পাদ হলো পেটের মধ্যে অর্থাৎ পরিপাক তন্ত্রের প্রচুর পরিমাণে বাতাসে সৃষ্টি হয় সেই বাতাস মালদার বাবাই পথ দিয়ে বের হলে তাকে পাদ বলে। একজন সুস্থ মানুষ দিনে অন্ততপক্ষে 15 থেকে 20 বার এই পাদ বা বায়ু ত্যাগ করে থাকে। তাই বলা যায় যে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে বা মানুষকে সুস্থ থাকতে অবশ্যই একটি মানুষ পাদ দেবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে অনেক সময় এই বায়ু ত্যাগের ফলে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে। কারণ যখন এই বায়ু ত্যাগ করার ফলে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হয় তখন অবশ্যই আশেপাশে যে মানুষজন থাকে তারা যথেষ্ট হয়ে ওঠে এই পাদ মারার কারণে।
তাছাড়া যেহেতু প্রত্যেকটি মানুষ সুস্থ অবস্থায় দিনে 15 থেকে 20 বার বায়ু ত্যাগ করে থাকে এটি অনেক সময় বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে পারে না তাই এটি মানুষের সুস্থতার লক্ষণ। কিন্তু কখনো কখনো এই বায়ু ত্যাগ অনেকটা অতিরিক্ত হয়ে থাকে আর যদি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তখন অবশ্যই আমাদের সকলের জন্য অস্বস্তি পর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এটি বলাই বাহুল্য। তাই আজকে আপনারা জানতে এসেছেন এই পাদ থেকে মুক্তির উপায় কি সে বিষয়টি। অবশ্যই অতিরিক্ত পাত থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে।
পাদ থেকে মুক্তির উপায়
অতিরিক্ত পাত থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। কারণ হলো এই নিয়ম কানুন গুলো যদি আমরা মেনে না চলি তাহলে অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন ধরনের আশ্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে বা যে কোন জায়গায় অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। যেমন আমরা দেখি যে অতিরিক্ত খাবার খেলে সেই খাবার হজম হতে অনেকটা সমস্যা হয় তখন এই ধরনের অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ করার প্রবণতা দেখি। তাই আমাদের অবশ্যই একটি কাজ করতে হবে আর তা হল যে খাবারগুলো খাব অবশ্যই পরিমাণমতো এবং যে খাবারগুলো খুব সহজেই হজম হতে সাহায্য করে সেই খাবারগুলোই খাব।
এছাড়া জল খাওয়ার সময় সাধারণত গ্লাসে মুখ লাগিয়ে জল খেলে পেটের মধ্যে বাতাস কম প্রবেশ করে ফলে পাদ কম হয়। আর বোতলে হাঁ করে জল খেলে অথবা যাদের সাহায্যে হাঁ করে জল খেলে অনেকটা বেশি বাতাস প্রবেশ করার কারণে পেটের মধ্যে বায়ুর সৃষ্টি হয় বেশি তাই তা বের হওয়ার প্রবণতা ও থাকে বেশি। কোমল পানীয় গুলো কম খেতে হবে এবং কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো বেশি বায়ু সৃষ্টি করতে সাহায্য করে সেই খাবারগুলো আমরা খাব না যেমন ধরুন মুলা, গাজর, ফুলকপি, ব্রকলি এ জাতীয় খাবার গুলো। আরো কিছু বিষয় আমাদের অবলম্বন করলে অবশ্যই অতিরিক্ত পাদ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
খাবার হজম করার জন্য যদি শারীরিক পরিশ্রম না হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে যে ব্যায়ামের কারণে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরে পড়বে এবং ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সঠিকভাবে কাজ করবে এবং এতে খাবারের পরিপাক হবে। এছাড়াও যে খাবার গুলো দেখতে হবে যে অতিরিক্ত বায়ু উদ্যোগ করে এমন ধরনের খাবার গুলো এড়িয়ে চলা যেমন ধরুন চানাচুর বা আরো যে খাবার গুলো রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে আপনার প্রচন্ড এসিডিটির সৃষ্টি হয় সেই খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনি অবশ্যই অতিরিক্ত পাদ থেকে অবশ্যই মুক্তি পাবেন।
কারণ যে কোন বিষয় মানুষকে শরীরের সুস্থতা দিতে প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু সেই বিষয়গুলি যদি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই শরীরের অসুস্থতা বলে তখন গণ্য হয়। তাই এ বিষয়ে এরকম ব্যাপার পরিলক্ষিত হয় কারণ একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য অবশ্যই দিনে 15 থেকে 20 বার বার ত্যাগ করবে কিন্তু এর চাইতে বেশি হলে এবং যদি দুর্গন্ধ হয় তাহলে অবশ্যই আশেপাশের মানুষের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হবে এ কথা ঠিক। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকবেন।