আমরা জানি স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কিন্তু কোনো কারণে যদি আমাদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় বা মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে মানুষের মন ভালো থাকে না। এমনকি কোনো কাজে মন বসে না। এজন্য মন ভালো রাখার জন্য বা যেকোন কাজ সুন্দরভাবে করার জন্য আমাদের অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য যখন আছে তখন অসুস্থতা এরই অংশ। তাই অসুস্থতাও মাঝেমধ্যে দেখা দিতে পারে। কিন্তু যদি শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে বা বিভিন্ন রোগ হয় তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ যে কোনো ছোট ছোট সমস্যা গুলোকে অবহেলা করলে সেই ছোট ছোট সমস্যা গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এই বিষয়টি খেয়াল রেখে আমাদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে। তাহলে সেই সকল সমস্যাগুলোর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। নতুন ধরনের জোটিল সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কার করা হয়েছে। তাই যত বড় সমস্যা হোক না কেন, বসে না থেকে বা অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে যদি ঠিকভাবে ঔষধ সেবন করা যায় তাহলে যে কোনো কঠিন সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। আবার স্বাস্থ্য ঠিক হয়ে যেতে পারে। তাই বসে না থেকে সমস্যা যত কঠিনই হোক বা ছোটখাটাই হোক না কেন আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শের মতো চলতে হবে। তাহলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যাবে এবং ভালো থাকা সম্ভব হবে।
বর্তমানে খেয়াল করলে দেখা যায় যে কমন একটি সমস্যা হচ্ছে প্যারালাইসিসের সমস্যা। কম বেশি বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। প্যারালাইসিসের সমস্যা আরও অনেক জটিল একটি সমস্যা হিসেবে পরিগণিত এবং এই সমস্যাটির চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্যারালাইসিস খুবই কমন একটা সমস্যা এবং চিকিৎসা করালে, নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যার হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। যদি কোনো কারণে প্যারালাইসিস হয়ে যায় তাহলে ভয়ের কোন কারণ নেই। মনোবল বজায় রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ঔষধ সেবন করতে হবে এবং তাদের পরামর্শ মতো জীবন যাপন করতে হবে। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া সম্ভব হবে। তাই যদি কোনো কারণে প্যারালাইসিস হয়ে থাকে তাহলে কোনভাবে ভীত হওয়া যাবে না।
বিভিন্ন কারণে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে। প্যারালাইসিস বলতে মূলত অবশ হয়ে যাওয়াকে বুঝাই। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে মানুষ স্টক করতে পারে। আর স্ট্রোক হলে মূলত প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্যারালাইসিস হলে সাধারণত শরীরের যেকোনো এক সাইড অবশ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে সেই অংশগুলো দিয়ে কোনো কাজ করা বা নাড়াচাড়া করা যায় না। কারো কারো ক্ষেত্রে মুখ বাঁকা হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে শরীর অবশ না হয়ে যেকোনো একটা হাত বা পা অবশ হয়ে যায়।
তখন সেই হাত বা পা দিয়ে কোনো কাজ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত বুঝা যাবে তত দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শের মতো ঔষধ খেতে হবে। তাছাড়া যে অংশ প্যারালাইসিস হয়ে যায় সেই অংশে প্রতিদিন রক্ত চলাচল করানোর জন্য মালিশ করা যেতে পারে। হালকা ভাবে মালিশ করলে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এজন্য প্যারালাইসিস অংশ মালিশ করলে কার্যকর ফল পাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ মতো যে সকল কার্যক্রম করতে বলে এবং যে সকল কাজগুলো করতে নিষেধ করে সে সকল পরামর্শ গুলো মেনে চললে এবং ঠিকমতো ঔষধ সেবন করলে এই সমস্যার হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।