ঠান্ডা জনিত কারণে হওয়া অথবা বয়সন্ধিকালে হোক একজন মানুষের কণ্ঠস্বর যদি নষ্ট হয়ে যায় অথবা গলার আওয়াজ যদি শোনায় তাহলে সেটা দেখতে খুবই অকওয়ার্ড লাগে। তাছাড়া এটা দিয়ে যদি আপনি নিজেকেও খুব একটা অন্যান্য পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারেন তাহলে হয়তো আপনাকে জানতে হবে গলার আওয়াজ ভালো করার উপায় সম্পর্কে। আর যখনই আপনারা গলার আওয়াজ ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন তখন সেই নিয়মগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে গলার অবস্থা আগের চাইতে অনেকটাই ভালো করতে পারবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজ নিয়মে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আমরা অনুসরণ করলেই গলার অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো পর্যায়ে ফিরে আসে। আপনার গলা যেমন অবস্থাতেই থাকুক না কেন অথবা আপনার বলা যদি কোন কারণে অল্প একটু ভেঙে যাই অথবা ফ্যাসফেসে হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনারা লবন পানি দিয়ে গড়গড়া করার অভ্যাস চালিয়ে যান। আপনারা যদি লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন তাহলে খুবই উপকার পাবেন এবং দৈনিক যদি 10 মিনিট গরম পানির বাসবো নাক এবং মুখ দিয়ে টেনে নিতে পারেন তাহলে সেটা আপনার গলাতে গিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে কাজ করবেন।
যদি আপনার গলা ভেঙে যায় তাহলে হালকা গরম লেবু পানির সঙ্গে আদা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে। পানি খেয়ে ফেললে আপনার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে এবং আপনার গলার স্বর্গে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে। যারা বিভিন্ন বক্তৃতায় বিভিন্ন ধরনের উচ্চকণ্ঠে কথা বলে থাকেন তারা এ ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকলে অবশ্যই কণ্ঠের বিশ্রাম নিতে হবে। শ্বাসনালীতে যে প্রদাহের বিষয়গুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। সাধারণত একজন মানুষের গলা যদি বসে যায় তাহলে চার থেকে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এটা চলমান থাকে।
তাই সেই ক্ষেত্রে আপনারা নিয়মিতভাবে গড়গড়া করার পাশাপাশি লেবু পানি খেতে পারেন অথবা কুসুম গরম পানি প্রত্যেক বেলা খেতে পারেন। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য একটা বিষয় যে এই অবস্থায় কোনোভাবেই ফ্রিজের হিমায়িত খাদ্য ঠান্ডা খাওয়া যাবে না। ফ্রিজের খাবার যদি গ্রহণ করে থাকেন তাহলে টেম্পারেচার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটা গ্রহণ করবেন না এবং কোন ভাবে কোল্ড্রিংস অথবা আইসক্রিম খাবেন না। আর যদি এগুলো আপনারা গ্রহণ করেন তাহলে আপনাদের কোন উপকার হবে না বরং অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে।
গলার আওয়াজ সুন্দর করার উপায়
যারা গলার আওয়াজ সুন্দর করতে চান অথবা এটার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে গলার যত্ন নিতে হবে। কণ্ঠস্বর সুন্দর করার জন্য যেকোন স্থানে কথা বলার সময় অবশ্যই ঠান্ডা ভাবে এবং নিচে স্বরে কথা বলতে হবে। তবে এতটাই আজকে কথা বলা যাবে না যেটা আবার অন্যের জন্য শুনতে অসুবিধা হয়। আর যদি ঠান্ডা লেগে গলা বসে যায় তাহলে সেই অবস্থায় কথা বলা কিছুটা অফ রাখতে হবে এবং বলার প্রদাহ না কমা পর্যন্ত আপনাদের চুপচাপ থাকাটাই সবচাইতে ভালো।
সেই সাথে আপনারা যদি মনে করেন ফিসফিস করে কথা বলব তারপরও গলার উপরে চাপ পড়বে এবং এটা আপনাদের গলার অবস্থাকে খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ধূমপান অথবা অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস আপনার কন্ঠকে খুব দ্রুত খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাই বলে এই সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বাদ দিতে হবে। তাছাড়া গলার যত্ন নিতে আপনারা মাঝেমধ্যেই গড়গড়া করতে পারেন অথবা লেবু আদা কুচি দিয়ে সেই পানি খেলে আপনার গলা খুবই সুন্দর ভাবে কথা বলতে সাহায্য করবে।
গলার আওয়াজ বড় করার উপায়
যাদের গলার আওয়াজ আরো বৃদ্ধি করতে চান তাদেরকে বলব যে গলার আওয়াজ বড় করা বা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে এটা আপনার জন্য লাভবান হবে না বরং ক্ষতিকর হবে। কারণ আপনি যখন কোন স্থানে উচ্চস্বরে কথা বলবেন তখন সেটা আপনার গলার উপরে চাপ সৃষ্টি করবে এবং সেটার মাধ্যমে আপনি গলা বসিয়ে ফেলতে পারেন অথবা নিজের ক্ষতি নিজেই করতে পারেন।
গলার আওয়াজ মোটা করার উপায়
ছেলে হিসেবে ও যাদের কন্ঠ একেবারেই চিকন অথবা যাদের কণ্ঠ একেবারে মেয়েলি বলে শোনায় তারা আসলে গলা মোটা করার উপায় সম্পর্কে জানতে এসেছেন। গলা মোটা করার এমন কোন সিস্টেম নেই অথবা এমন কোন ওষুধ নেই যেটার মাধ্যমে আপনার গলার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হবে। তারপরও এ বিষয়ে আপনারা যদি নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে তারা হয়তো আপনাকে সমাধান প্রদান করতে পারেন।