একটি শিক্ষার্থীকে ভালো-মন্দ চেনার জন্য যে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয় তাই হল পরীক্ষা। অর্থাৎ একটি শ্রেণীতে একটি বছর পর্যন্ত এক সেট বই পড়ানো হয় এবং বছর শেষে সেই বই তারা কেমন পড়েছে সেই বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য যে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কে সেই বিশেষ প্রক্রিয়ার নাম হলো পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার সঙ্গে প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী পরিচিত। তাই পরীক্ষা সম্পর্কে জানেনা এমন শিক্ষার্থী নাই যদি থাকে তাহলে সে অবশ্যই পাস না করা শিক্ষার্থী। তাই আমরা দেখেছি বা জানি যে পরীক্ষা কিসে বিষয়টি।
প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে একটি শ্রেণী থেকে আরেকটি শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে হলে তাকে অবশ্যই তার সেই শ্রেণীর সব বই গুলোর উপর যাচাই করার জন্য পরীক্ষা দিতে হয়। কি পড়াশোনা করেছে এবং পড়াশোনা কতদূর করেছে সেই বইটির ওপর পারদর্শিতা কি সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়। তাই যতদিন পর্যন্ত ছাত্র জীবন চলে বা শিক্ষার্থী জীবন চলে তাদেরকে প্রতিটা সময় পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। মেধার বিকাশ কতখানি হল কোন পর্যায়ে রয়েছে একটি শিক্ষার্থীর মানদন্ডকে পরীক্ষা দারাজ যাচাই করা হয়। তাই আজকে আমরা দেখব যে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত জানাবো।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে যা করতে হবে
আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সব সময় টেনশনে থাকতে হয় কিভাবে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হবে বা কিভাবে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যায় সেই বিষয়গুলো নিয়ে। কারণ শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষার্থীদের বাবা মায়েরাও অনেকটাই টেনশনে থাকে যে কিভাবে তার ছেলে মেয়েরা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবে। কারণ আপনারা জানেন যে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে কিছু বিষয়ের উপর জোর দিতে হয়। আর এই বিষয়গুলো যদি ঠিকঠাক মতো করে যায় তাহলে অবশ্যই একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবে।
প্রথমত আপনারা জানেন যে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বিদ্যালয়ে বা স্কুল-কলেজ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে হবে। এবং আমাদের মহা মানুষেরা অবশ্যই বারবার বলে গেছেন যে, ছাত্রদের অধ্যায়ন ই তপস্যা। তাই প্রতিটি ছাত্রের অবশ্যই তার শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত হলে অবশ্যই তার রেজাল্ট ভালো হবে বলে আশা করি। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো প্রতিটি ছাত্র প্রত্যেক দিনের পড়া অর্থাৎ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক রাজ্যের পড়া দিয়ে থাকেন সেই পড়াটা যদি ঠিকঠাক মতো দিনের পর দিনে ঠিক করেন তাহলে অবশ্যই তার রেজাল্ট ভালো হবে।
রেজাল্ট ভালো করার জন্য আরও বিষয় হলো যে যে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা পড়বে সে বিষয়টি অবশ্যই যেন মনোযোগ সহকারে পড়ে যান। মনোযোগ সহকারে যদি না পারা যায় তাহলে দেখবেন যে অনেকক্ষণ ধরে পড়লেও কোন ধরনের লাভ হয় না। তাই যে কোন জিনিস ভালোভাবে বুঝতে হলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে আর মনোযোগ সহকারে পড়লে তার বইয়ের উপর দক্ষতা বাড়বে এবং যেকোনো পরীক্ষায় যে কোন প্রশ্ন আসলে অবশ্যই সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। আর এভাবেই একজন শিক্ষার্থে তার পরীক্ষার জন্য ভালো রেজাল্ট করে যাবে আশা করি। এছাড়া আর অন্য কোন পথ নেই ভালো রেজাল্ট করার।
ভালো রেজাল্ট করতে হলে নিয়মিত ভাবে পড়াশোনা করতে হবে এবং প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করতে হবে তাহলে দেখবেন যে পরীক্ষার জন্য কোন ধরনের টেনশন থাকবে না। আর পরীক্ষার জন্য যদি টেনশন না থাকে তাহলেই ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। অনেক সময় আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের দেখে থাকি যে তারা পরীক্ষার টেনশনে বা পরীক্ষার চিন্তায় পরীক্ষার পড়া পড়তে পারে না। আপনারা এই ধরনের যেকোনো তথ্য বা উপাত্ত পাওয়ার জন্য আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশা করি। কারণ আপনারা আপনাদের যে কোন তথ্য খুঁজে আনার জন্য যত বেশি আমাদের এখানে আসবেন তত বেশি আপনারা অবশ্যই সব ধরনের তথ্য আমাদের এখান থেকেই পাবেন এটি আশা করা যায়।