আপনি যদি আপনার গলার স্বর ভালো করতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে ভালো করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে নিজ গলার প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের চর্চা করার পাশাপাশি সেই ক্ষেত্রে আপনি বেশ কিছু খাবার দাবারের ব্যাপারে যদি সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারেন তাহলে গলার স্বর ভালো হবে। আপনি যদি মুসলিম ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে বলা হয়ে থাকে যে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করার মাধ্যমে গলার স্বর সুন্দর হয়ে থাকে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটা মেনে চলতে পারেন এবং অন্য ধর্মের অনুসারীরা এখান থেকে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে পারেন।
পুরুষ মানুষের অথবা মেয়ে মানুষ হোক তাদের গলার স্বর যদি চেহারার সঙ্গে মিষ্টি মধুর না হয় তাহলে কেমন যেন দেখায়। তাই গলার স্বর যদি আপনি ভালো করতে চান অথবা বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে সেটাই যদি ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিতভাবে কিছু অভ্যাস পালন করতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি গান পছন্দ করেন এবং গানের প্র্যাকটিস করেন তাহলে অবশ্যই আপনার গানের গলা কে ধরে রাখার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
তাই গলার স্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে যারা এখানে এসেছেন তাদেরকে প্রথম সাজেশন থাকবে সকল ধরনের ঠান্ডা জাতীয় জিনিস অথবা ফ্রিজের জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ফ্রিজের জিনিস খেয়ে থাকলেও সেটা অবশ্যই রুম টেম্পারেচার হতে হবে এবং সেই পর্যন্ত সময় দিয়ে তারপরে সেটা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় আপনার যদি কোলড্রিংস অথবা আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে এবং আপনি যদি ঠান্ডা জাতীয় জিনিস বেশি বেশি খান তাহলে গলার ভেতরে সমস্যা হবে এবং সেটা থেকে আস্তে আস্তে গলা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকবে।
গলার যত্ন নেওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে লবণ পানি দিয়ে যদি কুলকুচি করতে পারেন তাহলে সেটা খুব ভালো একটা এক্সারসাইজ হবে। প্রত্যেকদিন সকালে কিছুক্ষণ গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারলে সেটা আপনার বলার জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে যখন চা খাবেন তখন অবশ্যই সেটা মশলা চা যেন হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে করে সেটা আপনার গলার জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। তাই আপনাদের গলার যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে উপরের দিকে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো সেগুলো আশা করি মেনে চলতে খুব বেশি অসুবিধা হবে না।
গলার আওয়াজ ভালো করার উপায়
গলার আওয়াজ ভালো করার জন্য গলার যত্নের ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। আবহাওয়া জনিত কারণে অথবা ঠান্ডা লেগে বিভিন্ন সময় গলার যে নার্ভগুলো থাকে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই আপনাকে অবশ্যই ঠান্ডা লাগা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং বলার যত্নে মসলা চা থেকে শুরু করে সকালবেলায় গড়গড়া করতে হবে এবং ফ্রিজের খাবারগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। অভ্যাস মেনে চলা কঠিন কিছু নয় এবং যদি ফ্রিজের বেশ ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খেতে আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো বাদ দিয়ে চলাটাই আপনার এই উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
গলার স্বর চিকন করার উপায়
যাদের কন্ঠ একেবারেই মোটা এবং এই মোটা কন্ঠের কারণে বয়স হিসেবে অনেক সময় আপনাদের মানুষ বুঝতে পারে না তাদের এই গলার স্বর চিকন করা যেতে পারে। তবে মোটা থেকে খুব বেশি চিকন করা সম্ভব নয়। তবে এই ক্ষেত্রে আপনারা যদি গলার যত্ন নেন তাহলে কিছুটা উন্নতি হতেও পারে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে কর্ডের ব্যবহার করার পাশাপাশি সঠিকভাবে পানি খেতে হবে এবং পানি খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেগুলো বাদ দেওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম দিতে হবে।
গলার স্বর মোটা করার উপায়
গলার স্বর যদি একেবারেই চিকন হয়ে থাকে তাহলে বয়সন্ধিকালে এটা আস্তে আস্তে মোটা হয়ে যাবে। তাই এখন এ বিষয়ে চিন্তিত না হয়ে গলার স্বর যদি চিকন হয়ে থাকে তাহলে নির্দিষ্ট একটা বয়স করে আপনাদের গলার স্বর আস্তে আস্তে মোটা হয়ে যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তাছাড়া এক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকরী উপায় নেই অথবা এরকম কোন সিস্টেম নেই। বয়সন্ধিকালের উপর নির্ভর করে মানুষের কন্ঠ চিকন বা মোটা হয়ে থাকে।