আমরা যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সেই খাবারগুলোকে প্রধানত দুইটা ভাগে ভাগ করা যায়। একটা ভাগ হচ্ছে নিরামিষ এবং আর একটা ভাগ হচ্ছে আমিষ। দুই ধরনের খাবার প্রায় প্রত্যেকের পছন্দ কিন্তু এর পাশাপাশিও আমরা কিছু খাবার খায় যেগুলোকে আমরা নাস্তা হিসেবে ব্যবহার করি। যেমন মনে করুন বিভিন্ন ধরনের ফলমূল বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা এই জাতীয় খাবার। তবে প্রত্যেকটি খাবারের সঠিক প্রশিক্ষণ সম্পর্কে আমাদের খুব কম জানা আছে। সাধারণত এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের জানতে হবে আমরা যে খাবারগুলো খাচ্ছি সেই খাবারগুলোতে কোন কোন ভিটামিন আছে।
ভিটামিন বি ১২ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন তাই এই ভিটামিন যদি আমরা খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত খেতে পারি তাহলে সেটা নিয়ে আমরা খুব ভালোই থাকতে পারবো। কিন্তু এ ভিটামিন যদি আমাদের শরীরে ঘাটতি পড়ে যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আমরা যে কাজটি করব সেটা হচ্ছে অবশ্যই আমরা অতিরিক্ত সেই খাবারগুলো খাব যেই খাবারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ আছে। আজকে আমরা আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো কয়েক ধরনের খাবারের সঙ্গে যে খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ আছে।
ভিটামিন বি ১২যুক্ত আমিষ খাবার
আমিষ এর মধ্যে মাছ দুধ ডিম ইত্যাদি পরে। এই খাবারগুলো টেস্ট অনেক বেশি তাই প্রত্যেকেই এই খাবার গুলো বেশি বেশি পছন্দ করেন তবে অতিরিক্ত আমিষ খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এমন কিছু খাবার খুঁজে বের করতে যে খাবারগুলোতে ক্ষতিকারক দিক কম আছে এবং সে খাবার গুলো আমরা বেশি বেশি খেতে পারি। সাধারণত আমাদের পছন্দের খাবার তালিকায় যে খাবারগুলো রয়েছে তাদের মধ্যেই এই ভিটামিন গুলো বেশি থাকে।
আমাদের পছন্দের তালিকায় থাকা সামুদ্রিক মাছ যদি আমরা নিয়মিত খেতে পারি তাহলে সেখানে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি আমাদের শরীরে অনেক উপকারে নিয়ে আসবে তাই চেষ্টা করব এই ধরনের মাছ যাতে আমরা বেশি বেশি খেতে পারি। একটি ব্যাপার হচ্ছে যে সামুদ্রিক মাছে অতিরিক্ত তেল থাকে সেগুলো অনেক সুস্বাদু হয় যেমন টুনা মাছ বা শ্যামন মাছ এই ধরনের মাছগুলো যদি আমরা নিয়মিত খেতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
এর পাশাপাশি দুধ বা দুধে জাতীয় পণ্য যেমন টক দই থেকে শুরু করে পনির এই ধরনের খাবার যদি অতিরিক্ত আমরা খেতে পারি তাহলে সেটা আমাদের শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি পূরণে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এছাড়াও ডিম বা ডিমের কুসুম আমাদের জন্য অনেক উপকারী জিনিস আমরা চাইলে এই খাবারগুলো নিয়মিত খেয়ে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি। লাল মাংস যেমন গরুর মাংস অথবা খাসির মাংসও প্রচুর পরিমাণে এই ভিটামিন থাকে তবে এই মাংসগুলো অতিরিক্ত খেলে আমাদের হার্টের সমস্যা হয় তাই খুবই সামান্য পরিমাণে এই মাংস আমরা খেতে পারি তবে সেটা রান্নার প্রসেসটা হবে আলাদা।
ভিটামিন বি ১২যুক্ত নিরামিষ
সাধারণত ভিটামিন বি১২ যুক্ত যে নিরামিষ রয়েছে সে নিরামিষ আমাদের কাছে পছন্দের নিরামিষ। যেমন মনে করুন বাজারে থাকা সবুজ শাকসবজি এবং ব্রকলি এই ধরনের সবজি বর্তমানে অনেকের জনপ্রিয় খাবার। অ্যাভোকাডোর মতন সুস্বাদু সবজি সব ধরনের জায়গাতে ব্যবহার করা যায় যার কারণে এটার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে বাদাম খাওয়া অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল খাওয়া যাতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন প্রবেশ করে এই জিনিসটা আমাদের অবশ্যই মেনটেন করতে হবে।
ফলমূলের মধ্যে রঙিন ফলমূল অর্থাৎ আপনি যত ধরনের কালারের ফলমূল আছে সবগুলো মিস করে প্রতিদিন অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি সঠিক পুষ্টিগুণ পাবেন এবং আপনার শরীর আগের থেকে অনেক বেশি সুন্দর হবে।