থাইরয়েড হরমোন কমানোর উপায়

থাইরয়েড হরমোন বলতে সাধারণত ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন বা (T3) এবং থাইরক্সিন বা (T4) হরমোনকে বুঝিয়ে থাকে। তাই এই থাইরয়েড হরমোন টাইরোসিন ভিত্তিক হরমোন যা থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে থাকে। T3 ও T4 আংশিকভাবে আয়োডিন দ্বারা তৈরি। তাই বলা যায় যে থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের মধ্যে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে থাকে। থাইরয়েড হরমোন নিশ্চিত হলে আমাদের বিপাকীয় ক্রিয়াগুলি বেস্ট হিসাবে সম্পন্ন হতে পারে। আর এই কারণে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই

এই থাইরয়েড হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু যখন এই থাইরয়েড হরম োন কম অথবা বেশি নিঃসৃত হয়ে থাকে গ্রন্থি থেকে তখনই বিপত্তি ঘটায়। অর্থাৎ স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে কম অথবা বেশি মাত্রায় নিশ্চিত হলে তখন শরীরে থাইরয়েড রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই থাইরয়েড হলে বিভিন্ন ধরনের শরীরে জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে আর সেই জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই খোঁজ করা উচিত কোন উপায়ে থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

থাইরয়েড হরমোন কি করে

থাইরয়েড হরমোন সাধারণত আমাদের শরীরের বিপাকীয় কাজ গুলোয় অংশগ্রহণ করে। আর এই কাজগুলোই অংশগ্রহণ করে বিধায় শরীর পরিচালিত হয়। আবার অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি করে। কারণ থাইরয়েড হরমোন আমাদের মানব শরীরের অনেকগুলো বিষয় তারা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই অনেকগুলো বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এর অনুপস্থিতিতে বা এর বেশি উপস্থিতিতে অনেক ধরনের কাজগুলো ব্যাঘাত ঘটায়।

আর এই কারণে থাইরয়েড হরমোনকে আমাদের অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে এই থাইরয়েড হরমোনের যে সমস্যাগুলি ঘটাবে সেগুলো আরও তীব্র থেকে তীব্রতার হবে। তাই আমাদের এই থাইরয়েড হরমোন যাতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো আরও তীব্র করতে না পারে সেজন্য অবশ্যই আমাদের উচিত হবে সেই থাইরয়েড হরমোনকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা বা উপশম করা উচিত।

থাইরয়েড হরমোন কমানোর উপায়

থাইরয়েড হরমোন কিভাবে কমানো যায় সে সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। তাহলে আমরা এখন এই বিষয়টি খেয়াল করব বা দেখব যে কিভাবে থাইরয়েড যদি হয়ে যায় তাহলে কমানো সম্ভব বা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কারণ আমাদের যদি থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারি বা কমে রাখতে না পারি তাহলে অবশ্যই শরীরের যে জটিলতা গুলো সৃষ্টি হবে সেগুলো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বৈ কমবে না। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই থাইরয়েড কে কমিয়ে রাখতে হবে। শরীর সুস্থ রাখতে না পারলে অবশ্যই আমাদের অনেক ভোগান্তি ঘটবে।

তাই প্রথম থেকেই আমাদের উচিত হবে যে থাইরয়েড হয়েছে এ কথা যদি আমরা বুঝতে পারি বা পরীক্ষার মাধ্যমে যদি নিশ্চিত হয়ে যাই তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। হঠাৎ চিকিৎসক যে ধরনের উপায় সমূহ বলে দেবে সেই পদ্ধতি বা উপায় সমূহ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। চিকিৎসক অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের খাবার তালিকায় আলাদা আলাদা খাবার যেগুলো ডায়াবেটিস কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে সে সকল খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে আবার কিছু কিছু ব্যায়াম রয়েছে সেই ব্যায়াম গুলো আমাদের করতে হবে। তাহলে চলুন দেখি যে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় গুলো কি হতে পারে।

সাধারণত থাইরয়েড কমানোর জন্য আমাদেরকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য, তিলের বীজ, কমলালেবুর রস এবং ডিমের কুসুম খেলে থাইরয়েডের সমস্যা কমে। 7/11আদা: এটি পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজে সমৃদ্ধ। তাই আদা বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আদা চা খেলে থাইরয়েডের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই বিষয়গুলি মেনে চললে বা এই খাবারগুলি খেলে অথবা এই ধরনের ব্যায়াম গুলি করলে আপনি অবশ্যই থাইরয়েড কমিয়ে রাখতে পারবেন বলে আশা করি। আর এ ধরনের যেকোনো তথ্য জানার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারবেন।

Leave a Comment