ভেরিকোসিল থেকে মুক্তির উপায়

আজকে এমন একটি সমস্যা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো যেটা সম্পর্কে হয়তো বেশিরভাগ মানুষ কিছুই জানে না। পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত এই সমস্যা হয়ে থাকে এবং এটা অত্যন্ত বিপদজনক এবং সাংঘাতিক একটি সমস্যা যা মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে একটি পুরুষকে দুর্বল করে দিতে পারে। সবার প্রথমে জানার চেষ্টা করব এই সমস্যা কি এবং এটা কেন হয় এবং এটা হলে মানব শরীরে কি পরিবর্তন হয় যার কারণে মানুষ অসুস্থ হয়। যখন পরিষ্কার ভাবে আমাদের মাথায় ঢুকে যাবে তখন আমরা এই রোগ সম্পর্কে জানার আগ্রহ পাব এবং রোগ সম্পর্কে জেনে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করব। জানার চেষ্টা করি এই বিষয়ে বিস্তারিত।

ভেরিকোসিল রোগ কি রোগ এবং কেন হয়

সাধারণত অন্যকোষ থেকে উপরের দিকে বিস্তৃত শিরা গুলোর অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া ও প্যাঁচানো অবস্থার নামই হচ্ছে ভেরিকোসিল। সাধারণত শৈশব ওকৈশবের সময় এই রোগ বেশি দেখা যায় কিন্তু সমস্যা হয় সেখানে যেখানে ছোট অবস্থাতে এ জিনিসটা খুব একটা লক্ষ্য করেনা মানুষেরা। আপনি জানলে অবাক হবেন যে প্রায় 15% মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এখন ভেবে দেখুন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বাইরে আপনিও নয় আমিও নয়। তবে এটা হওয়ার পেছনে সবথেকে খারাপ যে দিকটা আছে সেটা হচ্ছে বন্ধ্যাত্ব আর যার কারণে সকলে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি ভয় পায়।

এর কারণ খুঁজতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অজানা কারণে বিজ্ঞানীরা এই জিনিসটা ঘটতে দেখেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত এটা জানা গেছে যে পেটের দুই বড় ধমনীর মধ্যে অন্য কোষের শিরা চাপ বা পড়া বা বা কেটে সিরার চাপ সরাসরি অন্যকোষের শিরায় পড়ার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হবে না

যারা এই চিন্তাটা করে থাকেন তাদেরকে বলব আপনাদের চিন্তা একেবারে ভুল তার কারণ হচ্ছে এমন কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায় নিজে সাধারণত এই সমস্যার কারণে কোন বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই জিরো পার্সেন্ট হয়ে যায়। আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে সাধারণত সঠিক সময় যদি এই রোগটা নির্ণয় করা যায় এবং এ রোগের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে ৯৫% রোগী পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবে। যারা সুস্থ হবে না তাদের মধ্যে রোগীদের নিজের দুর্বলতা বা নিজের সমস্যা আছে। অবশ্যই সঠিক সময়ে যদি রোগ নির্ণয় করা যায় এবং সঠিক চিকিৎসা করা যায় তাহলে এটা সম্ভব।

ভেরিকোসিল হলে কি বিয়ে করা যাবে

অবশ্যই করা যাবে তবে একটা জিনিস যখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে এই সমস্যা আছে তখন সে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন সবার আগে। কারণ হচ্ছে বিয়ের পর যখন এই বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হবে তখন সেটা আপনার জন্য লজ্জাজনক হতে পারে যার কারণে আগে থেকেই আপনাকে এর চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং এর চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই সহজ অনেকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিনা অস্ত্র পাচারে ওষুধের মাধ্যমে ঠিক হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন পড়ে যেটা খুবই সামান্য।

ভেরিকোসিল চিকিৎসা পদ্ধতি

রোগ সনাক্ত পরে সাধারণত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এবং এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে দুই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অস্ত্রপচার ছাড়াই বিভিন্ন পদ্ধতিতে মূলত এর চিকিৎসা করার চেষ্টা করা হয়। বেশিরভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে এটা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

এটাতে কাজ না হলে অস্ত্রপচার করতে হয় এবং অস্ত্রপচার ক্ষেত্রে দুই বা তিন ধরনের সার্জারি করা হয়। ল্যাপারোস্কোপিক ভ্যারিকসিলেটোমি এছাড়াও মাইক্রোস্কোপিক ভ্যারিকসিলেটোমি ও ওপেন ভ্যারিকসিলেটোমি করা হয়। আপনি যদি এই রোগের জন্য রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।

 

 

 

 

 

Leave a Comment