পাকস্থলী প্রাণীর অর্থাৎ বড় বড় প্রাণীর খাদ্য পরিপাকের জায়গা। এই পাকস্থলী প্রত্যেকটি প্রাণীর শরীরের অভ্যন্তরে থাকে। মানুষ যেহেতু বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে তাই মানুষকে অবশ্যই পাকস্থলী ভালো রাখার বিষয়গুলি আগে থেকে জেনে নিতে হবে। কারণ পাকিস্তানি যদি ভালো না থাকে তাহলে অনেক ধরনের সমস্যা ঘটবে এমনকি যদি অনেক বেশি সমস্যা হয় তাহলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শুধু পাকস্থলী নয় শরীরের অভ্যন্তরে যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো রয়েছে সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি ভালো রাখার জন্য আমাদের অনেক ধরনের ব্যবস্থা নিতে হয়। কারণ শরীরের অভ্যন্তরে যে অতি সেনসিটিভ অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো রয়েছে সেগুলো অল্পতেই সমস্যা ঘটতে পারে কিন্তু সেগুলোকে আমরা স্বচক্ষে দেখতে পাই না শুধু অনুভব
করতে পারি। তাই শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি ভালো রাখার জন্য আমাদের যে কাজগুলো করণীয় অর্থাৎ শরীর বিজ্ঞানীরা কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কিভাবে ভালো রাখা যায় সে সম্পর্কে তারা আলোকপাত করেছেন। সে বিষয়গুলি আমরা ভালভাবে জেনে নিয়ে আমাদেরকে আমাদের শরীরের পাকস্থলী সহ অন্যান্য অত্যন্ত সেনসিটিভ সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাবো। তাই আজকে আমাদের বিষয় হল কি উপায়ে পাকস্থলী ভালো রাখা যায় সে বিষয়গুলো জানার জন্য। আমরা আজকে সে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদের সামনে আলোচনা করব এবং বুঝে নেব কিভাবে ভালো রাখা যায়।
পাকস্থলী ভালো রাখার উপায়
আপনারা জানেন যে আমাদের অভ্যন্তরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো ভালো রাখতে হলে সাধারণত আমাদের শারীরিক ব্যায়াম এবং কোন খাবারগুলো খেলে শরীর ভালো থাকে বিশেষ করে ভিতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো ভালো থাকবে সে বিষয়ে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়। তাই দেখি কোন কোন খাবার খেলে পরে আমরা শরীর ভালো রাখতে পারি বিশেষ করে পাকস্থলী ভালো রাখতে পারি সেই বিষয়টি জানবো।ফাইবার যুক্ত খাবার আমাদের শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। এই খাদ্য উপাদান আপনার শরীরে সহজে গ্রহণ করে। পাশাপাশি পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও এই খাবারের জুড়ি মেলা ভার।
হোল গ্রেইন, শাক, সবজি, ফলে এই খাদ্য উপাদান ভালো পরিমাণে মেলে। পাকস্থলী আমাদের খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে আর এই খাদ্য যে কোন সহজ প্রাচ্য সেই খাবারগুলো যদি আমরা গ্রহণ করি তাহলে পাকস্থলীর পক্ষে সুবিধা হয় সেই খাদ্যগুলি ভাঙ্গার। তাই আমরা চেষ্টা করব সব সময় যে খাবারগুলো সহজেই হজম হয় সেই খাবারগুলো গ্রহণ করার। এতে করে আমরা সবাই সুস্থ থাকবো ভালো থাকবো এবং সর্বোপরি পাকস্থলী ভালো থাকবে।
যেকোনো মাংস বিশেষ করে পশুর মাংস বলে এবং স্নেহ জাতীয় খাবার গুলি হজম হতে অর্থাৎ পরিপাক ক্রিয়ায় অনেক শক্তি ব্যয় করতে হয়। তাই আমরা দেখব যে কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করলে সেগুলো হজম করার জন্য পাকস্থলী কম শক্তি ব্যয় হবে সেই গুলি খেতে হবে খাবার হিসেবে। বিভিন্ন ধরনের ফল শাকসবজি এই খাবারগুলো সহজপাচ্ছে বলে মনে করা হয়।
তাই এগুলো সহজে হজম হয় এই খাবারগুলোই আমাদের বেশি করে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের খেতে হবে সাধারণত সামুদ্রিক মাছ বা ছোট মাছ। ছোট মাছ খেলে আমাদের শরীর ভালো থাকে এবং প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে পাকস্থলীর শক্তি কম ব্যয় করতে হবে এই খাবারগুলো পরিপাক করার জন্য। পক্ষান্তরে আমরা যদি চর্বি বা স্নেহ জাতীয় খাবারগুলি খায় তাহলে দেখবেন এই খাবারগুলি হজম করার জন্য অর্থাৎ পরিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রচুর পরিমাণে শক্তি ব্যয় হয় এবং অনেক
সময় ধরে এগুলোকে হজম করতে হয়। তাই পাকস্থলী ভালো রাখার জন্য আমাদের যে কাজটি করতে হবে তা হলো সহজে হজম হয় এ ধরনের খাবার বিশেষ করে ফল শাকসবজি ইত্যাদি খাবার। আপনারা যত কিছু জানার রয়েছে সব ধরনের বিষয়গুলি জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট আপনারা ভিজিট করবেন বলে আশা করি।