ছেলেরা মেয়েদের কি করে

ছেলে এবং মেয়েদের মাঝে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর তারা একটু ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়। একটি ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে বৈধ শারীরিক সম্পর্কের স্বীকৃতি হিসেবে সমাজের বিবাহের প্রথা রয়েছে। বিবাহের মাধ্যমে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে পরস্পর বৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। পরিবার গঠনের পূর্ব শর্ত হলো বিবাহ। বিবাহের মাধ্যমে একটি পরিবার গঠিত হয়। একটি নারী এবং পুরুষ পরস্পরের সঙ্গে সংসার তৈরি করে। তাদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে একটি পরিবার গড়ে ওঠে। এভাবেই সামাজিক ভারসাম্য বজায় থাকে ।

আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা নারী এবং পুরুষের মধ্যকার সম্পর্ক এর কিছু আলোচনা করব। একজন পুরুষ একজন নারীকে কি করে অর্থাৎ একজন নারীর প্রতি পুরুষের সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলোই আজকে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয়।একজন পুরুষ একটি মেয়েকে বিবাহ করার মাধ্যমে তার দায়ভার নেই। সেই নারী সারা জীবন পুরুষের কাছে থাকে এবং তার শারীরিক চাহিদা পূরণের সাথে সাথে তার পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখে। একটি ঘর সামলাতে যা যা ঘরের কাজ থাকে সেই নারী সবকিছু করে, অর্থাৎ একটি সুন্দর সংসার তৈরিতে নারীর ভূমিকা অপরিসীম।

কিন্তু একটি নারীর প্রতি পুরুষ যদি নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য ঠিকমতো পালন করতে না পারে তাহলে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক সুখের হয় না। পুলিশের কর্তব্য মালিকের সব সময় সম্মান করা মর্যাদা দেওয়া। নারীরা অর্ধ উপার্জন করে না বলে সেই পুরুষ যদি নারীকে যথার্থ সম্মান না দেয় তাহলে সেই পুরুষের কোন অধিকার নেই একজন নারীকে কাছে রাখার। নারীদের সম্মান এবং মর্যাদা দিতে হবে।

ছেলেরা নারীদের রূপকে এবং নারীদের প্রতি আকর্ষিত হয়ে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতে চায়। পুরুষ রয়েছে যারা শুধু শারীরিক চাহিদা মেটার জন্য নারীদের ব্যবহার করে। কিন্তু তারা নারীদের পর্যাপ্ত সম্মানটুকু করে না। এই সকল পুরুষ হলো পশুর মত। নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। সব সময় খুশিতে রাখতে হবে। তারা যাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকে সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

একজন ছেলে একটি মেয়েকে ভালোবেসে তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। পিছনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে সেই সম্পর্ক যখন আরো সুন্দর হয়ে ওঠে তখন শুরু হয় প্রেম। প্রেমের সম্পর্কে কিন্তু পুরুষের ভূমিকা মুখ্য। একটি ছেলে যদি মেয়েকে খুশি করতে না পারে তাহলে কিন্তু সেই মেয়ে কখনোই সেই ছেলেটির প্রতি আকর্ষিত হবে না। মেয়েদের থেকে এটা বেশি তাড়াতাড়ি মেয়েদের উপর আকর্ষিত হয়ে পড়ে।

অনেক অনেক ছেলেরা মেয়েদের শুধু ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। কারণ পুরুষ জাতি নিজের শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে থাকে। এর বাস্তব দৃষ্টান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা গুলো আমাদের সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু সব ছেলেরা এক রকম হয় না। সব ছেলেরা যদি এরকম হত তাহলে পৃথিবীতে কোন সম্পর্ক টিকে থাকত না। ছেলেরা নারীদের মর্যাদা দিতে না পারলে কখনোই তাদের মধ্যে কাজ সম্পর্ক মজবুত হতে পারে না।

একটি মহিলার প্রতি ছেলেদের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দায়িত্ব হল তারা যাতে মানসিকভাবে আঘাত না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা। একটি ছেলে মেয়েকে ভালোবাসা দিয়ে তাকে কাছে টেনে নেবে, এটাই স্বাভাবিক। একটি পুরুষের কাছ থেকে একটি মেয়ে শুধু ভালোবাসায় আশা করে। তাই, নারীদের অধিকারটুকু নিশ্চিত করা কিন্তু পুরুষের একমাত্র কর্তব্য। নারীরা শুধু পুরুষের ভোগ করার জিনিস নয় ।তাদেরও নিজস্ব কিছু চাওয়া পাওয়া থাকে। যে সকল পুরুষ নারীদের পর্যাপ্ত মর্যাদা দেয় এবং তাদের সত্যিকারের ভালবাসে তারাই হলো শ্রেষ্ঠ পুরুষ।

আপনিও আপনার জীবন সাথীর উপর সকল দায়িত্ব কর্তব্য পালন করুন। একে অপরের মাঝে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক না থাকে তাহলে আপনাদের সম্পর্ক কিন্তু বেশিদিন টিকবে না। একে অপরকে মর্যাদা দিতে শিখুন। আপনার স্ত্রী, অথবা আপনার প্রেমিকাকে সব সময় মানসিকভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। একে অপরের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলে সেই সম্পর্কগুলো খুব সুন্দর এবং মিষ্টি হয়। ছেলেরা যদি নারীদের সম্মান দেয় তাহলে সম্পর্ক গুলো সুন্দর এবং স্বাভাবিক থাকে।

Leave a Comment