জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের মূলনীতি কয়টি ও কি কি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পূর্ণ হওয়ার পর জাতিসংঘ নামক একটি সংগঠন তৈরি হয় যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ একত্রিত হয়ে প্রত্যেকটি দেশের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মানব সম্প্রদায় হিসেবে আমরা পৃথিবীর অধিকার নিয়ে এবং সাহায্য নিয়ে এখানকার নীতিগুলো মেনে চলার চেষ্টা করে থাকি। তাই জাতিসংঘ যেমন সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছে তেমনি ভাবে শিশুদের যাতে অধিকার নিশ্চিত করা হয় তার জন্য শিশু অধিকার সনদ পাস করেন।

সাধারণত শিশুদেরকে বঞ্চিত করা হয় এবং শিশুদের যদি কোনো কারণে সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে আলাদা করা হয় তাহলে জাতিসংঘের এই সুযোগ-সুবিধা বা আইন বলে যে কোন মানুষ তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে। তাই আমরা যদি জাতিসংঘের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করি অথবা তাদের অনুচ্ছেদ থেকে শুরু করে মূলনীতি কতটি তা যদি জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা এই তথ্যগুলো পড়ে দেখতে পারেন। সাধারণ জনগণ হিসেবে এগুলো জানতে সে খুব ভালো করেছেন এবং এগুলো জেনে নিতে পারলে আপনার অনেক ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত কাজ করতে সুবিধা হবে।

আপনারা যারা জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের বিষয়ে মূলনীতি সম্পর্কে জানতে চান অথবা তাদের মূলনীতি কতটি তা জানতে চান তাহলে এখানে আমরা বলব যে তাদের মূলনীতি আমরা এ পর্যন্ত অনুচ্ছেদ আকারে ৩২টি পেয়েছি। আর এগুলো যদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চাই তাহলে আমাদের এই লিখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে। তবে আপনাদের সুবিধার্থে এখানে আমরা সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করব।

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ সম্পর্কে আপনারা যদি কোন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করবেন। তবে এখানে মূলনীতি বা অনুচ্ছেদ যাই বলে থাকুন না কেন আমরা তা সংক্ষেপে আপনাদের সামনে কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। অর্থাৎ শিশু অধিকার হিসেবে আসলে কি কি বিষয় আলোচনা বা কোন বিষয়ে কাজ করা হয়ে থাকে সেগুলো সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা অর্জন করার জন্য এই তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী শিশুর বয়স যদি ১৮ এর নিচে হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে যদি তাদেরকে কোন ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয় তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে।

অর্থাৎ আঠারো বছরের নিচে কোন শিশুকে যদি কোন কিছু থেকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে শিশু অধিকার আইনে মামলা হয়ে যাবে। শিশু অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখানে গুরুত্বপূর্ণ করা হয়েছে এবং শিশুরাও যে ভবিষ্যতের কর্ণধারা হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে শিশুর স্বার্থ রক্ষার বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আলোচনা করা হয়েছে যাতে সে সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে সমানভাবে সুযোগ সুবিধা পেয়ে বড় হয়ে উঠতে পারে।

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ এর অনুচ্ছেদ কয়টি

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বা অনুচ্ছেদ বা অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আপনাদের উপরের দিকে সংখ্যা উল্লেখ করে দিয়েছি। তাছাড়া এ সকল ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের প্রতি আলোচনা করা হচ্ছে তা কিন্তু আপনাদের সামনে আমরা আলোকপাত করার চেষ্টা করছি। এ অর্থাৎ এখান থেকে শিশুর প্রতি দায়িত্ব থেকে শুরু করে সনদের যাতে বাস্তবায়ন হয় তার জন্য প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। শিশুদের কোন ক্ষেত্রে অবহেলিত না করে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার এবং প্রত্যেকটি অধিকার ও দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবগত করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে কয়টি ধারা রয়েছে

তাছাড়া কোন শিশু জন্মগ্রহণ করার পর কোন দেশে জন্মগ্রহণ করলো তার জন্য জন্ম নিবন্ধীকরণের বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব সহকারে করা হচ্ছে। তাই আপনারা শিশুর আইন সম্মত পরিচিতি থেকে শুরু করে পিতা মাতার সাথে বসবাসের অধিকার এবং তাদের পারিবারিক সংহতি বিষয়ক তথ্য গুলো জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে যদি শিশুরা কোন কারণে অপহরণ করা হয়ে থাকে অথবা তারা যদি পাচার হয়ে থাকে তাহলে সে বিষয়েও নির্দিষ্ট নীতিমালা থেকে সেই অনুযায়ী আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের শিশু যেন ভবিষ্যতে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং এই পৃথিবীর দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে তার জন্য তাদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বড় করে তোলার এই আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Comment