যে সকল গর্ভবতী মায়েরা সন্তানদের পেটের ভেতরের অবস্থান থেকে শুরু করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চান তারা হয়তো আলট্রাসনোগ্রাম করে থাকেন। তাছাড়া আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার প্রধান উদ্দেশ্য হল গর্ভে কন্যা সন্তান রয়েছে নাকি ছেলে সন্তান রয়েছে তা যাচাই করে দেখে নেওয়া। তাই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে আপনারা যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এটা করবেন তারাই আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিবে। সেই সাথে যদি নিজেরা এটা বুঝতে চান তাহলে আপনাদেরকে কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হবে যেটার মাধ্যমে আপনারা সঠিকভাবে এটা জেনে নিতে পারবেন।
পরিবারে যে সকল নতুন সদস্য বা অতীতে আসতে চলেছে তারা ছেলে নাকি মেয়ে তা আমাদের সমাজে প্রচলিত একটা জানার নিয়ম হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী যদি ছেলে সন্তান হয়ে থাকে তাহলে তার বংশের প্রদীপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে এবং নারী সন্তানকেও সাদরে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু পরিবার রয়েছে যারা পরপর কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে মনে হয় যে এবার একটি ছেলে সন্তান হলে ভালো হয়। কিন্তু একজন মাতৃ গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে হবে তা নির্ভর করবে পিতার উপর।
তারপরেও আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা এক্ষেত্রে নারীদেরকে দোষারোপ করে থাকে। তাছাড়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিশেষ করে দাদা দাদীরা ছেলে সন্তান হওয়ার বিষয় খুবই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এ বিষয়ে আগেকার দিনে খুব ধরা বাধা নিয়ম অথবা পুরুষ সন্তান জন্মগ্রহণ করার ব্যাপারে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা নারীদেরকে দোষার করে থাকলে বর্তমান সময়ে এ সকল চিন্তাভাবনার পরিবর্তণ এসেছে। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা যে সন্তান দেবে তাতেই অনেকে সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করছে এবং সে অনুযায়ী তারা সেই সন্তানকে লালন পালন করছে।
তবে আল্ট্রাসোনার রিপোর্ট দেখে আপনারা যদি ছেলে নাকি মেয়ে হবে তার উপায় জানতে চান তাহলে সে প্রসঙ্গে আপনাদেরকে বলবো যে এক্ষেত্রে অনেক সময় বোঝা না গেল বর্তমান সময়ে যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে তারা আপনাদেরকে নির্দিষ্ট একটা তথ্য প্রদান করে থাকে। কিছু চিহ্ন অথবা কিছু মার্ক এর মাধ্যমে এগুলো চেনা যায় বা বোঝা যায় বলে আপনারা খুব সহজেই ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা নিশ্চিত হতে পারেন।
সে প্রসঙ্গে ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা বোঝার উপায় সম্পর্কে জানতে গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা প্রয়োজন।পেটে সন্তান থাকা অবস্থায় যদি মায়ের রক্তচাপ কম থাকে অথবা প্রেসার লো হয়ে থাকে তাহলে মেয়ে সন্তান হবে এবং রক্তচাপ বেশি হয়ে থাকলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও ভ্রুণের হার্টবিট এর ওপরে নির্ভর করে ছেলে নাকি মেয়ে হবে তা বোঝা যায়। যদি গর্ভবতী মায়ের ভ্রূণের হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৪০ এর স্পন্দনের বেশি হয় তাহলে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর কম হলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া অনেকে আছে যারা আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে এটা করে থাকেন এবং সেই ভিত্তিতে যারা রিপোর্ট দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন ছেলে নাকি মেয়ে হবে তাদের উদ্দেশ্যে এখন আমরা তথ্য প্রদান করব। আল্টাসনোগ্রামের ক্ষেত্রে কিছু রিপোর্ট দেখানো হয় যে রিপোর্টের ভিত্তিতে সেখানে জেন্ডার এর জায়গায় এম লেখা থাকে অথবা এন লেখা থাকে। এম হলে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এন যদি চলে আসে তাহলে সেখান থেকে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি কোন কারনে আলট্রাসোনোগ্রামের রিপোর্ট বুঝতে না পারা যায় অথবা এক্ষেত্রে রিপোর্ট প্রদান করার পরও সন্তানের জেন্ডার পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই মায়ের কিছু সমস্যার কারণে স্পষ্টভাবে রেজাল্ট আসে নাই। কেউ যদি ২২ সপ্তাহের পূর্বে আল্টাসনোগ্রাম করে থাকেন তাহলে স্পষ্টভাবে রিপোর্ট যেমন পাবেন না তেমনি ভাবে গর্ভবতী মায়ের পেটে যদি অতিরিক্ত চর্বি থাকে তাহলে রিপোর্ট পাওয়াটা অনেকটা ঝামেলা পূর্ণ হয়ে যায়। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা অনেক কিছু বুঝতে পারলেন এবং এ প্রসঙ্গে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে পারেন।