থাইরয়েড রোগের লক্ষণ কি কি ও প্রতিকার

থাইরয়েড রোগ হলে কোন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায় সে সকল বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্ট। কারণ বর্তমান সময়ে অনেকেরই দেখা যায় যে থাইরয়েড রোগ হয়েছে। থাইরয়েড রোগ হলে কোন ধরনের রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে পারে বা কোন লক্ষণ গুলো প্রকাশ হলে আমরা বুঝবো যে থাইরয়েড রোগ হয়েছে সে বিষয়গুলি আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। কারণ আপনারা জানেন যে থাইরয়েড আমাদের দেহের মধ্যে প্রতিনিয়ত উৎপাদন হয় বা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন হওয়ার কারণেই আমরা সুস্থ থাকি।

কিন্তু তাহলে থাইরয়েড রোগ হল কেন এ বিষয়ে আপনাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগতে পারে। তাই আপনাদেরকে অবশ্যই ভাবতে হবে যে নির্দিষ্ট মাত্রায় থাইরয়েড হরমোন যদি আমাদের শরীরে উৎপাদিত না হয় বা নিশ্চিত না হয় তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকতে পারবেনা। কিন্তু এই থাইরয়ে ড যদি অতিরিক্ত অথবা কম নিঃসৃত হয় তখন অবশ্যই সেটি থাইরয়েড হয়েছে বলে মনে করা হয়। তাহলে এখন আমরা দেখব যে থাইরয়েড রোগের লক্ষণগুলো কোনগুলো এবং সেগুলো হলেই বা সেই লক্ষণগুলো প্রকাশ করেই আমরা বুঝে নিতে পারি যে থাইরয়েড আছে বা থাইরয়েড হয়েছে।

তাহলে চলুন আমরা এখন থাইরয়েড রোগের লক্ষণ গুলো দেখি। নিষ্ক্রিয় থাইরয়েড-এর (হাইপোথাইরয়েডিজম) লক্ষণগুলি হলো: ক্লান্ত বোধ করা বা ক্লান্তি, ওজন বেড়ে যাওয়া এবং মোটা হয়ে যাওয়া,বিস্মৃতি অনুভব হওয়া। আবার মহিলাদের ঘন ঘন এবং বেশী পরিমাণে মাসিক হওয়া এটিও থাইরয়েডের লক্ষণ বলে মনে করা হয়। শুষ্ক ও মোটা চুল থাকা, কর্কশ কণ্ঠস্বর। ঠান্ডা তাপমাত্রায় অসহিষ্ণুতা অনুভব করা। এই বিষয়গুলি যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে আপনি বা আপনাকে অবশ্যই মনে করতে হবে থাইরয়েড রয়েছে। এগুলি হল থাইরয়েডের লক্ষণ।

থাইরয়েড এর প্রতিকার

থাইরয়েড হলে কোন ধরনের প্রতিকার ব্যবস্থা নিতে হবে সে বিষয়গুলি অবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে। আপনারা জানেন যে যেকোনো ধরনের সমস্যা ঘটতেই পারে। আর সেই সমস্যার সমাধান আমাদের পেতে হবে। থাইরয়েড থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রথমেই থাইরয়েডের পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে থাইরয়েডের মাত্রা কেমন। মাত্রা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেবে। সে পদক্ষেপ গুলোর মধ্যেই হল বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাবার তালিকা চেঞ্জ করা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ইত্যাদি। অর্থাৎ এ বিষয়গুলি মেনে চললে অবশ্যই থাইরয়েড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করা হয়।

এভাবে প্রতিকার তোমার সম্ভব বলেই চিকিৎসকগণ মনে করেন। এছাড়াও এভাবে যদি প্রতিকার না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই বিশেষ কিছু কিছু অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। আমরা এখন দেখব যে থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার বা থাইরয়েড থেকে প্রতিকার পাওয়ার বিষয়গুলি কোনগুলি হতে পারে। ভিটামিন ডি:- শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যার সমাধান করতে প্রতিদিন সূর্যালোকে দাঁড়ান। সকাল সকাল রোদে দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি হয়।

ব্যায়াম যেমন হাঁটলেও থাইরয়েড গ্রন্থি উদ্দীপিত হয়। এছাড়াও আরো বিষয় রয়েছে যেমন আয়োডিনযুক্ত খাবারের ঘাটতি থাকলেও থাইরয়েড হতে পারে তাই সামুদ্রিক মাছ বেশি পরিমাণে খাদ্য তালিকা রাখতে হবে। এছাড়াও আরো কিছু বিষয়গুলি যদি আমরা মেনে চলি তাহলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসা যায়। তাই আপনাদের যদি থাইরয়েড হয়ে থাকে তাহলে কোন হতাশাগ্রস্থ না হয় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে করে আপনারা অবশ্যই অনেক সুস্থ থাকবেন বা থাকতে পারবেন বলে আশা করি। এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন। কারণ আমরা সবসময় আমাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা ধরনের তথ্য জীবনে প্রয়োজন পড়ে এ ধরনের তথ্য গুলো তুলে ধরি। তাই আপনারা বারবার ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে আমরা আশা করি।

Leave a Comment