নখকুনি বলতে সাধারণত নখের কোনায় ক্ষতকে বোঝানো হয়। আমাদের পায়ের নখের ক্ষেত্রে অনেকটাই বিষয় হলো যে আমাদের পায়ের নখে যদি কোন ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের চলাফেরায় অনেক কষ্ট হতে পারে বা কষ্ট হয়। এবং হাতের নখের চাইতে পায়ের নখের বিষয়ে এ বিষয়টা বেশি হয় অর্থাৎ বলে জানা যায়। তাই দেখা যায় যে লক্ষণই হলো কখনো খুব ছোট করে নখ কাটতে গিয়ে হাতের এবং পায়ের নখের ক্ষেত্রেই ত্বকের ক্ষতি হয় বা ত্বক কেটে যেতে পারে। আর তখন সেই নখে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষতস্থানে
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে নখকুনির মতো যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার সৃষ্টি হয়। কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এই নক করে আমরা ভালো করতে পারি। আবার কখনো কখনো আমরা যারা কৃষি ক্ষেত্রে বা কৃষকের কাজ করে থাকি তখন বিভিন্ন সময় নখের মধ্যে মাটি ঢুকে অথবা অন্য যেকোনো কারণে নখের আঘাত লেগে সেখানেও নখকুনির মত ঘটনা ঘটতে পারে। তবে নখকুনি হল মানুষের স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ সকল মানুষের ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি ঘটতে পারে। জীবনে কোন একবার কখনো এই নকনি হয়নি এমন মানুষের সংখ্যা খুজে পাওয়া যাবে না বলেই মনে করি।
নখকুনি কিভাবে হয়
বিশেষ করে নখ বড় হলে অথবা নখ ছোট করে কাটতে গিয়ে বিভিন্ন সময় তোকে আঘাত লাগতে পারে। তাকে আঘাত লেগে অথবা নখ বিভিন্ন জায়গায় হোঁচট খেয়ে আঘাত লেগে অথবা নখের মধ্যে যে কোন ভাবে মাটি ঢুকে নখকুণির সৃষ্টি হয়। এটি যে কোন কারো যেকোনো সময় যে কোন বয়সে হতে পারে। এই অসুখটি হওয়ার জন্য কোন বয়স লাগে না আবার এই রোগটি যেকোনো বয়সে যে কোন কারণে যেকোনো লিঙ্গের মানুষের হতে পারে। তাই এই রোগটি প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের অবশ্যই যখন
আমরা নক কেটে ফেলি তখন অবশ্যই খুব সাবধানে নখ কাটতে হবে। নখ কাটার সময় যেন আমাদের কোন মতেই তোকে আঘাত না লাগে বা শুধুমাত্র নখ কাটা হয়। নখ কাটার সময় আরো খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের যেন ভালোভাবে দেখতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে একটু বড় করে নখ কাটতে হবে। তাহলে অবশ্যই আমরা এই ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাবো এবং নক কুনি মত রোগ আমাদের হবে না বলে আশা করি। আবার কখনো কখনো কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্য আমরা দেখি যে নখকুনির মতো রোগ হয়।
নখকুনি ভালো করার উপায়
নখকুনি ভালো করার জন্য আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে আমরা। ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মধ্যে রয়েছে নিজে থেকে কোন ঔষধ না খেয়ে আমাদের হাতের কাছে যেগুলো রয়েছে সেগুলো। যেমন আপনি প্রাথমিকভাবে পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানেট যদি পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি যদি দেওয়া যায় তাহলে অবশ্যই এটি ভালো হতে পারে। এছাড়াও আরও সব বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলির অবলম্বন করলে অবশ্যই এই রোগটি আপনি ভালো করতে পারেন অতি সহজেই। তাছাড়া আমরা ঘরোয়া ওপর আরো সব পদ্ধতি গুলো আপনাদেরকে দেখাবো অবশ্যই সেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার এই অসুখটি ভালো করতে পারবেন। এর মধ্যে একটি পদ্ধতি হলো-অ্যাপল সিডার ভিনিগার।
এই পদ্ধতিতে আপনি দুই কাপ জলের সঙ্গে দুই কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণে ৩০ মিনিট যাবত নখকুনি আক্রান্ত আঙ্গুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। এভাবে যদি আপনি দুই থেকে তিন দিন এই বিষয়টি চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই দেখবেন যে আপনার সেই ক্ষতস্থানটি ভালো হয়ে যেতে পারে। আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে সেই পদ্ধতির নাম হলো সাদা ভিনেগার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দুই কাপ উষ্ণ গরম জলে এক কাপ সাদা মেশিনেকার মিশিয়ে নিন। এরপর এখানে আপনি পা ভিজে রাখুন এতেও আপনার ক্ষতস্থানটি অবশ্যই ছাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করি। আপনারা এ ধরনের তথ্য পাওয়ার জন্য যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সব সময় সবার আগে সব ধরনের তথ্য আমাদের এখান থেকে পেয়ে যাবেন বলে আশা করি।