পায়ু পথে অথবা মলদ্বারে যাদের ফিস্টুলা হয়েছে তারা হয়তো এই ক্ষেত্রে চিরতরে মুক্তির উপায় পেতে চাইছেন। কারণ এটা অত্যন্ত জঘন্য একটা রোগ এবং ব্যথা সহকারে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই যাদের এই সমস্যা হয়ে গিয়েছে তারা হয়তো ভাবছেন যে কোন পথ অনুসরণ করলে অথবা কোন ধরনের চিকিৎসা নিলে ফিস্টুলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে প্রত্যেকটি মানুষের আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিত এবং মলত্যাগের পর অবশ্যই সঠিকভাবে পরিষ্কার করা উচিত। তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু এই পোষ্টের মাধ্যমে ফিস্টুলা থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে এসেছেন সেহেতু আপনাদের কে প্রসঙ্গে এখন জানিয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমান সময়ে অর্শ পাইলস গেজ অথবা ফিস্টুলা রোগের সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। অতীতের চাইতে বর্তমান সময়ের মানুষের খাবার-দাবারের অভ্যাস থেকে শুরু করে শারীরিক ব্যায়াম অথবা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গুলো অনেকটাই কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগে একটা মানুষ খুব দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে। শারীরিক এই অবনতির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের হতাশে এসে গ্রাস করছে বলে একজন মানুষ কোন একটা অসুখে যদি পড়ে যায় তাহলে সেখান থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়াটা তার জন্য অনেক দুষ্কর হয়ে ওঠে।
সাধারণত ফিস্টুলা এমন একটা রোগ যেটা আপনার মলদ্বারের ভেতরে ফোঁড়ার মত সৃষ্টি করবে এবং সেখান থেকে রক্ত পুজ বের হবে।মলদ্বারের রাস্তার আশেপাশে এই ফোড়া সৃষ্টি হবে এবং যখন ফোঁড়া ফেটে বের হবে তখন কিন্তু প্রচণ্ড পরিমাণে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি আস্তে আস্তে ব্যথা উপশম হবে। অনেক সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে থাকলেও এটা পরবর্তীতে রিপিট করতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে না পারি অথবা আমাদের ভেতরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাহলে দেখা যাবে যে সকল রোগ কিন্তু খুব দ্রুত রিপিট করবে।
যদি হয়েও থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং এক্ষেত্রে যত দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে ভালো থাকা যায় ততটাই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে। কারণ অনেক দেরিতে যদি আপনারা এগুলো করেন তাহলে পরবর্তীতে ক্যান্সারের ঝুঁকে যেমন থেকে থাকে তেমনিভাবে যে কোন রোগ প্রথম অবস্থায় যদি আমরা ভালো না করি তাহলে এটা পরবর্তীতে ভালো করার জন্য অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেও কাজ হয় না। তাই ফিস্টুলা রোগের উপসর্গ যদি খুঁজে পান তাহলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং অল্পতেই এগুলো দেখালে আশা করি অনেকটাই কমে যায়।
ফিস্টুলা রোগের হোমিও ঔষধ
প্রাথমিক অবস্থায় আপনারা যে কোন অসুখের ক্ষেত্রে যদি ধৈর্য ধারণ করে হোমিও ওষুধ খেতে পারেন তাহলে কিন্তু ফিস্টুলা রোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়। তাই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে যদি দেখাতে পারেন অথবা যারা এ ধরনের কাজ অথবা চিকিৎসা প্রদান করছে তাদের সঙ্গে যদি যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে আপনার সমস্যা অনুযায়ী প্রাথমিক অবস্থা থেকে চিকিৎসা নিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তবে এই পোস্ট অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনারা যদি ফিস্টুলা রোগের হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেতে চান এবং ওষুধের নাম জানতে চান তাহলে বলব যে ডাক্তাররা কখনো আপনাদের ঔষুধের নাম জানাবে না। তারা আপনাদের অসুখের বর্ণনা শুনে নিয়ে সে অনুযায়ী তরল অথবা ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ প্রদান করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবে। তাই কারো যদি ফিস্টুলার উপসর্গ দেখা দেয় অথবা আপনারা যদি এই সমস্যায় পতিত হন তাহলে আর দেরি না করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যতীত এবং সার্জারি ব্যতীত সমস্যা সমাধান অনেক অংশে হয়ে যাবে।
বিনা অপারেশনের ফিস্টুলা চিকিৎসা
যদি সমস্যা অনেক প্রকট হয়ে থাকে এবং ওষুধ খাওয়ার পরেও বারবার রিপিট হয়ে আপনাকে এটা কষ্ট দেয় তাহলে অনেক সময় রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপারেশন বা সার্জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সেই ডাক্তার আসলে এ বিষয়ে কতটা দক্ষ এবং যে মেশিন ব্যবহার করবে সেই মেশিন কতটা উপযোগী তার ওপর নির্ভর করে এই অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। তাই বিনা অপারেশনের ফিস্টুলার চিকিৎসা করাতে হলে আপনাদের হোমিওপ্যাথি অথবা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিতে হবে যাতে করে অপারেশন করা না লাগে। ধন্যবাদ।