কুদৃষ্টি থেকে বাচার উপায়

প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আমরা তোমাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা করব। আমরা সামাজিক জীব তাই সমাজের ধ্যান-ধারণা এবং রীতিনীতি গুলো দাঁড়ায় আমাদের মানসিকতা প্রভাবিত হয়। এজন্য বহু কাল থেকে প্রচলিত অবান্তর জিনিসগুলোকে আমরা অনেক সময় অনেক ইম্পর্টেন্স দিয়ে ফেলি। অনেক অবান্তর কথা এবং অনেক অবান্তর যুক্তিকে আমরা মেনে চলি কিন্তু সেগুলোর কোন বাস্তব যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু বহু কাল থেকে প্রচলিত এবং মানুষের বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে কিন্তু এমন অনেক কাজ আমরা করে বসে যেগুলো কাজে কোন অর্থ নেই।

সেরকম আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটা হল খারাপ দৃষ্টি। যাকে সামাজিক ভাষায় আমরা বলি কুনজর। যখন আমাদের জীবনে কিছু খারাপ হয় অথবা যখন আমরা সফলতা অর্জন করতে করতে হঠাৎ ব্যর্থ হয়ে পড়ি তখন আমরা নিজের পরিস্থিতিকে দায়ী না করে দায়ী করি অন্যদের। এটি আসলে সমাজের কুসংস্কারের মধ্যে অন্তর্গত। আমাদের যদি ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে আমরা বলি অন্যের খারাপ দৃষ্টির প্রভাবে তা হয়েছে।

কিন্তু বন্ধুগণ বর্তমানে শিক্ষিত সমাজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আওতায় এই সকল কথার কোন ভিত্তি নেই। অনেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে কিন্তু কুনজরের অনেক বিধান রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উপায় থাকে কুনজর থেকে বাঁচার। আমাদের অনেক ভিউয়ার্স অনেক বন্ধুরা রয়েছে যারা এসব উপায় জানতে চায় তাদের জন্যই আজকে আমরা কোন দল থেকে বাঁচার কিছু উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

কুনজর থেকে বাঁচার উপায়

শনিবার নজর দোষে আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা থেকে কাঁচা দুধ সাতবার ঘুরিয়ে নামিয়ে নিন। এর ফলে কুনজরের প্রভাব শেষ হয়ে যাবে। ৩. ফিটকিরির টুকরোও যদি নজরদোষে প্রভাবিত জাতকের মাথা দিয়ে ৩১ বার ঘুরিয়ে উত্তর দিকে ফেলে দেওয়া হয়, তা হলে এই দোষের প্রভাব শেষ হয়ে যাবে।

কিন্তু বন্ধুগণ এটা নিতান্তই একটি অন্ধবিশ্বাস। এর কোন ভিত্তি নেই। আপনার যদি কোন ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই ক্ষতিকে শোধরানোর চেষ্টা করুন। আপনার যদি কোন ক্ষতি হয়ে থাকে হয়তো তাহলে আপনার ভুলের কারণে সেটা হয়েছে তাই নিজেকে প্রথমে সঠিক হিসাবে গড়ে তুলুন। নিজের ভুলগুলো আইডেন্টিফাই করে সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন আপনার জীবনে কোন দুঃখ কোন কষ্ট থাকবে না। পরিশ্রমই হতে হবে এবং নিজের দুর্বলতা কে কাটিয়ে উঠতে হবে। কু নজর বলতে আদৌ কিছু নেই। সবই সমাজের কুসংস্কার মাত্র। এক প্রকারের অন্ধ বিশ্বাস বলা যায়।

সমাজে বসবাস করতে হলে এমন অনেক কার্যক্রম থাকে যেগুলো নিজের ইচ্ছা ছাড়াও করতে হয় ঐক্যবদ্ধতার জন্য। কিন্তু আমরা আধুনিক সমাজের মানুষ হয়ে এই সকল কুসংস্কারকে মোটেই উৎসাহ দিতে পারি না। সমাজের এই সকল প্রথাকে আমাদের না বলা প্রয়োজন। সামাজিক প্রথা একসময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল কিন্তু এখন মানুষ বুঝতে শিখেছে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ।

প্রথা সামাজিক আচার নামেও পরিচিত। একসময় তা সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। সুন্দর, শোভন, সামাজিক অভ্যাসগুলো প্রথা হয়ে ওঠে। প্রথা ব্যক্তিগত কোন বিষয় নয়। এর সাথে সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রথা পালনে কিছুটা সামাজিক বাধ্যবাধকতা আছে।প্রথায় কতকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।প্রথা সমাজে সর্বদা বিদ্যমান ও ব্যক্তির আচরণকে নিয়ন্ত্রিত করে।প্রথা সামাজিক আচরণ বিধি।

এতে নৈতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন রয়েছে এবং প্রথা এক ধরনের সামাজিক অনুশাসন বা আইন। সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে ব্যক্তিকে সমাজের প্রচলিত প্রথা ও নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়।
সামাজিক প্রথা মেনে না চললে বা ভঙ্গ করলে মানসিক শাস্তিস্বরূপ ব্যক্তিকে একঘরে করে রাখা হয়। এজন্য মানুষ কিন্তু অনেক সময় সমাজের এইসব কুসংস্কারকে সহজেই মেনে নেয়। অনেক সময় অনেকে প্রতিবাদ করতে গিয়েও করতে পারে না কারণ সামাজিক প্রথার প্রভাব অনেক বেশি।

আমাদের আর্টিকেলটি সবার পড়া উচিত। তাই আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই আমাদের এই প্রতিবেদনটি যথাযথ শেয়ার করার চেষ্টা করুন। এভাবে মানুষকে সচেতন করলে তবেই এ সকল কুসংস্কার নামক প্রথার বিলুপ্তি ঘটানো সম্ভব হবে।

Leave a Comment