স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষের যকৃতে যে পরিমাণ চর্বি থাকা প্রয়োজন তার চাইতে যদি বেশি পরিমাণ থেকে থাকে তাহলে সেটাকে আমরা ফ্যাটি লিভার বলে থাকি। আর যদি ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে তাহলে আপনার শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে বলে অবশ্যই এটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানতে হবে। তাই ফ্যাটি লিভার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এখানে সকলের জন্য করা হবে বলে দৈনন্দিন জীবনের সুস্থতা অর্জনের জন্য অবশ্যই এ বিষয় গুরুত্ব দিয়ে চলবেন। আর আমরা যে বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব এগুলো যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে ঘরোয়া উপায়ে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
আগেকার দিনের চাইতে বর্তমান সময়ে মানুষ বেশি অসুস্থ হয় এবং ওষুধের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এর প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা এবং খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে সচেতন না থাকা। সেই সাথে মানুষজন বর্তমান সময়ে অ্যালকোহলের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। খাবারের পাশাপাশি যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করবে অথবা শারীরিক কসরত করবে সেগুলো বর্তমান সময়ে মানুষ না করে অলস জীবন যাপন করছে। ফলে খাবারের সঙ্গে কোন কিছুর মিল না থাকার কারণে শরীরে খুব দ্রুত চর্বি জমে যাচ্ছে এবং এটা অনেক সময় হার্টে এবং যকৃতে চর্বি জমিয়ে বিভিন্ন ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি করছেন।
যেহেতু ফ্যাট লিভার সম্পর্কে আমরা এখানে আলোচনা করছি সেহেতু যকৃতে যদি চর্বির পরিমাণ বেশি হয় তাহলে দৈনন্দিন জীবনে আপনার খাদ্য গ্রহণের প্রতি যেমন অরুচি ভাব কাজ করবে তেমনি ভাবে কোন খাদ্য গ্রহণ করলেও সেটা হজম হতে চাইবে না। এছাড়াও ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকলে আরো অনেক অনেক সমস্যা হয়ে থাকে যেগুলো হয়তো আপনারা সার্চ করার ভিত্তিতে পেয়ে যাবেন। তবে ফ্যাটি লিভার হিসেবে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা যে বিষয়গুলো এখানে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি সেগুলো যদি পড়েন তাহলে আশা করি আপনাদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে সহজ হবে।
তাই ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে হলে সর্বপ্রথমে আমাদেরকে দেখতে হবে যে আমরা অ্যালকোহলে আসক্ত আছে কিনা। কারণ অ্যালকোহল খুব দ্রুত লিভারে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি এ ধরনের বদ অভ্যাসে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে সর্বপ্রথমে এটা আপনাদেরকে বাদ দিতে হবে যাতে করে আপনি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে এটা কষ্টকর হয়ে থাকলেও নিজের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
ফ্যাটি লিভার থেকে বাচার উপায়
ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে ওপরে যেমন অ্যালকোহল বাদ দিয়ে চলতে বলা হয়েছে তেমনি ভাবে দৈনন্দিন জীবনে আপনি কেমন ধরনের খাদ্য খাচ্ছেন সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে সকল খাবার আমাদের শরীরে চর্বি জমাতে খুব দ্রুত সাহায্য করে সেগুলো সর্ব প্রথমে বাদ দিতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার খেলে চর্বি জমে এই ধরনের ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে গুড ফ্যাটের প্রতি আমরা যদি গুরুত্ব দিই তাহলে এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। অর্থাৎ আমি সমৃদ্ধ খাবার যেমন খেতে হবে তেমনি ভাবে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে চললে এটা আমাদের জন্য নিয়ন্ত্রণ করাটা অনেক সহজ হবে।
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনারা দৈনন্দিন জীবনে শর্করার চাহিদা পূরণ করতে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। বিশেষ করে যে সকল খাবারে ফাইবার রয়েছে সে সকল খাবার হজম হতে খুবই দ্রুত ভূমিকা রাখেন। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ফলে আপনার যদি ফ্যাটিলিভার হয়েও থাকে তাহলে কিন্তু আস্তে আস্তে আপনি খুব দ্রুত খাবার হজম করতে পারবেন এবং সেটা আপনার শরীরের সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান পূরণ করতে সাহায্য করবে।
ফ্যাটি লিভার হলে করণীয়
ফ্যাটি লিভার হলে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাটা যেমন জরুরী তেমনিভাবে দৈনন্দিন জীবনে হাঁটা চলাফেরা করাটা জরুরী। সারাদিন আপনি যতটা বেশি পরিমাণ পারবেন হাঁটবেন এবং এইভাবে আপনি যদি প্রতিদিনের টার্গেট পূরণ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার চর্বি মুক্ত হয়ে যাবে। তাই বাইরের ভাজাপোড়া খাবার অথবা মসলাদার মুখরসুখ খাবার বাদ দিয়ে চলে আমরা যদি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে পারি তাহলে সেটাই আমাদের ফ্যাটি লিভার হলে বাঁচতে সাহায্য করবে।