কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে

যাদের ওজন বেশি তারা কিন্তু কোন ধরনের ঔষধ সেবন না করে স্বাভাবিক নিয়মে ওজন কমাতে পারে। যারা সাধারণ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চায় তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়মিত খাবারের মাধ্যমে নিজেদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে কিছু ফলের নাম উল্লেখ করবো এবং এই ফলে কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

কিছু কিছু ফল রয়েছে যেগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন সি এবং ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে ফলের মধ্যে যার ফলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।
তাহলে আবার আমরা জেনে নেব যে কোন কোন ফল খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যায়। অর্থাৎ কোন কোন ফল খেলে ওজন কমানো সম্ভব।

প্রথমেই যে ফল খেলে ওজন কমে সেটা হল লেবু, লেবু হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ভিটামিন সি এর উৎস। লেবুর রস খেলে মেটাভেলজম বৃদ্ধি পায়। লেবুর রস খেলে হজম শক্তি বাড়ে। লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুর রস খেলে ওজন কমে যায়।

তারপর দ্বিতীয় নাম্বারে আসে অ্যাপেল। আপেল এমন একটি ফল যেটা খেলে দ্রুত ওজন কমানো যায়। শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ধ্বংস করতে আপেল খুবই কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে যে আপেল খেলে শরীরের রক্ত ফ্যাট কমে যায়। আপেল থেকে তৈরি, আপেল সাইডার ভিনেগার ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী একটি টেকনিক।

স্ট্রবেরি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার জন্য, স্ট্রবেরি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক প্রদাহ কমাতে পারে৷ স্ট্রবেরিতে অ্যালার্জিক অ্যাসিডের উপস্থিতি হলো গ্যালিক অ্যাসিডের একটি ডেরিভেটিভ, যা আমাদের শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

হজমের জন্য উপকারী ফল পেয়ারা ওজন হ্রাসে সাহায্য করে। ভিটামিন সি’র অন্যতম বড় একটি উৎস নাশপাতি। ওজন কমানোর জন্য অনেকের কাছে প্রথম পছন্দের ফলও এটি। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল দীর্ঘ সময়ের জন্য পেটে থাকে

তরমুজ খেলেও ওজন কমে।গবেষণায় দেখা গেছে, সেই খাবারই ওজন কমাতে সাহায্য করে, যাতে রয়েছে প্রচুর পানি। তরমুজে রয়েছে প্রায় ৯০ ভাগ পানি। জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানান, যাঁরা নিয়ম করে তরমুজ খান, তাঁরা কোমরের মেদ ঝরাতে সক্ষম হন। তরমুজে আছে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ।

ড্রাগন ফল আপনার ওজন কমাতে আদর্শ খাবার। কেননা ড্রাগন ফলের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ নাই বললেই চলে। আর ড্রাগন ফল আপনার শরীরের সঠিক ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, এবং পাকস্থলীর প্রক্রিয়া পরিষ্কার করতেও সহায়ক

বাঙ্গি বাঙ্গিতেও পানির পরিমাণ বেশি থাকে এবং এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটিতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, ফলে ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। ভিটামিন এ, বি, কে, সি, জিঙ্ক এবং কপার সমৃদ্ধ এই ফলটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমায়। এর পাশাপাশি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতেও সহায়তা করে।

আনারস ওজন কমাতে খেতে পারেন আনারস। এটি ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ। আনারসে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার রয়েছে, যে কারণে দীর্ঘ সময় আমাদের পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আনারসে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে।

ওজন বেশি থাকলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বহু রোগ বাসা বাঁধে। তাই বলা হয় যতটা সম্ভব ওজন স্বাভাবিক রাখার কথা। তবে বহু মানুষই এই বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। তাই তাঁদের শরীরে নানা অসুখ বাসা বাধে।ওজন বাড়ার অর্থ হল আপনার দেহে মেদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাট বাড়লে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করে না।

এছাড়া এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অন্যান্য অঙ্গের উপরও জমে ফ্যাট। এই কারণে সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী অঙ্গগুলিতে প্রদাহ হয়। আমরা উপরে যে ফলগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি সেই ফলগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই সবারই নিয়মিত ফল গুলো খাওয়া উচিত।

Leave a Comment