাদের অনেক উপকারে আসে অথবা জরুরী ভিত্তিতে কারো ডায়রিয়া হয়ে থাকলে তাদেরকে প্রদান করা যেতে পারে। তাছাড়া ডায়রিয়া হওয়ার মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তির যদি অনেকবার পাতলা পায়খানা হয় তাহলে তার শরীরের অবস্থা নাজিয়াল হয়ে যায় বলে এ বিষয়ে আপনাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ফুড পয়জনিং থেকে শুরু করে অন্যান্য আরো অনেক কারণে ডায়রিয়া হতে পারে এবং ডায়রিয়ার বিষয়ে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ডায়রিয়ার মধ্য দিয়ে শুধু পায়খানা নয় বরং এটা আপনার শরীরকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবে যাতে করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই কারো যদি ডায়রিয়া হয়ে থাকে তাহলে স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি ভাতে মার খাওয়ানো যেতে পারে অথবা চিড়া ভেজানো পানি খাওয়ানো যেতে পারে অথবা যেকোনো ধরনের তরল খাবার তাকে খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে সুস্থ করে তোলা যেতে পারে।
ডায়রিয়া হলে করণীয়
ডায়রিয়া হলে প্রথমত প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন খাওয়াতে হবে এবং যতবার পাত্তা পায়খানা করে আসবে ততবার এক কাপ অথবা ২৫০ গ্রাম পরিমাণে পানি খেয়ে নিতে হবে। স্যালাইন পানি না খেলেও বারেবারে চেষ্টা করে খেতে হবে এবং এর মাধ্যমে কিন্তু একটা রোগীর শরীর ভালো অবস্থাতে আসবে। সেই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যাতে করে এই বারবার পাতলা এখানে বন্ধ হয় এবং ডাক্তাররা এ বিষয়ে হালকা কিছু ওষুধ দিলে আশা করি সমস্যার সমাধান অনেক অংশ কমে যাবে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও প্রতিকার
ডায়রিয়া প্রতিরোধ অথবা প্রতিকার ব্যবস্থা যদি আমরা গড়ে তুলতে পারি তাহলে বাস্তবিক জীবনে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাই। বিশেষ করে বাইরের খাবার দাবার আমরা যদি একটু কম খাই অথবা তেলে ভাজা জিনিসগুলো একটু যদি এড়িয়ে চলতে পারি তাহলে খুব ভালো হয়। কারণ বাইরের খোলা খাবার অথবা ধুলাবালি যুক্ত খাবার খাওয়ানোর মধ্য দিয়েই অথবা অন্য কোন প্রয়োজনইং এর কারণে খুব দ্রুত আমাদের ডায়রিয়া হয়ে যায়। ডায়রিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে এ ধরনের খাবার যেমন আমরা অবশ্যই বাদ দিয়ে চলবো তেমনি ভাবে আমাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
শিশুদের ডায়রিয়া হলে কি করনীয়
শিশুদের যদি ডায়রিয়া হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু তাদেরকেও একইভাবে বড়দের মতো করে বারবার স্যালাইন অথবা তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। তাদের শরীরে শক্তি ফিরে আসে এমন কিছু খাবার খাওয়াতে হবে যেটার মাধ্যমে তারা দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে ঠিক হয়ে যায়। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেক সময় শিশুরা তাদের সমস্যাগুলোর কথা ঠিকমত বুঝিয়ে বলতে পারেন না অথবা সে অনুযায়ী আমরা ট্রিটমেন্ট প্রদান না করলে সমস্যা হয়ে যাবে।