আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপনি কি অটিস্টিক শিশু সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বা অটিস্টিক শিশুদের চেনার উপায় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? কিন্তু কিভাবে আপনি অটিস্টিক শিশুদের চিনতে পারবেন তা বুঝতে পারছেন না এবং তথ্যগুলো খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন এবং মূলত আপনার জন্যই এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। কেননা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে অটিস্টিক শিশু চেনার সুন্দর সুন্দর উপায় দেওয়া হয়েছে এবং কিভাবে তাদেরকে একটি স্বাভাবিক শিশুর চাইতে আলাদা করা যাবে, সেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।
আপনি যদি আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়েন, তাহলে আপনি একটি স্বাভাবিক শিশু এবং একটি অটিস্টিক শিশুর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়া তাদের কি কারনে অটিস্টিক শিশু বলা হয়, সেই বিষয়গুলো জানতে পারবে। তাহলে আপনি আর দেরি না করে অটিস্টিক শিশু সম্পর্কে জানতে বা তাদেরকে চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে। আর অটিস্টিক শিশু সম্পর্কে তথ্য পেতে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
আমরা খেয়াল করলে দেখতে পায় যে আমাদের সমাজের সকল শিশু সমান নয় এবং সকল শিশুরা একইভাবে বড় হচ্ছে না। বিভিন্ন শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। তবে অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বুঝা নয় এবং তারা আসলে সমাজের কাছে অবহেলার পাত্র নয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় যে অনেকে অটিস্টিক শিশুদের সমাজের বুঝা বা অভিশাপ মনে করে এবং তাদের সাথে বিভিন্নভাবে খারাপ আচরণ করে। কিন্তু যা কখনো উচিত নয়। এ
কটি অটিস্টিক শিশু নিজে থেকে ইচ্ছে করে অটোস্টিক হয় না। প্রকৃতির নিয়মে বা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সে অটিস্টিক ভাবে তৈরি হয়। তাই আমাদের অটিস্টিক শিশুদের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং তাদেরকে কোনভাবে অবহেলা করা যাবে না। তাদেরও কিছু অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারগুলো পূরণ করার জন্য আমাদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
কোন মানুষই আসলে সমাজের বোঝা নয়। আমরা যদি তাদেরকে সঠিকভাবে মর্যাদা দিই এবং বড় হতে সাহায্য করি, তাহলে প্রত্যেকটি মানুষ সুন্দরভাবে বড় হতে পারবে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। তবে অটিস্টিক শিশুরা স্বাভাবিক শিশুদের চেয়ে কিছুটা আলাদা হয় এবং তাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। এজন্য অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুর চেয়ে অটিস্টিক শিশুদের গুরুত্ব একটু বেশি দিতে হবে এবং তাদের এক্সট্রা কেয়ার নিতে হবে। এর ফলে তারা সুস্থভাবে এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। আরটিস্টিক শিশুদের কখনোই অবহেলা করা যাবে না।
যে সকল শিশু স্বাভাবিক নয় এবং স্বাভাবিক শিশুদের চেয়ে আলাদা, তাদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য তাকে। যেমন তারা একই কথা বারবার বলে বা বিভিন্নভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনা। মানুষের অঙ্গভঙ্গি বুঝতে পারে না ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো দেখে বোঝা যায় যে একটি শিশু অটিস্টিক কি না। কোন শিশুর মধ্যে যদি এই ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকে, তাহলে সেই শিশুটিকে আমরা অটিস্টিক বলতে পারি। আবার অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশও হয় না। তাদের বুদ্ধি ভিত্তিক বিকাশে বিভিন্ন ধরনের বাধা থাকতে পারে। তাই তারা বড়দের মতো আচরণ করতে পারে না। অথবা তাদের বয়সী অন্যান্য বাচ্চাদের মত আচরণ করতে পারে না।
এজন্য যদি কোন শিশুর মধ্যে এই লক্ষণ গুলো দেখে থাকেন বা স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় তাদের আলাদা দেখেন, তাহলে আপনি তাকে অটিস্টিক শিশু বলতে পারেন। তবে তাদেরকে কোনোভাবে অবহেলা করা যাবে না। তাদেরকে এক্সট্রা কেয়ার নিতে হবে এবং তারা অনেক ক্ষেত্রে পারদর্শী হতে পারে। বিভিন্ন কাজ তারা অনেক দক্ষতার সাথে করতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। আর স্বাভাবিক শিশুর মত তাকে তার সকল ধরনের অধিকার দিতে হবে। তাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। তাহলে দেখা যাবে যে সমাজ এগিয়ে যাবে এবং অটিস্টিক শিশুরাও তাদের অধিকার লাভ করতে পারবে।