একটা বয়সের পর থেকেই দাঁত শিরশির করা আমাদের সবার একটি কমন রোগ। আপনার দাঁত যদি ঠাণ্ডা অথবা গরম পানি পান করার সময় শিরশির করে তাহলে বুঝতে হবে আপনার দাঁতের সেনসিটিভিটি রয়েছে। দাঁতের সমস্যার কারণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কম বয়স অথবা বেশি বয়স যে কোন বয়সেই দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ডেন্টিস্ট এর কাছে আমরা দাঁতের গুরুতর সমস্যার জন্য যায় কিন্তু এই দাঁত শিরশিরানের সমস্যার জন্য আমরা কেউ ডেন্টিফ এর কাছে যেতে চাই না।
এই সমস্যাটি সাময়িক বলে অনেকেই এই সমস্যার গুরুত্ব দেয় না এবং এর জন্য কোন চিকিৎসা গ্রহণ করে না। কিন্তু আজকে আপনার দাঁত হালকা শিরশির করছে কিন্তু পরবর্তীতে তা গুরুতর রূপ নিতে পারে। তাই দাঁত শিরশিরানী থেকে যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য যথার্থ উপকারী হবে। আমরা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেগুলো মেনে চললে আপনার দাঁত শির শির করা ভালো হয়ে যাবে।
তাই, প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়বেন। আশা করছি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন।
ঠান্ডা এবং গরম অনিয়মিতভাবে পান করলে দাঁতের সেন্সিটিভিটি হতে পারে। আপনি যদি গরম চা বা কফি খেয়ে থাকেন তাহলে তৎক্ষণাৎ ঠান্ডা পানি পান করবেন না। আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি অথবা আইসক্রিম খাওয়ার সাথে সাথেই গরম চা কফি খাবেন না। এছাড়াও ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি পান করলে দাঁত শিরশির করে আবার অনেকের ক্ষেত্রে কিন্তু গরম পানি পান করলে দাঁত শিরশির করে।
দাঁতের যত্নে দিনে দুইবার নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। তারপর দাঁতে যদি খাবার লেগে থাকে তাহলে দাঁতের গুরুতর সমস্যা হতে পারে এর জন্য মুখে নিয়মিত কুলকুচি করুন। ফুলকুচি করার সময় কুসুম গরম পানিতে লবণ ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিলে আপনার দাঁতে কোন ধরনের সমস্যায় আর হবে না। ছোট ধরনের সমস্যাকে অগ্রাহ্য না করে শুরু থেকে যদি রাতের যত্ন নেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার দাঁতে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে না।
এবার চলুন আমরা জেনে নিই যাদের দাঁত শিরশির করে তাদের জন্য ঘরোয়া কিছু টিপস। এগুলো ফলো করলে আপনার দাঁত শিরশির করা অনেক কম হয়ে যাবে।
রোজ অন্তত দু’বার ঈষদুষ্ণ নুন জল গার্গল বা কুলকুচি করলে দাঁত শিরশির করা থেকে আরাম মিলতে পারে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে আধা চামচ নুন মিশিয়ে অন্তত ৩০ সেকেন্ড সেই জল মুখে রাখতে হবে। ৩। হলুদ: এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চামচ সর্ষের তেল ও আধা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে কমতে পারে দাঁত শিরশির করার সমস্যা।
দাঁত শিরশির করা একটি কমন সমস্যা। দাঁতের সাদা অংশ অর্থাৎ অ্যানামেল ক্ষয় হয়ে যখন ডেন্টিন অংশটি বের হয়ে যায়, তখনই দাঁতে ঠাণ্ডা বা গরম কিছু লাগলে শিরশির করে। ডাক্তাররা রোগটাকে বলেন ‘টুথ সেনসিটিভিটি’। এ ধরনের রোগীকে শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের কাছেই যেতে হয় সমাধানের জন্য। তবে তার আগে চাইলে শিরশির ভাব কিছুটা কমানো যায়।
প্রতিবার দাঁত মাজার পর লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ লবণ মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। পানিতে লবণ গলে গেলেই দ্রবণটি তৈরি হয়ে যাবে। শিরশির ভাব কমে যাবে।এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মিশ্রণটা নেড়ে আগের মতো কুলকুচি করুন। দিনের বেলা এটা করলে ভালো। রাতে করা একেবারেই নিষেধ।
স্বাভাবিক নিয়মে গ্রিন টি বানিয়ে নিন। একটা গ্লাসে রেখে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর সেই চা ঠাণ্ডা করে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন দিনে দুবার। মুখের ভেতর ঝরঝরে তাজা হয়ে উঠবে। কমবে শিরশির। এভাবে ঘরোয়া উপায়ে আপনি আপনার দাঁতের শিরশিরানি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আশা করছি ,আপনাদের এই সামান্য তথ্য দ্বারা সামান্য উপকার করতে পেরেছি। ধন্যবাদ।