যে সকল মা সন্তান জন্ম দিয়েছেন অথবা সন্তান জন্ম দেয়ার পরে পরবর্তী সময়ে তাদের লালন পালন করার জন্য একটি পরিকল্পিত ডায়েট মেনে চলতে চাইছেন তাদের জন্য আমরা এখানে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছি। যেহেতু গর্ভবতী সন্তানের জন্ম গ্রহণের পরবর্তী ছয় মাস বুকের দুধ খাওয়াতে হয় সেহেতু প্রসূতি মা যেন ঠিকঠাক মত দুধ উৎপাদন করতে পারে সেটা খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অনেক সময় দুধ উৎপাদন যেমন কমে যায় তেমনি ভাবে অনেক বাচ্চা এই দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাই না। তাই একজন প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ কিভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে তা আপনাদের সামনে এখানে আলোচনা করছি।
যদি কোন ধরনের অসুবিধা না হয় অথবা কোন ধরনের রোগ গর্ভবতী মায়ের না থাকে তাহলে কিছু খাবার-দাবারের মাধ্যমে কিন্তু বুকের দুধ উৎপাদন করার ব্যাপারে একজন মা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই দৈনন্দিন জীবনে একজন সন্তান জন্মদানকারী মাকে অবশ্যই আন্টি ইনফ্লামেটরি ডায়েট মেনে চলতে হবে। আর এই ডায়েট যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে দৈনন্দিন জীবনে আপনারা খুবই ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন এবং নিজেদের সন্তানকে বুকের দুধ দিয়ে বড় করে তুলতে পারবেন। তাই যে সকল খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে সে সকল খাবার খাওয়ালে কিন্তু খুবই ভালো হয় এবং বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য মেথি, ওটমিল অথবা মৌরি খাওয়াতে পারেন।
অনেক সময় অনেক প্রসূতি মা পানি ঠিকমতো পান করতে চান না। যেহেতু দুধের প্রায় 90% পানি থেকে হয়ে থাকে অথবা এখানে পানি থেকে থাকে সেহেতু মায়ের শরীর হাইড্রেট রাখার জন্য পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। পানি ব্যতীত একজন গর্ভবতী মা যদি দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খেতে পারে এবং এই ফলের জুস যেন প্রসেস জুস হয় সে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাবার খেতে হবে এবং সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। কারণ একজন গর্ভবতী মা অথবা সন্তান জন্ম দানকারী মা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে না পারে তাহলে তার দুধ উৎপাদনের হার কমে যায়। সন্তান জন্মগ্রহণের পর বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস আসতে পারে এবং সেই সকল বিষয় থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি সুস্থ স্বাভাবিক এবং চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করার চেষ্টা করতে হবে। রাতের বেলা ঘুম না হলেও দিনের বেলা ঘুমিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে এই বিশ্রাম সেরে নিতে হবে।
বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার
বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার সেগুলো যদি জানতে চান তাহলে এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে দৈনন্দিন জীবনে যে নিত্যনৈমিতিক ডায়েট রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দরভাবে মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে প্রসেস ফুড খাবার পরিবর্তে যদি অর্গানিক ফুড খেতে পারে তাহলে খুবই ভালো হয়। দৈনন্দিন জীবনে খাবার তালিকায় শাকসবজি, চিকেন, ডিম, দুধ, রসুন, সুপ, বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি যে সকল খাবার একজন মায়ের শরীরে ভালো ভূমিকা রাখবে সেগুলো খাওয়াতে হবে।
কোন ফল খেলে বুকের দুধ বাড়ে
কোন ফল খেলে বুকের দুধ বাড়ে সে প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা ফলের ভূমিকায় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু একজন সন্তান জন্ম দানকারী মাকে দুধ উৎপাদন করতে হয় সেহেতু এমন ফল খেতে হবে যেগুলো রসালো অথবা যে সকল ফল থেকে আমরা তরলের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে পারি। এক্ষেত্রে আপনারা এমন ফল খাওয়াবেন যেটার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সেই সাথে সাথে পানির চাহিদা পূরণ হওয়ার মধ্য দিয়ে দুধ উৎপাদন করতে পারে।
কোন মাছ খেলে বুকের দুধ বাড়ে
কোন মাছ খেলে বুকের দুধ বাড়ে এ প্রসঙ্গে যদি জানতে আসেন তাহলে এন্টিফ্লামেটরি ডায়েটের কথা আমরা বলব। আর এই ডায়েটের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের মাছের কথা বলা রয়েছে যেমন সালমন মাছ। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক আমিষ এবং অন্যান্য খাদ্য উপাদান পেয়ে যাবেন। যেহেতু মাকে সন্তানকে খাওয়ানোর পাশাপাশি নিজেকে খেতে হয় সে তো এমন কিছু খাবার খেতে হবে যাতে করে উভয়ের শরীরের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা অথবা শরীরের সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।