আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুগণ। আজকে আমরা দুধের উপকারিতা এবং দুধে কি কি উপাদান উপস্থিত রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানব আজকের এই আর্টিকেলটিতে। দুধ আমাদের মানব শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান এটা অধিকাংশ সবাই জানে। কিন্তু দুধ খেলে কি সত্যিই আমাদের শরীর সুস্থ থাকে? সত্যিই কি দুধ খাওয়া সব ধরনের বয়সে এবং সব ধরনের মানুষের জন্য ভালো? দুধ খেতে হবে ঠিক আছে কিন্তু দুধ যদি সঠিক নিয়মে খাওয়ানো হয় তাহলে এই দুধ আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই এইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের জানা আবশ্যক।
দুধে উপস্থিত উপাদানসমূহ
দুধে উপস্থিত এই সব কয়টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং আয়রন। আমাদের দেহের অস্থির বৃদ্ধি এবং হাড়কে শক্ত রাখতে আমাদের দুধ পান করতে হবে। দুধের ল্যাপটপ নামক অ্যাসিড রয়েছে। এজন্য দুধ খেলে অনেক সময় হজমের সমস্যা হয়। অর্থাৎ দুধ যদি সঠিক নিয়মে না খাওয়া হয় তাহলে গ্যাস্টিকের মত মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।দুধে আছে,,, প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি১২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান পেশিকে মজবুত ও শক্ত করে। পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।এখন অনেক ধরনের পুষ্টিবর্ধক খাবার রয়েছে কিন্তু সবার পক্ষে সেগুলো খাবার আহার করার সামর্থ্য থাকে না।
তাই খাঁটি গরুর দুধ দিয়েও আমরা আমাদের শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারি।বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তারা খাঁটি দুধ খুব অনায়াসে পেয়ে যায়। কারণ শহরে কালোবাজারি এবং খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল বেশি দেখা যায় ।কিন্তু গ্রামের সহজ সরল মানুষটা খুব কম জালিয়াতি করে থাকে। তাই যারা শহরে নয় গ্রামে থাকে তারা তাদের খাটি গরুর দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে। এটা অত্যান্ত উপকারী মানব শরীরের জন্য। যেকোনো বয়সে দুধ পান করা খুবই ভালো। গরমকালে বিভিন্ন সময় শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়। শারীরিক এবং স্নায়ুজনিত দুর্বলতা দূর করতে প্রতিদিন দুধপান করতে হবে। অর্থাৎ শরীরে যাতে প্রোটিনের অভাব না ও দেখা দেয় সেদিকে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।
দুধে প্রোটিনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। শুধু দুধ নয় দুধ থেকে তৈরি দুগ্ধ জাতীয় যেকোনো খাবার শরীরের পক্ষে উপকার। দুধের রং সাদা হওয়ার একমাত্র কারণ দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতি। আপনি কি জানেন দূর থেকে মিষ্টি তৈরির যে ছানা তৈরি হয় সেই ছানা যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে অনেক উপকার হবে। দুধ থেকে তৈরি টক দই সেটাও মানব শরীরের জন্য উপকারী। যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় কিন্তু মিষ্টি ছাড়া যে কোন দুগ্ধ জাতীয় খাবার যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে আপনার যাবতীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।
দুধের সাদা রঙ ক্যাসিন থাকার কারণে হয়। ক্যাসিন হল দুধের মধ্যে প্রধান ধরনের প্রোটিন যা ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট এর সাথে একত্রিত হয়ে ক্ষুদ্র কণা তৈরি করে যা মাইকেলস নামে পরিচিত। যখন আলো এই ক্যাসিন মাইকেলগুলিতে আঘাত করে তখন এটি আলোকে প্রতিসরণ করে এবং বিক্ষিপ্ত করে যার ফলে দুধ সাদা হয়। দেশের মানুষের আমিষের অভাব পূরণে দুধের বিকল্প নেই। দুধ একটি এমন খাদ্য যেটা নবজাতক থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সবাই গ্রহন করতে পারে।
দুধ খাওয়ার উপকারিতা আমরা সবাই জানি। কিন্তু দুধে থাকা ভিটামিন গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। অনেকে আছে যারা জানিনা যে দুধ পান করাতে আমাদের শরীরের কি ধরনের উপকার সাধিত হয়। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ এসব বিষয়ে আরও অজ্ঞাত। তাই আমাদের গণসচেতন গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে খাদ্য এবং পুষ্টি সম্পর্কে জানিয়ে তুলতে হবে সঠিক তথ্য দ্বারা। আমাদের আশেপাশে উপস্থিত এমন কিছু খাদ্যদ্রব্য রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অমৃতের সমান। যাদের মধ্যে দুধ অন্যতম। দুধে থাকা পুষ্টি উপাদান মানব শরীরের জন্য অত্যাবশকারী।