পৃথিবীর সব বাবা-মা চায় তার শিশু সুস্থ, ভাবে বেড়ে উঠুক। একটি শিশু যদি সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে তাহলে তার মানসিক, শারীরিক সব কিছু বৃদ্ধি পাবে খুব সহজে। প্রতিটা শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক খাদ্য এবং নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বাচ্চাদের দিতে পারলে সে সঠিক গুনাগুন নিয়ে বেড়ে উঠবে। বয়সের সাথে সাথে বাচ্চা যদি ঠিকমতো বেড়ে ওঠে তাহলে ধরে নেয়া যায় বাচ্চা সঠিক পুষ্টি গুনাগুন পাচ্ছে।কিছু বাচ্চা আছে যারা যতই খাবার খায় তাদের শরীর বা ওজন খুব বেশি বাড়ে না। কিছু বাচ্চার ওজন বংশগত কারণে কম থাকে। সর্বশেষ কথা হল যে প্রতিটি বাবা-মা চাই তার বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে তাই সব বাবা মাকে সঠিক খাদ্য দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
শিশুদের স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য মা দের করণীয়
● অনেক বাবা মা আছে যারা বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করে। তারা ব্যস্ততার কারণে তার বাচ্চাকে বাজার থেকে কেনা খাবার দিয়ে থাকে। এটা কখনোই করা যাবে না। সব সময় চেষ্টা করতে হবে বাচ্চাকে বাসায় তৈরি খাবার খাওয়ানোর।
● বাচ্চারা যখন স্কুলে যাবে তাদের টিকিট বক্সে ফল, শাকসবজি রুটি এই জাতীয় খাবার দিবেন যেগুলোতে প্রোটিন সমৃদ্ধ রয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন স্কুলে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার না খায়। তাহলে আপনার বাচ্চার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।
● আপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার বাচ্চাকে পানি খেতে উৎসাহিত করতে। কারণ প্রতিটা মানুষ বা শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত। এছাড়াও আপনারা বাড়িতে তৈরি বিভিন্ন ফলের জুস করে আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। কখনোই বাজার থেকে কেনা কোন ধরনের জুস খাওয়াবেন না এতে করে তার শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।
● আপনার বাচ্চাকে প্রতিদিন বিকেল বেলা একটু খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ এই বয়সে তার শারীরিক বৃদ্ধি প্রয়োজন। সে যখন খেলাধুলা করবে, দৌড়াদৌড়ি করবে তখন তার ক্ষুধা লাগার অনেক বৃদ্ধি পাবে। এতে করে সে খাওয়ার প্রতি অনেক আগ্রহী হবে।
● বাচ্চা যেদিন বাড়িতে থাকবে আপনারা চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে আপনার রান্নার পাশে রাখতে। আপনার রান্নার কাজে তাকে উৎসাহিত করতে হবে। সে যেন ছোটবেলা থেকে বুঝতে পারে যে পরিবারকে বাবা-মাকে এইসব কাজে হেল্প করতে হয়।
● অনেক বাচ্চা আছে যারা ছোট থেকে অনেক মোটা হয়ে যায়। এর কারণে অনেক বাবা মা চিন্তিত হয়ে পড়ে। চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই ওজন কমানোর জন্য আপনি আপনার বাচ্চাকে অল্প পরিমাণে খাবার দিবেন এবং তাকে যথেষ্ট পরিমাণে খেলাধুলার সুযোগ দিবেন। তাহলে দেখবেন তার শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
● আপনার বাচ্চাদের আপনারা কখনো জোর করে খাওয়াতে যাবেন না। তারা যে খাবারটা খেতে পছন্দ করে সেই খাবারটাই দিবেন সেটা যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার হয় তাহলে অল্প পরিমাণে দেবার চেষ্টা করবেন। সব সময়ই তাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করবেন খাওয়ানোর সময়।
শিশুর খাওয়ার ধরন
আপনারা আপনার বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা পূরণ করার জন্য সঠিক খাদ্য বিন্যাস তৈরি করতে পারেন। আপনারা ৪ ঘন্টা পর, পর তাকে অল্প পরিমাণে খাবার দেয়ার চেষ্টা করবেন কখনই তাকে একবারে বেশি করে খাওয়াবেন না। সঠিকভাবে এবং পরিমাণমতো খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের এলোমেলো খাবার গ্রহণের বিষয়টি ফিরিয়ে আনা যায়। সব সময় চেষ্টা করবেন রাতে হালকা খাবার দিতে। ভারী খাবার রাতে দিলে সেই খাবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
শিশুর পছন্দের খাবারের যাচাই করা
প্রতিটি বাবা-মা দের দের দায়িত্ব তার শিশুর খাবারের পুষ্টির চাহিদা ঠিক রাখা। সব শিশু একই রকম খাবার খায় না। শাকসবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে আপনার বাচ্চাকে। তবে আপনার বাচ্চা দুটি শাকসবজি না খেতে চাই তাকে জোর করে খাওয়াতে যাবেন না। আস্তে আস্তে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চাদের নতুন নতুন খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সবশেষে যদি আপনার মনে হয় সঠিকভাবে খাওয়ানোর পরেও বাচ্চা সঠিক পুষ্টি পারছে না তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।