যেহেতু ফুসফুসের মাধ্যমে আমরা শরীরের ভেতরে অক্সিজেন নেওয়ার পাশাপাশি বাতাস ছেড়ে দেওয়ার কাজগুলো করে থাকে সেহেতু ফুসফুস কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না। যদিও বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে অথবা বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তারপরও আমরা দৈনন্দিন জীবনে যদি কিছু খাদ্যাভ্যাস অথবা ব্যায়াম মেনে চলতে পারি তাহলে সেটা কিন্তু আমাদের ফুসফুস ভালো রাখার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই ফুসফুস ভালো রাখার ক্ষেত্রে কি কি উপায় অনুসরণ করতে ভালো হয় তা এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে জেনে নিতে পারেন।
ফুসফুস ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জেনে নিয়ে সেগুলো শুধু জানলে হবে না বরং দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলতে হবে এবং এক্সারসাইজ করতে হবে। পশুর ভালো রাখার জন্য যেমন ব্যায়াম রয়েছে তেমনি ভাবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি শরীরের সার্বিক কর্ম ক্ষমতা ঠিকঠাক মতো বজায় রাখে। কিন্তু আমরা দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করি না। তাছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়লে সরাসরি ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকে।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনি যদি নিজের দম ধরে রাখতে পারেন অথবা আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য কিন্তু কম পাওয়া নয়। তাই নিঃশ্বাসের কার্যক্রম ঠিকঠাক মতো বজায় রাখার জন্য এবং বুক ভরা নিশ্বাস নেওয়ার জন্য ফুসফুস কে সুস্থ রাখতে হবে। আর ফুসফুস সুস্থ রাখার জন্য আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
ফুসফুস ভালো আছে বোঝার উপায়
স্বাভাবিকভাবে আপনি যদি দৈনন্দিন জীবনে নিঃশ্বাস নিতে পারেন এবং সেটার মাধ্যমে যদি আপনার চলাফেরা কোন ক্ষেত্রে ব্যহত না হয় তাহলে আপনার ফসুর ভালো আছে বলে বুঝবেন। তাছাড়া ইউটিউব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেটার মাধ্যমে আপনি চেক করে দেখতে পারেন আপনার দম ধরে রাখার ক্ষেত্রে কতটা সক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দম বন্ধ করে রাখতে পারলে অথবা দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার মাধ্যমে অল্পতেই হাঁপিয়ে যদি না যান তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফুসফুস অনেক ভালো আছে।
ফুসফুস ভালো রাখার ব্যায়াম
ফুসফুস ভালো রাখার ব্যায়াম হিসেবে আপনারা যদি দৈনন্দিন জীবনে সাইক্লিং করতে পারেন অথবা কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে সেটার মাধ্যমে কিন্তু আপনাদের অনেক উপকার হবে। আপনি নিজের শরীর যতটা পাতলা রাখতে পারবেন অথবা অতিরিক্ত মেদ চর্বি যতটা বাদ দিয়ে চলতে পারবেন ততটাই কিন্তু সুস্থ থাকতে পারবেন। সুতরাং ফুসফুস ভালো রাখার জন্য সর্ব প্রথমে যে কাজটা করতে হবে সেটা হলো কোনভাবে শরীরের ওজন বাড়তেই হতে দেওয়া যাবে না। সেই সাথে যে সকল ব্যায়াম করলে আপনার শরীর স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে অথবা আপনি যেখানে কোন কাজ করার পরেও হাপিয়ে উঠবেন না তেমন ধরনের কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ফুসফুস ভালো রাখার খাবার
ফুসফুস ভালো রাখার জন্য খাবারের নাম যদি জানতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের ফুসফুসের জন্য উপকারী ভূমিকা রাখে। আপনারা যদি কাজুবাদাম অথবা আখরোট জাতীয় খাবার খেতে পারেন তাহলে সেটা কিন্তু ফুসফুসের জন্য অনেক ভালো হয়। এছাড়া ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার এবং কালোজিরা থেকে শুরু করে মধু এবং সামুদ্রিক মাছ খেলে সেগুলো ফুসফুসের জন্য অনেক উপকার হয়।
দৈনন্দিন জীবনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি এর বিকল্প নেই। সেই সাথে আপনার ফুসফুস ভালো রাখার জন্য ভিটামিন সি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছ থেকে শুরু করে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ যে সকল খাবার রয়েছে সেগুলো যদি আপনারা খেতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হবে। দৈনন্দিন জীবনে অর্গানিক এবং গুড ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনারা যদি ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার ফুসফুস ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে পারদর্শিতা প্রদান করতে সাহায্য করবে।